ইউক্রেনীয়রা শনিবার খেরসন থেকে রাশিয়ার পশ্চাদপসরণ উদযাপন করেছে। কিয়েভ বলেছে, তারা দক্ষিণের এই কৌশলগত শহরকে মাইনমুক্ত ও রাশিয়ান অপরাধ রেকর্ড করতে এবং অঞ্চল জুড়ে ক্ষমতা পুনরুদ্ধারে কাজ করছে।
খেরসন ছিল ইউক্রেনের চারটি অঞ্চলের মধ্যে একটি, যেটিকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন সেপ্টেম্বরে সংযুক্ত করার দাবি করেছিলেন।
এর কয়েক সপ্তাহ পরে খেরসন শহর থেকে রাশিয়ান সেনারা পশ্চাদপসরণ করলো, প্রায় নয় মাস লড়াই করে ইউক্রেনীয়রা খেরসন মুক্ত করলো, যা ইউক্রেনীদের প্রতিরোধ শক্তি বাড়িয়ে তুলেছে।
খেরসনের বাইরে প্রভডাইনের পূর্বে দখলকৃত গ্রামে ফিরে আসা স্থানীয়রা তাদের প্রতিবেশীদের জড়িয়ে ধরে, এ সময় কেউ কেউ চোখের জল ধরে রাখতে পারেনি।
‘বিজয়, অবশেষে!’ স্বিতলানা গালাক এ কথা বলেন, যিনি যুদ্ধে তার বড় মেয়েকে হারিয়েছেন।
৪৩ বছর বয়সী গালাক এএফপিকে বলেন, ‘ঈশ্বরকে ধন্যবাদ আমরা মুক্ত হয়েছি এবং এখন সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে।’ গালাকের স্বামী ভিক্টর (৪৪) বলেন, ‘আমরাই ইউক্রেন’।
বেশ কিছু অচল অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক মাইন এবং গ্রেনেড দেখা গেছে বসতি এলাকায়, সেখানে একটি পোলিশ রোমান ক্যাথলিক চার্চ রয়েছে এবং বেশ কয়েকটি ক্ষতিগ্রস্তভবনও দৃশ্যমান।
খেরসন শহরের কেন্দ্র থেকে কথা বলতে গিয়ে, আঞ্চলিক প্রশাসনের প্রধান ইয়ারোস্লাভ ইয়ানুশেভিচ বলেছেন, এলাকায় ‘স্বাভাবিক জীবন ফিরিয়ে আনার জন্য’ সবকিছু করা হচ্ছে।
মাইন অপসারণের সময় কারফিউ জারি করা হয়েছে এবং শহরের ভিতরে এবং বাইরে চলাচল সীমিত করা হয়েছে।
ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী দ্বারা বিতরণ করা চিত্রগুলিতে দেখা গেছে যে, খেরসন বাসিন্দারা আগুন জ্বালিয়ে চারপাশে নাচছে এবং একটি দেশাত্মবোধক গান ‘চেরভোনা কালেনা’ গাইছে।
‘আজ আমরা সবাই উচ্ছ্সিত বোধ করছি’ এ কথা উল্লেখ করে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি শনিবার বলেছেন, কৃষ্ণ সাগরের শহর কিয়েভের হাতে ফিরে এসেছে। তথ্য সূত্র আরটিভি নিউজ।