News update
  • Guterres Urges Leaders to Act as UNGA Week Begins     |     
  • BNP to go door to door for hearts and votes     |     
  • Chittagong port tariffs increased up to 50 per cent     |     
  • Rising Heat Cost Bangladesh $1.8 Billion in 2024     |     
  • Stocks extend gains; turnover drops in Dhaka, rises in Ctg     |     

প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে থাকছে না নারী কোটা

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক শিক্ষকতা 2025-04-08, 1:31pm

rtetewrwe-990d5be5c14dca32321e3a7ee592857b1744097487.jpg




সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগে নারী কোটা থাকছে না। উচ্চ আদালতের রায় অনুযায়ী, কোটা থাকবে মাত্র ৭ শতাংশ। বাকি ৯৩ শতাংশ নিয়োগ হবে মেধার ভিত্তিতে।

প্রস্তাবিত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা, ২০২৫-এর খসড়া থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

সর্বশেষ প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ-বিধি, ২০১৯-এ বলা হয়েছে, সরাসরি নিয়োগযোগ্য পদের ৬০ শতাংশ মহিলা প্রার্থী, ২০ শতাংশ পোষ্য প্রার্থী এবং অবশিষ্ট ২০ শতাংশ পুরুষ প্রার্থীদের দিয়ে পূরণ করা হবে। অবশ্যই ২০ শতাংশ স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রিধারী প্রার্থীদের নিয়োগ নিশ্চিত করতে হবে।

তবে কোটানির্ভর নিয়োগপ্রক্রিয়ায় মেধার মূল্যায়ন হয় না বলে অভিযোগ দীর্ঘদিনের। অনেকে ৬৫ নম্বর পেয়েও চাকরি পেয়ে যান, আবার অনেকে ৭৫ পেয়েও বাদ পড়েন। এবার সেই বৈষম্য দূর করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এজন্য করা হচ্ছে নতুন বিধিমালা।

জানা গেছে, প্রস্তাবিত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা, ২০২৫’-এর খসড়া এরই মধ্যে তৈরি করা হয়েছে। তাতে সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগে নারী, পোষ্য ও পুরুষ কোটা থাকছে না। উচ্চ আদালতের রায় মেনে কোটা থাকবে মাত্র ৭ শতাংশ। বাকি ৯৩ শতাংশ নিয়োগ হবে মেধার ভিত্তিতে। যে ৭ শতাংশ কোটা থাকবে, তার মধ্যে থাকবে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠী ও প্রতিবন্ধী কোটা।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্র জানায়, নিয়োগ বিধিমালা চূড়ান্ত হলে আগামী আগস্ট-সেপ্টেম্বরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হতে পারে। গত ডিসেম্বর পর্যন্ত সারাদেশে সহকারী শিক্ষকের নিয়োগযোগ্য শূন্য পদ ৮ হাজারের বেশি। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের সময় পদসংখ্যা বাড়তে পারে। প্রস্তাবিত বিধিমালায় উচ্চ আদালতের রায়ের পর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী ৭ শতাংশ কোটাব্যবস্থা অনুসরণের প্রস্তাব করা হয়েছে।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেন, প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা সংশোধন করা হচ্ছে। এর একটি গুরুত্বপূর্ণ সংশোধন হচ্ছে আগের কোটাব্যবস্থা বাদ দিয়ে উচ্চ আদালতের রায় অনুযায়ী কোটাব্যবস্থা চালু। এর বাইরে আরও কিছু বিষয় পরিবর্তন করা হচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে সহকারী শিক্ষকদের মধ্যে থেকে প্রধান শিক্ষক পদে যোগ্য প্রার্থী পাওয়া সাপেক্ষে শতভাগ পদোন্নতির ব্যবস্থা করা।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে ৬৫ হাজার ৫৬৫টি। এসব বিদ্যালয়ে শিক্ষক আছেন তিন লাখ ৬২ হাজার ৭০৯ জন। তাদের মধ্যে পুরুষ শিক্ষক এক লাখ ২৭ হাজার ৩৯ জন এবং নারী শিক্ষক দুই লাখ ৩৫ হাজার ৬৭০ জন।

আরটিভি