ইফতারের পর শুয়ে পড়া বা ঘুমানোর অভ্যাসে খাবার দেরিতে হজম হয়। ছবি: সংগৃহীত
রোজা রাখার পর ইফতার শেষে অনেকেই এমন কিছু কাজ করেন যা মোটেও উচিত নয়। কিছু কাজ রয়েছে যা ইফতারের পর করলে বিভিন্ন স্বাস্থ্যঝুঁকির শঙ্কা তৈরি হয়। তাই আসুন জেনে নিই, ইফতারের পর এমন কিছু কাজ সম্পর্কে যা হঠাৎ শারীরিক ক্ষতির কারণ হতে পারে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য বিষয়ক ওয়েবসাইট হেলথলাইনের কয়েকটি প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, শারীরিক ক্ষতি এড়াতে খাওয়ার পর কিছু কাজ বা অভ্যাস না করার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। আর সেসব নিষেধ করা কাজই ইফতারের পর আমরা ভুলবশত করে ফেলি।
কারণ দীর্ঘ সময় খাবার বিরতির পর ইফতার করলে শরীরে ক্লান্তি নেমে আসে। যে কারণে অল্প সময়ের জন্য এনার্জি পেতে আমরা না বুঝেই শরীরের জন্য ক্ষতি হয় এমন কিছু ভুল করে ফেলি। যেমন-
১। ইফতারের পর বেশি খাবার একসঙ্গে খাওয়া: দীর্ঘ সময় খাবার বিরতি থাকায় এমনিতেই ক্ষুধা বেশি লাগে। তাই ক্ষুধা বেশি থাকলেও ইফতারের সময় ও ইফতারের পর একসঙ্গে বেশি খাবার খাওয়া যাবে না।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এমনটা করলে ক্লান্তিবোধ বেশি লাগে। সেই সঙ্গে সমস্যা দেখা দেয় পেট ব্যথা, গ্যাস, অ্যাসিডিটি, বদহজমের মতো সমস্যা।
২। চা, কফি, ধূমপান: ইফতার শেষে ঝটপট চাঙা হতে অনেকেই চা, কফি খান। অনেকে ধূমপান করেন। এতে খাদ্যনালীর স্বাভাবিক পিএইচে পরিবর্তন ও হজমে ব্যঘাত ঘটে।
৩। বেশি ঠান্ডা পানি পান করা: অনেকে গরম থেকে বাঁচতে ইফতারের সময় এবং ইফতারের পর বেশি ঠান্ডা পানি খান। ঠান্ডা শরবত খেতে পছন্দ করেন। স্বাভাবিক তাপমাত্রার সাথে ঠান্ডা পানির তাপমাত্রার পার্থক্য থাকায় শরীরে অতিরিক্ত শক্তি খরচ হয়। এতে ক্লান্তিবোধ ঘিরে ধরার পাশাপাশি শঙ্কা তৈরি হয় ঠান্ডাজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হওয়ার।
৪। গোসল করা: ইফতারের পর অনেকেই ক্লান্তি দূর করতে গোসল করেন। এমনটা করা উচিত নয়। কারণ খাওয়ার পর পাকস্থলীতে সরবরাহকৃত রক্তের পরিমাণ বাড়তে শুরু করে। আর এ সময়ই গোসল করলে হঠাৎ পাকস্থলীতে সরবরাহকৃত রক্তের পরিমাণ কমতে শুরু করে। যা শরীরের নানা জটিলতা তৈরিসহ হজমে ব্যাঘাত ঘটায়।
৫। শুয়ে পড়া বা ঘুমানো: ইফতার করার পর অনেকে বিছানায় শুয়ে পড়েন। অনেকে আবার ঘুমিয়ে যান। এতে হজম প্রক্রিয়া ধীরগতির হয়। কাবার হজম হতে বেশি সময় লাগে। ফলে রাতের খাবারের সময় অনেকেরই খিদে পায় না। অনেকের আবার মাঝরাতে অস্বস্তিবোধ শুরু হয়। তাই ইফতারের পর শুয়ে পড়া বা ঘুমানোর অভ্যাসও এড়িয়ে চলুন।