News update
  • UN Warns Nearly 900 m Poor Face Climate Peril     |     
  • Global Finance Leaders Eye Gaza’s $70b Reconstruction Plan     |     
  • Over 1 million tickets sold for 2026 World Cup in North America: FIFA     |     
  • Daily struggles persist in Gaza even as ceasefire offers some respite     |     

জেলেনস্কি শাস্তির দাবি জানানোয় জাতিসংঘে চাপের মুখে রাশিয়া

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক সংঘাত 2022-09-22, 10:24pm




ইউক্রেনে আগ্রাসনের কারনে রাশিয়া বৃহস্পতিবার জাতিসংঘে সরাসরি চাপের মুখোমুখি হতে চলেছে। ইউক্রেনের পেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি মস্কোকে শাস্তি দেয়ার জন্য বিশ্বের কাছে আবেদন জানিয়েছেন। 

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে বিশ্বের নেতাদের কাছে এই শাস্তির আহ্বান জানানোর পর  ফ্রান্সের ডাকে ইউক্রেনে অধিকার লঙ্ঘনের জন্য দায় মুক্তির বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের উপস্থিতিতে বৃহস্পতিবার নিরাপত্তা পরিষদ একটি বিশেষ অধিবেশনে বসছে।

সকালের অধিবেশনে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন সহ শীর্ষ পশ্চিমা কূটনীতিকদের মুখোমুখি হতে হবে বলে মনে করা হচ্ছে। ল্যাভরভ ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেন আক্রমণের পর থেকে একের পর এক বৈঠক প্রত্যাখ্যান করেছেন।

দুই বছরের মহামারী বিধিনিষেধের পর কেবলমাত্র একজন নেতাকে কার্যত সাধারণ পরিষদে ভাষণের অনুমতি দেয়া হয়েছিল। জেলেনস্কির এই ভাষণের প্রাক-রেকর্ড করা ভিডিওতে রাশিয়ার ‘শাস্তির’ জন্য ১৫ বার আহ্বান জানিয়েছেন এবং এতে তিনি বিরল সমর্থন পেয়েছেন। 

জেলেনস্কি বলেন, ‘ইউক্রেন আমাদের ভূখন্ড চুরি করার চেষ্টার জন্য শাস্তি দাবি করছে। হাজার হাজার মানুষের হত্যার শাস্তি দাবি করছে। নারী ও পুরুষদের নির্যাতন ও অবমাননার শাস্তি দাবি করছে।’

জেলেনস্কি রাশিয়াকে জবাবদিহি করার জন্য একটি বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠনের আহ্বান জানিয়ে বলেছেন যে এটি হবে ‘সকল আক্রমণকারীদের জন্য সংকেত।’

তিনি একটি ক্ষতিপূরণ তহবিলও দাবি করে বলেছেন যে, রাশিয়াকে ‘এই যুদ্ধের জন্য নিজস্ব সম্পদ থেকে ক্ষতিপূরণ প্রদান করা উচিত।’

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট  ভ্লাদিমির পুতিন রিজার্ভ সেনাদের মোতায়েন করার এবং পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের হুমকি দেয়ার কয়েক ঘন্টা পরে জেলেনস্কি এ ভাষণ দেন।এতে এই আভাস দেয়া হচ্ছে যে, তিনি যুদ্ধ শেষ করার জন্য কোন তাড়াহুড়ো করছেন না।

জেলেনস্কি স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে, তিনি অবিলম্বে আলোচনার কোন সুযোগ দেখেন না। তিনি  বলেন, রাশিয়া কেবল যুদ্ধক্ষেত্রে সময় ক্ষেপণের  জন্য কূটনীতি ব্যবহার করেছে।

‘রাশিয়া প্রকৃত আলোচনাকে ভয় পায় এবং কোনো ন্যায্য আন্তর্জাতিক বাধ্যবাধকতা পূরণ করতে চায় না।’