ঢাকা ও চট্টগ্রামের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে সহকারী শিক্ষক পদে চূড়ান্ত পরীক্ষায় উত্তীর্ণের পরও হাইকোর্টের রায়ে নিয়োগবঞ্চিত হওয়ার প্রতিবাদে ১১তম দিনের মতো সমাবেশ চলছে রাজধানীর শাহবাগে।
রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৯টা থেকে জাতীয় জাদুঘরের সামনে সমাবেশ করছেন নিয়োগবঞ্চিত শিক্ষকরা। সমাবেশে দ্রুত নিয়োগের দাবিতে স্লোগান দিচ্ছেন তারা। বিক্ষুব্ধরা বলছেন, দুপুর ১২টা পর্যন্ত আল্টিমেটাম দেওয়া ছিল। সম্মিলিতভাবে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
লক্ষ্মীপুর থেকে আসা রাশেদ শাহরিয়ার নামে একজন বলেন, গত ৬ ফেব্রুয়ারি আদালত আমাদের নিয়োগ বাতিল করেন। বাতিলের পর আমরা অনেকগুলো আন্দোলন ও সমাবেশ করেছি। কিন্তু সরকারের কোনো কর্তৃপক্ষ আমাদের কাছে আসেনি। আমরা এখানে কয়েকদিন ধরে শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান করেছি। তবুও সরকারের কোনো কর্তৃপক্ষ আমাদের আশ্বস্ত করেনি যে, আমাদের নিয়োগ পুনর্বহাল করা হবে। এমনকি আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে সরকার কোনো আপিল করেনি। তাই আমরা আজকে এখানো এই সমাবেশ করছি।
সামিয়া ইয়াসমিন নামে আরেক নিয়োগবঞ্চিত বলেন, নিরাপদে বাসায় ফেরা ও আমাদের সঙ্গে হওয়া অন্যায়ের বিচারসহ চার দফা দাবিতে আমরা মহাসমাবেশ করছি। এখান থেকে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে
বিক্ষুব্ধরা বলছেন, আজ ১১তম দিনের মতো শাহবাগে অবস্থান করছেন তারা। তাদের লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি চলছে। অধিকার ফিরে পাওয়ার জন্য আজ মহাসমাবেশের ডাক দিয়েছেন তারা।
আন্দোলনকারীরা জানান, ২০২৩ সালের বিধিমালা অনুযায়ী তাদেরকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। একই নিয়োগ প্রক্রিয়ার প্রথম দুই ধাপের সুপারিশপ্রাপ্তরা বছরখানেক আগে কর্মস্থলে যোগদান করেছেন। কিন্তু ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে তৃতীয় ধাপের সাড়ে ৬ হাজার সুপারিশপ্রাপ্তদের নিয়োগ ছয় মাসের জন্য স্থগিত করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, প্রাথমিকে উত্তীর্ণদের নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটা অনুসরণের অভিযোগে নিয়োগবঞ্চিত ৩১ প্রার্থী হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন। রিটে ফল প্রকাশের বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করা হয়। সেই রিটের প্রেক্ষিতে উত্তীর্ণদের নিয়োগ স্থগিত করে আদেশ দেন হাইকোর্ট। এরপর থেকেই যোগদানের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সুপারিশপ্রাপ্ত শিক্ষকরা। তবে নিয়োগ স্থগিতে দেওয়া হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। আরটিভি