বুরকিনা ফাসোর উত্তরাঞ্চলে কয়েকটি হামলায় অন্তত ছয়জন নিহত হয়েছে। এসব হামলার জন্য জিহাদিদের দায়ী করা হয়েছে। স্থানীয় ও সামরিক সূত্র রোববার এএফপিকে এ খবর জানিয়েছে।
পশ্চিম আফ্রিকার দরিদ্র দেশটিতে জিহাদি হামলার প্রতিবাদে সপ্তাহান্তে শত শত মানুষ রাস্তায় নামে।
একটি নিরাপত্তা সূত্র এএফপিকে জানিয়েছে, শনিবার বাম প্রদেশের এ্যলগা শহরে সন্ত্রাসী হামলায় ৬ জন বেসামরিক নাগরিক প্রাণ হারিয়েছে।
স্থানীয় একজন বাসিন্দা বলেছেন, বিপুল সংখ্যক সন্ত্রাসী এসে বোলুঙ্গা গ্রাম এবং এ্যালগার সোনার খনির এলাকায় আক্রমণ করে।
তিনি বলেন, "সন্ত্রাসীরা বাড়িঘরে আগুন লাগিয়ে দেয় এবং সোনার খনি এলাকায় লুটপাট চালায়। এ সময় কমপক্ষে চারজন আহত হয়েছে।
তিনি বলেন, বাসিন্দারা রোববার গ্রাম ছেড়ে প্রায় ১০০ কিলোমিটার দূরে বড় শহরের দিকে যাচ্ছিল।
দ্বিতীয় নিরাপত্তা সূত্র জানিয়েছে, শনিবার রাতে নাইজার সীমান্তের কাছে দেশের উত্তরাংশে সেতেঙ্গাতে আরেকটি "মারাত্মক হামলা" হয়েছে।
বিশদ বিবরণ না দিয়ে সূত্রটি বলেছে, "এতে বেশ কিছু লোক প্রাণ হারিয়েছে।
সেতেঙ্গার লোকজন বুরকিনা ফাসোর উত্তরাঞ্চলে ডোরি শহরে পালিয়ে গেছে।
ডোরির একজন স্থানীয় রাজনীতিবিদ জানিয়েছেন, শহরে ২ হাজারের বেশি লোকের আগমন ঘটেছে। তিনি আরো বলেন, কর্তৃপক্ষ ও লোকজন বাস্তুচ্যুতদের সংস্থানের জন্য কঠোর পরিশ্রম করছে।
রোববার সরকারি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, "পরিস্থিতির জটিলতার" কারণে মৃতের সংখ্যা নিশ্চিত করা যায়নি।
সেনাবাহিনী জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সন্দেহভাজন জিহাদিরা সেতেঙ্গায় ১১ জন পুলিশকে হত্যা করেছে।
পুলিশের একটি দলের ওপর সন্ত্রাসী হামলা হয়। সামরিক বাহিনী বলেছে, হামলায় বেশ কিছু সন্ত্রাসী ও সেনা সদস্য মারা গেছে। তথ্য সূত্র বাসস।