দেশে স্বৈরাচারের পতন হলেও পূর্বের স্বৈরতন্ত্র ব্যবস্থা এখনও বহাল আছে। এর পরিবর্তন করা না হলে আবারও স্বৈরাচার ও স্বৈরতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হবে বলে মন্তব্য করেছেন সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার।
শনিবার (৫ জুলাই) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাড়ায় একটি কনভেনশন সেন্টারে সুজনের জেলা শাখা আয়োজিত ‘সচেতন, সংগঠিত ও সোচ্চার জনগোষ্ঠীই গণতন্ত্রের রক্ষাকবচ’ এবং ‘জাতীয় সনদ ও নাগরিক প্রত্যাশা’ শীর্ষক নাগরিক সংলাপে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বিগত আওয়ামী লীগ সরকার ও শেখ হাসিনার সমালোচনা করে সুজনের সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পূর্বে যেসব অঙ্গীকার করেছিল, ক্ষমতায় এসে তা বাস্তবায়ন করেনি। শেখ হাসিনা একই সঙ্গে দেশের প্রধানমন্ত্রী ও দলের সভাপতি থাকায় সরকার ও দল একাকার হয়ে গেছে। ফলে দেশে ভয়ানক অবস্থা সৃষ্টি হয়েছিল। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সঙ্গে দলীয় নেতাকর্মীরাও অন্যায় অনাচার করেছে। তাই একই ব্যক্তি রাষ্ট্র প্রধান ও দলের প্রধান প্রথা পরিবর্তন করা প্রয়োজন।’
বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলোর মতাদর্শের ভিন্নতা থাকলেও তারা যদি কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ঐকমত্যে আসতে পারতো তাহলে শেখ হাসিনার পতনের পর দেশে যে সম্ভাবনাগুলোর দ্বার উন্মোচন হয়েছে সেগুলো বাস্তবে রূপ নিতো।’
তিনি আরও বলেন, ‘রাজনৈতিক দল কতগুলো মৌলিক বিষয়ে একমত হয়ে জাতীয় সনদ প্রণয়ন করে সেটাতে সাক্ষর করা হলে তার ভিত্তিতে অদূর ভবিষ্যতে নির্বাচনের মাধ্যমে যে সরকার আসবে তাতে স্বৈরাচারের পুনপ্রবর্তন ঠেকানো যাবে।’
এছাড়া দ্রুত সময়ের মধ্যে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, একই সঙ্গে বিভিন্ন পর্যায়ে সংস্কারও প্রয়োজন।
নাগরিক সংলাপে আরও বক্তব্য দেন সুজনের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সমন্বয়কারী দিলীপ কুমার সরকার, জমির উদ্দিন সরকার, সংগঠনের জেলা সভাপতি ধীমান সাহা জুয়েল ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রফিউর রাব্বিসহ জেলার নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা।