ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেন্সকি শুক্রবার বলেন, “বিজয় আমাদেরই হবে”। ঐ দিন ইউক্রেনের সাথে রাশিয়ার সংঘাত ১০০তম দিনে প্রবেশ করে।
কিয়েভে প্রেসিডেন্টের বাসভবনের বাইরে ধারণ করা এক ভিডিওতে জেলেন্সকিকে দেখা যায়। তার আশেপাশে সেই কর্মকর্তারাই ছিলেন যারা ২৪ ফেব্রুয়ারি আক্রমণ আরম্ভ হওয়ার দিনে প্রকাশিত একই রকম আরেকটি ভিডিওতেও ছিলেন।
তারপর, ২৪ ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক বক্তব্যে ইউক্রেনে এক “বিশেষ সামরিক অভিযানের” ঘোষণা দেন।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন এটি একটি পূর্বপরিকল্পিত আক্রমণ ছিল। বাইডেন বলেন, “রাশিয়ার সামরিক বাহিনী ইউক্রেনের মানুষজনের উপর এক নিষ্ঠুর আক্রমণ আরম্ভ করেছে, উস্কানি ছাড়া, ন্যায়সঙ্গত কারণ ছাড়া, প্রয়োজন ছাড়া।”
এপ্রিল নাগাদ রুশ বাহিনী রাজধানী কিয়েভ থেকে পিছু হটতে শুরু করে। তবে তারা ভয়াবহ এক চিত্র পেছনে রেখে যায়। বুচার মত শহরগুলোতে অগ্রসর হওয়া ইউক্রেনের বাহিনী বেসামরিক মানুষের গণকবরের সন্ধান পায় এবং রুশ সৈন্যদের দ্বারা সংঘটিত অত্যাচার ও ধর্ষণের ব্যাপক প্রমাণ পায়। রাশিয়া দাবি করে যে প্রমাণগুলো সাজানো ছিল।
বুচায় গণকবর পরিদর্শনকালে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেন্সকি বলেন যে, বিশ্বকে অবশ্যই পদক্ষেপ নিতে হবে। তিনি বলেন, “এগুলো যুদ্ধাপরাধ এবং বিশ্ব এগুলোকে গণহত্যা হিসেবে স্বীকৃতি দিবে।”
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্র এখনও পর্যন্ত ৫,৩০০ কোটি ডলারের সামরিক, অর্থনৈতিক এবং মানবিক সহায়তা প্রদানের অঙ্গীকার করেছে।
অপরদিকে, অনেক দশক ধরে নিরপেক্ষ থাকা ফিনল্যান্ড এবং সুইডেন, রাশিয়ার আগ্রাসনের মুখে নেটোতে যোগ দেওয়ার আবেদন করে। তথ্য সূত্র ভয়েস অফ আমেরিকা বাংলা।