News update
  • Israel Commits 3,496 Crimes, Killing, Injuring 2,652 Palestinians in 7 Days     |     
  • 50 years of CITES: Shielding wildlife from trade-driven extinction     |     
  • Tarique warns PR system could divide nation, calls for unity     |     
  • FFD4 Must Deliver for the World’s Most Vulnerable Nations     |     
  • Observe July Uprising Annually to Guard Against Autocracy     |     

সাইবার নিরাপত্তা বিল ঢেলে সাজানোর আহ্বান টিআইবির

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক সংগঠন সংবাদ 2023-09-08, 11:24pm

image-238981-1694188641-2964991b8d60f7f7362cae72783858bb1694193865.jpg




খসড়া সাইবার নিরাপত্তা বিল-২০২৩ সম্পূর্ণরূপে ঢেলে সাজাতে ‘ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি’সহ সব সংসদ সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।

শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) সংস্থাটি থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এমন আহ্বান জানানো হয়। এরই মধ্যে ৭ সেপ্টেম্বর ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮ থেকে খসড়া সাইবার নিরাপত্তা আইন-২০২৩ : তুলনামূলক পর্যালোচনা ও সুপারিশ’ শীর্ষক টিআইবির কার্যপত্রটি ই-মেইলে পাঠিয়েছে টিআইবি।

পাঠানো এক বার্তায় টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, আইন মন্ত্রণালয়, সংশ্লিষ্ট স্থায়ী কমিটি ও সব সংসদ সদস্যদের বলেন, ডিএসএ রহিত করে এর স্থলে প্রস্তাবিত সিএসএ ২০২৩ প্রণয়ন করার সিদ্ধান্তই প্রমাণ করে যে, ডিএসএর ব্যবহার ও অপব্যবহারের মাধ্যমে বাকস্বাধীনতা ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতার মতো বিভিন্ন মৌলিক মানবাধিকারের ব্যাপক লঙ্ঘনের ফলে জনমনে যে উদ্বেগ ও নিরাপত্তাহীনতাবোধ তৈরি হয়েছে, সরকার তা অবসানের বাধ্যবাধকতার যথার্থতা উপলব্ধি করেছে।

একই সঙ্গে যৌক্তিকভাবে মানুষের মধ্যে এরূপ প্রত্যাশা জন্ম নিয়েছে যে, যেসব কারণে ডিএসএ রহিত করা হচ্ছে। সিএসএতে সেসব উপাদান থাকবে না এবং এর পরিধি ও উদ্দেশ্য হবে সুনির্দিষ্টভাবে সাইবার অবকাঠামো, ইন্টারনেট ও সংশ্লিষ্ট সব ডিজিটাল প্ল্যার্টফর্মের নিরাপত্তা এবং এসবের অবাধ ও নিরাপদ ব্যবহার নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় ও পর্যাপ্ত আইনি কাঠামো তৈরি করা।

এর পরিপ্রেক্ষিতে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক কার্যপত্রটিতে উপস্থাপিত বিশ্লেষণ ও সুপারিশ বিবেচনায় নিয়ে খসড়া সিএসএ বিল ২০২৩ এর প্রয়োজনীয় সংশোধন ও অনুমোদন প্রক্রিয়ায় তাদের ভূমিকা পালনের জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করেন।

টিআইবি বলছে, ক্ষতিকর কন্টেন্ট অপসারণ করার প্রয়োজন রয়েছে, তবে তা সীমিত পরিধির মধ্যে থাকতে হবে। বাংলাদেশের সংবিধান ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন এবং ইন্টারন্যাশনাল কভেনেন্ট অন সিভিল অ্যান্ড পলিটিকাল রাইটসের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে হবে। সর্বোপরি প্রস্তাবিত আইনের বিভিন্ন ধারার মাধ্যমে মত প্রকাশ, ভিন্নমত, চিন্তা ও বিবেকের স্বাধীনতা চর্চা এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতাকে কর্তৃপক্ষের ইচ্ছামতো অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করার সুযোগ রাখা হয়েছে, যা উদ্বেগজনক।

এই বিলে দক্ষতা ও সক্ষমতাকে বিবেচনা না করে এবং বিচারিক নজরদারি ব্যতিরেকে অপরাধ তদন্ত এবং আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রে পুলিশকে ঢালাও ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে প্রয়োজ্যক্ষেত্রে বিচারিক নজরদারির যে সক্ষমতা দরকার, তা রয়েছে কি-না, বিবেচনা করা হয়নি। অনেক ক্ষেত্রে কারাদণ্ড বাদ দিয়ে অর্থদণ্ডের কথা বলা হয়েছে, যা বাস্তবে যে কৌশলে সাংবিধানিক অধিকারকে অপরাধ হিসেবে পরিগণিত করা, তা এড়িয়ে যাওয়ার উপায় নেই। মত ও তথ্য প্রকাশের স্বাধীনতার চর্চার কারণে মানহানির মতো অভিযোগের প্রচলিত আইনে বিচার করা সম্ভব, এমন অনেক বিষয় অযৌক্তিকভাবে এই বিলের আওতাভুক্ত করা হয়েছে। অথচ আন্তর্জাতিক চর্চা অনুযায়ী সাইবার নিরাপত্তা আইনের জন্য অপরিহার্য অনেক উপাদান এই খসড়ায় নেই এমন বেশকিছু বিষয় সংশোধিত খসড়ায় অন্তর্ভুক্ত করতে সুপারিশ করছে টিআইবি। তথ্য সূত্র আরটিভি নিউজ।