News update
  • $10mn Approved for Climate Resilience in CHT: ICIMOD     |     
  • At least 143 dead in DR Congo river boat fire tragedy     |     
  • Dhaka has worst air pollution in the world Saturday morning     |     
  • Container ships to ply between Mongla and Chattogram ports     |     
  • France to Break Away from UK & US in Recognising Palestine as Nation State     |     

রাশিয়া কি ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে রাজি হবে?

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক সংঘাত 2025-03-12, 6:58am

6720f104e8b117acc9f9808def8b303c3dab18e031df4896-fd49504c74e21fe3aca30983b5c435301741741096.jpg




যুক্তরাষ্ট্রের উত্থাপিত ৩০ দিনের একটি যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে ইউক্রেন। মঙ্গলবার (১১ মার্চ) জেদ্দায় যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেনের শীর্ষ কূটনীতিকদের গুরুত্বপূর্ণ এক বৈঠকের পর যৌথ বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। রাশিয়া এই প্রস্তাবে রাজি হলে যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হবে বলে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন। প্রশ্ন হচ্ছে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন কি যুক্তরাষ্ট্রের এই প্রস্তাবে রাজি হবেন।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, সৌদি আরবের জেদ্দায় যুক্তরাষ্ট্র-ইউক্রেনের বৈঠকের পর এক যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, রাশিয়ার সঙ্গে তাৎক্ষণিকভাবে ৩০ দিনের একটি অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর এবং যুদ্ধ অবসানের লক্ষ্যে আলোচনা শুরু করতে যুক্তরাষ্ট্রের দেয়া প্রস্তাবে ইউক্রেন সম্মত হয়েছে।

ওই বৈঠকের পর যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে পুনরায় সামরিক সহায়তা এবং গোয়েন্দা তথ্য দিতেও রাজি হয়েছে।

বৈঠকে জেলেনস্কির চিফ অব স্টাফ আন্দ্রি ইয়ারমাকের নেতৃত্বে ইউক্রেনের একটি উচ্চ পর্যায়ের কূটনৈতিক ও সামরিক প্রতিনিধি দল অংশ নিয়েছেন।

অন্যদিকে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্ব দিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও।  ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি সৌদি আরবে থাকলেও মূল আলোচনায় তিনি উপস্থিত ছিলেন না বলে জানা গেছে।

জেদ্দায় এই বৈঠক শেষে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও সাংবাদিকদের বলেন, ‘যুদ্ধ শেষ করার জন্য এখন বল রাশিয়ানদের কোর্টে’। এই প্রস্তাবটি মস্কোর কাছে উপস্থাপন করা হবে।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আশা রাশিয়া প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সম্মত হবে। তিনি বলেন, ‘এরপরও তারা (রাশিয়া) এতে সম্মত না হলে আমরা জানতে পারব শান্তি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে আর কী বাধা আছে।’

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউক্রেনের যুদ্ধের অবসান চান উল্লেখ করে রুবিও, ‘প্রস্তাবটি হলো গুলি বন্ধ করা। এই যুদ্ধে আজও মানুষ মারা যাচ্ছে, গতকালও মারা গেছে এবং দুঃখের বিষয়-যদি যুদ্ধবিরতি না হয়, তাহলে আগামীকাল মারা যাবে।’

এদিকে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে রাজি হওয়ায় ইউক্রেনকে সাধুবাদ জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চলতি সপ্তাহে যুদ্ধ বন্ধে পুতিনের সঙ্গে আলোচনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।

মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, আমি আশা করি আগামী কয়েকদিনের মধ্যে চুক্তিটি হতে পারে।

এছাড়া ইউক্রেনের সঙ্গে স্যাটেলাইটের ছবি বিনিময়ের ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার পাশাপাশি সামরিক সহায়তা অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছেন।

অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবে ইউক্রেন সম্মতি জানালেও মস্কোর পক্ষ থেকে এখনো কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। বিশ্লেষকরা বলছেন, গত ২৮ ফেব্রুয়ারি হোয়াইট হাউসে ট্রাম্প-জেলেনস্কির উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের পর যুক্তরাষ্ট্র-ইউক্রেনের সম্পর্ক যেভাবে তলানিতে ঠেকেছিল জেদ্দায় বৈঠকের পর সেটা কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হয়েছে। ওয়াশিংটনের প্রস্তাবে কিয়েভের সম্মতিই তার প্রমাণ।

ফলে যুক্তরাষ্ট্রের উত্থাপিত একটি অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে ইউক্রেনের সম্মতির পর যুদ্ধ বন্ধে রাশিয়া কী পদক্ষেপ নেবে তাতে নজর থাকবে বিশ্ববাসীর। ইউরোপে ইউক্রেনের অনেক মিত্র দেশ অস্থায়ী এই যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবের পক্ষে তাদের সমর্থন জানিয়েছেন। ফলে যুদ্ধবিরতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবে ক্রেমলিন এখন চাপে থাকবে বলেই বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।

মঙ্গলবার ক্রেমলিন জানিয়েছে, ওয়াশিংটনের কাছ থেকে বিস্তারিত জানার পর তারা একটি বিবৃতি দেবে। যদিও সেটি কখন হতে পারে তা এখনও স্পষ্ট নয়। 

সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনের তথ্যানুযায়ী, ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ চলতি সপ্তাহের শেষের দিকে মস্কো সফর করতে পারেন।

এর আগে মস্কো জোর দিয়ে বলেছে, অস্থায়ী যেকোনো যুদ্ধবিরতি চুক্তির ফলে ইউক্রেন পুনরায় সংগঠিত হবে। এছাড়া যুদ্ধ বন্ধের শর্ত হিসেবে একাধিকবার পুতিন বলেছেন, যুদ্ধ বন্ধ করতে হলে ইউক্রেনকে অবশ্যই তার ন্যাটোতে যোগ দেয়ার ইচ্ছা ত্যাগ করতে হবে এবং চারটি ইউক্রেনীয় অঞ্চল থেকে তার সৈন্য পুরোপুরি প্রত্যাহার করতে হবে। যে অঞ্চলগুলোর বেশিরভাগই রাশিয়া নিয়ন্ত্রণ করছে।  

যুদ্ধবিরতি নিয়ে সৌদি আরবে আলোচনার মধ্যেও মঙ্গলবার রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে পাল্টাপাল্টি বড় ধরনের হামলা হয়েছে। ফলে যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে রাশিয়া কী প্রতিক্রিয়া জানাবে তা এখনও স্পষ্ট নয়। সময়