News update
  • BSEC Chairman’s resignation urged to stabilise stock market     |     
  • Rain, thundershowers likely over 8 divisions: BMD     |     
  • First freight train leaves Mongla carrying molasses     |     
  • 2 dead, six hurt in Sherpur micro-autorickshaw-motorbike crash     |     
  • One killed over loud music row at wedding party in Natore     |     

গাজার সীমান্তবর্তী শহর রাফাহয় প্রাণঘাতী হামলা

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক সংঘাত 2024-02-04, 10:59am

eoiwruoqrp-3c629f00735976b3642e8ff04b7746c51707023082.jpg




গাজার সীমান্তবর্তী ঘনবসতিপূর্ণ শহর আরাফাহ শনিবার ভোরে এক প্রাণঘাতী হামলা স্থলে পরিণত হয়। তবে, তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতের সংখ্যা জানা যায়নি।

হামাস পরিচালিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় শনিবার জানিয়েছে, গত ৭ অক্টোর হামাস ইসরাইলে হামলা চালানোর পর শুরু হওয়া সংঘর্ষে, গাজায় কমপক্ষে ২৭,১৩১ জন নিহত হয়েছে; আহত হয়েছে অন্তত ৬৬,২৮৭ জন।

এদিকে, জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ'র জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাত ৫০ লাখ ডলার বরাদ্দ করেছিলো। এর পর, ৭ অক্টোবরের হামলায় ইউএনআরডব্লিউএ'র ১২ জন কর্মী অংশ নিয়েছে বলে অভিযোগ আসে। আর এ বিষয়ে খবর প্রকাশ হলে, সংযুক্ত আরব আমিরাত এই বরাদ্ধ স্থগিত করে। এই খবর প্রকাশের পর, আরো কয়েকটি দেশ ইউএনআরডব্লিউএ’র প্রতি তাদের অনুদান স্থগিত করে।

গাজা ভূখণ্ডে শুক্রবারও লড়াই অব্যাহত ছিলো বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি। স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থাটি আরো জানিয়েছে যে রাতভর হামলায় ১০৫ জন নিহত হয়েছে। হামাসের প্রেস অফিসের বরাত দিয়ে এএফপি জানিয়েছে, গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় খান ইউনিস শহর লক্ষ্য করে ইসরাল বাহিনী, কামান ও বিমান হামলা চালিয়েছে।

রয়টার্সের রিপোর্টে বলা হয়েছে, শুক্রবার ইসরাইলি বাহিনী গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় রাফাহ শহরের উপকন্ঠে গোলাবর্ষণ করেছে। ইসরাইলি বাহিনী খান ইউনিসে হামলা শুরু করলে, হাজার হাজার ফিলিস্থিনি রাফাহ শহরে পালিয়ে আসে। খান ইউসিনে ইসরাইলি বাহিনীর ঐ হামলা হলো, যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর সবচেয়ে বড় হামলাগুলোর মধ্যে একটি।

জাতিসংঘের মানবিক বিষয়ক সমন্বয় কার্যালয়ের মুখপাত্র জেনস লায়ের্ক, জেনেভায় শুক্রবার এক সংবাদ ব্রিফিং করেন। এসময় তিনি খান ইউনিসের সংঘাত বৃদ্ধি এবং এর পরিপ্রেক্ষিতে রাফাহ শহরে পালিয়ে যাওয়া মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

লার্কে বলেন, জাতিসংঘের সংস্থা ও সহযোগী স্বাস্থ্য সংস্থাগুলোর সবচেয়ে বড় ভয়ের বিষয় হলো রোগ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা। সেখানে মানুষের জন্য পর্যাপ্ত খাবার, বিশুদ্ধ খাবার পানি বা আশ্রয়ের কোনো ব্যবস্থা নেই; তিনি যোগ করেন।

শুক্রবার, হামাস নেতারা ইঙ্গিত দিয়েছে, সপ্তাহের শুরুতে প্যারিসে মিশর, কাতার ও যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের মধ্যস্থতায় একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রস্তাব তারা পেয়েছেন। আর, তারা শীঘ্রই এতে সাড়া দেবেন। এই প্রস্থাবের প্রতি ইসরাইলেরও সম্মতি রয়েছে বলে উল্লেখ করেন তারা।

এএফপির খবরে বলা হয়েছে, এই প্রস্তাবে তিন পর্যায়ের পরিকল্পনা রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে, প্রাথমিকভাবে, ছয় সপ্তাহের যুদ্ধ বিরতি কার্যকর করা এবং গাজায় আরো বেশি ত্রান সরবরাহ করার মাধ্যমে পরিকল্পনা বাস্তবায়ন শুরু করা। ভয়েস অফ আমেরিকা