News update
  • Tarique Rahman to Return Home With Daughter on Dec 25     |     
  • ILO praises Bangladesh’s labour reforms, new milestones     |     
  • Depositors stranded as Sammilito Islami Bank is in liquidity crisis     |     
  • BNP faces uphill task to reach seat-sharing deal with allies     |     
  • Bangladesh rejects India’s advice; vows free, fair polls     |     

যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসন, নিহত ৬৯ হাজার ছাড়াল

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক সংঘাত 2025-11-09, 9:31am

3c113dcda43763427a5d7b68bd03b58c3adfe168fdcc5e98-e88e08be5a96f8df73c7d4e5ffdeb3691762659067.jpg




ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস ও ইসরাইলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রায় একমাস পরও গাজায় মৃতের সংখ্যা বাড়ছে। ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে মরদেহ উদ্ধারের চলমান প্রচেষ্টার মধ্যে প্রতিদিনই হতাহতের খবর পাওয়া যাচ্ছে।

শনিবার (৮ নভেম্বর) গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ইসরাইলের হামলায় গাজায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৬৯ হাজার ১৬৯ জনে পৌঁছেছে।

মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত মাসে যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হওয়ার পর থেকে ইসরাইলি হামলায় ২৪০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, শনিবার ইসরাইলি হামলায় আরও দুই ফিলিস্তিনির  মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। যুদ্ধবিরতি স্বাক্ষরের পরও নানা অজুহাতে ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইলি সেনারা। গাজার উত্তর সীমান্তে ‘ইয়েলো লাইন’ অতিক্রম করার অভিযোগ তুলে হত্যা করেছে আরও কয়েকজনকে।

স্থানীয়দের দাবি, যুদ্ধবিরতির পর নির্ধারিত এই ‘ইয়েলো লাইন’ আসলে অদৃশ্য এক সীমা, যা কোথায় রয়েছে কেউ জানে না। এতে ইসরাইলি বাহিনীর গুলিতে প্রতিদিনই প্রাণ হারাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। হামলা চলছে অন্যান্য এলাকাতেও। নেতানিয়াহু বাহিনীর পুঁতে রাখা বোমা বিস্ফোরিত হয়ে প্রাণ গেছে শিশুরও।

স্থানীয় কর্তৃপক্ষের হিসাব অনুযায়ী, ইসরাইল প্রায় দুই লাখ টন বোমা ফেলেছে গাজায়, যার মধ্যে ৭০ হাজার টন এখনো নিষ্ক্রিয় অবস্থায় রয়েছে।

গাজার শেখ রাদওয়ান এলাকায় দেখা দিয়েছে ভয়াবহ দূষিত পানির সংকট। বৃষ্টির পানি ধরে রাখার পুকুরে জমে আছে ময়লা-আবর্জনা। ইসরাইলি হামলায় পাম্প স্টেশন ও নিষ্কাশন ব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে যাওয়ায় ওই পানি ছড়িয়ে পড়ছে আশপাশের বসতি ও আশ্রয়শিবিরে।

স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, পানির স্তর ৬ মিটার পর্যন্ত বেড়ে গেছে, যা দুর্গন্ধ, মশা ও সংক্রমণের ঝুঁকি তৈরি করেছে। জাতিসংঘের প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজার ভূগর্ভস্থ পানির বেশিরভাগ অংশই এখন মারাত্মকভাবে দূষিত।

এদিকে, পশ্চিম তীরেও বাড়ছে সহিংসতা। জেনিনের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের রাবা গ্রামে ফিলিস্তিনিদের বাড়িঘরে হামলা চালায় ইসরাইলি বসতি স্থাপনকারীরা। তাদের সহায়তা করছে সেনারা। জাতিসংঘের তথ্য বলছে, সেপ্টেম্বর থেকে পশ্চিম তীরে ৭০টি গ্রামে ১২৬টি সহিংস হামলা হয়েছে। পুড়ে গেছে চার হাজারেরও বেশি জলপাই গাছ।

অন্যদিকে, লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলের কয়েকটি শহরে ইসরাইলি হামলায় বেশ কয়েকজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অনেকে। যদিও এক বছরেরও বেশি সময় আগে কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতির পরও ইসরাইল নিয়মিতভাবে লেবাননে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। এ অবস্থায় ইসরাইলকে যুদ্ধবিরতি চুক্তি মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছ ইউরোপীয় ইউনিয়ন।