News update
  • Bangladesh achieves 97% typhoid vaccine coverage for children     |     
  • Jeddah welcomes global stars to Red Sea Int’l Film Festival     |     
  • Exports earn $3.9 billion in Nov, up 1.8% from Oct     |     
  • Air ambulance delay delays Khaleda Zia’s departure for London     |     
  • Zubaida leaves London for Dhaka to accompany ailing Khaleda to UK     |     

আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ দো ঢাকার “স্মরণ” শীর্ষক মাল্টিডিসিপ্লিনারি প্রদর্শনী

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক শিল্প-কারুশিল্প 2024-03-04, 3:45pm

1709384576685-ca7f28d45d7c7705405f8caad47cb36b1709545697.jpeg




আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ দো ঢাকার গুলশান শাখায়  রবিবার বিকেল ৫টায় উদ্বোধন করা হলো  উড়ন্ত শিল্পীগোষ্ঠী আয়োজিত “Recollected | স্মরণ”  শীর্ষক মাল্টিডিসিপ্লিনারি প্রদর্শনী। 

বিশেষ অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঢাকায় নিযুক্ত ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত মারি মাদুপুই, শিল্প ইতিহাসবিদ ও কেন্দ্রীয় মহিলা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পারভীন হাসান এবং বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক মোঃ কামরুজ্জামান ।

“Recollected | স্মরণ” সুনামগঞ্জ জেলার দুটি স্থাপত্য, গৌরারং জামিদার প্রাসাদ এবং সুখাইড় জামিদার প্রাসাদের ঐতিহ্যের ইতিহাস, সংস্কৃতি এবং স্থানীয় সমসাময়িক বর্ণনা থেকে অনুপ্রাণিত শিল্পকর্মের একটি প্রদর্শনী। 

স্থাপত্য ঐতিহ্য একটি সামাজিক-সাংস্কৃতিক অবকাঠামোর সবচেয়ে শক্তিশালী এবং পরিবর্তনশীল উপাদানগুলির মধ্যে একটি। বাংলাদেশ, প্রাচীন বাংলার একটি উল্লেখযোগ্য অংশ হওয়ায়, স্থাপত্য ঐতিহ্যের ক্ষেত্রে এদেশের একটি সমৃদ্ধ ইতিহাস রয়েছে। এসব ঐতিহ্য ও ইতিহাস সংরক্ষণ না করলে সময়ের সাথে তা চিরতরে হারিয়ে যায়। প্রতিটি ঐতিহ্যবাহী স্থাপত্য ধ্বংসের সাথে সাথে আমাদের সাংস্কৃতিক শিকড় এবং ইতিহাসও মুছে যায়। এই গ্রুপ প্রদর্শনীর মাধ্যমে, উড়ন্ত সুনামগঞ্জের হারিয়ে যেতে থাকা ঐতিহ্যগুলোকে সংরক্ষণে অবদান রাখছে, স্থানীয় ইতিহাসে নতুন মাত্রা যোগ করছে যা ঐতিহ্য সংরক্ষণের প্রতি গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর পাশাপাশি শহুরে সমাজে সচেতনতা বৃদ্ধি করবে।

 এই মাল্টিডিসিপ্লিনারি প্রদর্শনী, উড়ন্ত শিল্পী সম্প্রদায় এবং দুর্জয় বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের মধ্যে একটি যৌথ প্রচেষ্টা। ফারেহা জেবা এবং সাদিয়া মিজান সমন্বিতভাবে এটি তত্ত্বাবধান করেছেন। প্রদর্শনীতে বেশ কয়েকজন উদীয়মান শিল্পীর কাজ রয়েছে, যেখানে শিল্পীরা স্থানীয় সমসাময়িক প্রেক্ষাপট এবং বিষয়বস্তু থেকে অনুপ্রেরণার চিত্র তুলে ধরে গৌরারং জামিদার প্রাসাদ এবং সুখাইড় জামিদার প্রাসাদের স্থাপত্য বিস্ময়কে সম্প্রসারিত করেছেন। এটি কেবল একটি প্রদর্শনী নয়, এটি সময় এবং সংস্কৃতির মধ্য দিয়ে একটি ভ্রমণ, যেখানে প্রতিটি শিল্পকর্ম অতীত প্রজন্মের জীবন, ইতিহাস, সংস্কৃতি এবং উত্তরাধিকারের একটি আভাস প্রতিফলিত করবে।সুনামগঞ্জ এবং সিলেটের ঐতিহ্যবাহী স্থানগুলি প্রদর্শনের পাশাপাশি, এই প্রদর্শনী সমসাময়িক শৈল্পিক প্রচেষ্টাকে তুলে ধরে। এটি বিভিন্ন সমসাময়িক শৈল্পিক মাধ্যম যেমন অঙ্কন, ফটোগ্রাফি, সিরামিক কাজ, প্রিন্টমেকিং, ইনস্টলেশন, পুঁথি লেখা, বাদ্যযন্ত্র, থিয়েটার পারফরম্যান্স এবং কর্মশালার মাধ্যমে এই স্থানগুলির মধ্যে গল্প এবং স্মৃতিগুলি অন্বেষণ করার চেষ্টা করে, যার লক্ষ্য ঐতিহ্যের স্থানগুলির মধ্যে স্মৃতিগুলিকে পুনরুজ্জীবিত করা। প্রদর্শনীটি শুধুমাত্র শিল্পকর্ম প্রদর্শন করবে না বরং বাংলাদেশের চারপাশে বিশেষ করে গ্রামীণ কেন্দ্রিক অবস্থানে এই ধরনের স্থাপত্য ঐতিহ্যের প্রচার ও সংরক্ষণের জন্য সচেতনতা তৈরী করবে।

প্রদর্শনীটি বুধবার, ২০ মার্চ ২০২৪ পর্যন্ত সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।

সোমবার থেকে শনিবার বিকাল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত প্রদর্শনীটি খোলা থাকবে। রোববার সাপ্তাহিক বন্ধ।