News update
  • Israel, Iran hit deadly strikes on 4th day; no sign of pause     |     
  • SAARC Nations Urged to Back Journalism in Mother Tongues     |     
  • Index gains mark early trading at Dhaka, Ctg bourses     |     
  • Bangladesh Tops Global List in Green Garment Factories     |     
  • Oil, Gold Prices Jump as Conflict Threatens Trade Routes     |     

চাপ দিয়ে কুয়েট উপাচার্যকে অপসারণ করলে মানবে না শিক্ষক সমিতি

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক সংগঠন সংবাদ 2025-04-23, 7:14pm

rr234234-4f0f16823900b43ad9bb09caef799ef01745414094.jpg




খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) ভিসি ড. মোহাম্মদ মাছুদকে চাপ দিয়ে অপসারণ করা হলে তা মেনে নেবে না কুয়েট শিক্ষক সমিতি। একইসঙ্গে সব পক্ষের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেওয়ারও জন্য আহ্বান জানিয়েছেন সমিতির নেতারা।

বুধবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে কুয়েটের প্রশাসনিক ভবনের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন শিক্ষক সমিতির নেতারা।

এ সময় কথা বলেন শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. সাহিদুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. ফারুক হোসেনসহ কয়েকজন শিক্ষক।

সংবাদ সম্মেলনে অধ্যাপক ড. আশরাফুল গণি ভূঁইয়া বলেন, শিক্ষা উপদেষ্টা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বললেও শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলেননি। এতে আমরা ব্যথিত হয়েছি। 

তিনি আরও বলেন, অল্প কয়েকজন মিছিল করলে সাংবাদিকরা নিউজ করেছে যে কুয়েট উত্তাল, অথচ কুয়েটে শিক্ষার্থী ৫ হাজারেরও বেশি। 

শিক্ষার্থীরা শিক্ষকদের যে রাজনৈতিক ট্যাগ দিচ্ছে, তা দুঃখজনক জানিয়ে আশরাফুল গণি ভূঁইয়া বলেন, কিছু সংখ্যক শিক্ষার্থী উপাচার্যকে মারধর করেছে, গায়ে থুতু দিয়েছে। কয়েকজন শিক্ষক লাঞ্ছিত হয়েছেন, তাদের নিয়ে কটূক্তি করা হয়েছে। এসবের বিচার দাবি করছি।

এর আগে, ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েটে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে অর্ধশতাধিক আহত হন। এ ঘটনার পর ২৫ ফেব্রুয়ারি সিন্ডিকেট সভায় অনির্দিষ্টকালের জন্য একাডেমিক কার্যক্রম ও হল বন্ধ ঘোষণা করা হয়। কর্তৃপক্ষের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ১৩ এপ্রিল বন্ধ থাকা কুয়েট ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেন শিক্ষার্থীরা।  

পরে ১৪ এপ্রিল রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০১তম জরুরি সিন্ডিকেট সভায় ১৮ ও ১৯ ফেব্রুয়ারির সহিংসতার ঘটনায় ৩৭ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এছাড়া অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকা শিক্ষা কার্যক্রম আগামী ৪ মে এবং আবাসিক হলগুলো ২ মে খুলে দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়। 

এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে রাতেই প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীরা ১৫ এপ্রিল দুপুরে নিজেরাই একের পর এক হলের তালা ভেঙে প্রবেশ করেন।

এরপর উপাচার্যের পদত্যাগ না হলে তারা আমরণ অনশনের ঘোষণা দেন। এরই ধারাবাহিকতায় ২১ এপ্রিল বিকেল থেকে কুয়েটের ছাত্র কল্যাণ পরিষদ চত্বরে তারা অনশন শুরু করেন।  আরটিভি