News update
  • Bangladesh-Japan FOC to Be Held in Tokyo on May 15     |     
  • Young Talents Shine at Inaugural Kidlon Junior Award 2025     |     
  • Italy to Hire More Bangladeshi Workers, Says Matteo Piantedosi     |     
  • Fire at Dhaka's Bailey Road building tamed after an hour     |     
  • BNP Prepares Grand Reception for Returning Chairperson Khaleda      |     

কলাপাড়ায় চিকিৎসক সংকটে স্বাস্থ্য সেবা নিয়ে বাড়ছে উৎকন্ঠা

হাসপাতাল 2025-04-27, 12:09am

kalapara-health-complex-beds-are-lying-mostly-empty-da9736edb6710375660be7874c006ad11745690990.jpg

Kalapara health complex beds are lying mostly empty.-26-04-25



পটুয়াখালী: পটুয়াখালীর দুর্যোগপ্রবন কলাপাড়া উপজেলার সাধারন মানুষ চিকিৎসা সেবা নিয়ে বিপাকে পড়েছে। উপজেলায় ৩৬ জন চিকিৎসকের বিপরীতে মাত্র / জন চিকিৎসক কর্মরত থাকায় যথাযথ সেবা না পেয়ে দিন দিন সরকারী হাসপাতাল বিমূখ হয়ে পড়ছে সাধারন মানুষ। এতে বিত্তবানরা চিকিৎসা সেবা পেতে পটুয়াখালী জেলা সদর, বরিশাল বিভাগীয় শহর রাজধানী ঢাকা শহর অভিমূখে যাচ্ছে। আর মধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্তদের ভরসা হয়ে উঠছে পল্লী চিকিৎসক আর হাতুড়ে ডাক্তার। কেউ কেউ আবার চিকিৎসা সেবা নিতে অজ্ঞতাবশত প্রাইভেট হাসপাতাল ডায়াগনেষ্টিক সেন্টারের দালালের খপ্পড়ে পড়ে সর্বশান্ত হচ্ছে। এছাড়া স্বাস্থ্য সেবা নিয়ে উদ্বিগ্ন পায়রা সমুদ্র বন্দর তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে কর্মরত হাজার চায়না শ্রমিক। এমনকি কুয়াকাটা পর্যটনকেন্দ্রে আগত কোন পর্যটক হঠাৎ অসুস্থ্য হয়ে পড়লেও চিকিৎসা সেবা পাওয়ার সুযোগ নেই। অথচ চিকিৎসা সেবা নিয়ে মানুষের এমন দূর্ভোগ লাঘবে পদক্ষেপ নিচ্ছেনা কেউ। উপজেলা স্বাস্থ্য প্রশাসন সূত্র বলছে চিকিৎসক সংকটের বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয়েছে।  

সূত্র জানায়, উপজেলায় মোট চিকিৎসকের পদ সংখ্যা ৩৬। এরমধ্যে উপজেলা ৫০ শয্যা হাসপাতালে ২১টি পদের বিপরীতে চিকিৎসক রয়েছে মাত্র / জন, কুয়াকাটা ২০ শয্যা হাসপাতালে ৬টি পদের সবকটি পদ শূন্য, মহিপুর উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ১টি পদের ১টি পদ শূন্য এবং ইউনিয়ন স্বাস্থ্য পরিবার কল্যান কেন্দ্রের ৮টি পদের ৮টি পদ শূন্য রয়েছে। এছাড়া মাঠ পর্যায়ের স্বাস্থ্য পরিদর্শকের ৩টি পদের ৩টি পদ শূন্য রয়েছে। সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শকের ৮টি পদের বিপরীতে কর্মরত রয়েছে ৬জন এবং স্বাস্থ্য সহকারী ৩৯টি পদের বিপরীতে কর্মরত রয়েছে মাত্র ২৩ জন। তন্মধ্যে আবার ১জন রয়েছে ডেপুটেশনে।
সূত্রটি আরও জানায়, কলাপাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২১ জন চিকিৎসকের পদের বিপরীতে জন চিকিৎসক যোগদান করলেও তিন লাখ জনসংখ্যা অধ্যুষিত উপজেলায় চিকিৎসা সেবা পেতে দূর্ভোগে রয়েছে মানুষ। এমন অবস্থার মধ্যেও হাই তদ্বিরে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে ডেপুটেশনে রয়েছে ডা. মো. সাইফুর রহমান, ঢাকা গাজীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কর্মরত রয়েছে ডা. সৈয়দ আশিকুর রহমান। শ্রান্তি বিনোদনের ছুটিতে রয়েছে ডা. তানজিলা হাসির তৃষা এবং মাতৃত্বজনিত ছুটিতে ডা. পলি সাহা।
এদিকে সরকারী হাসপাতালের চিকিৎসক সংকটকে পুঁজি করে ফায়দা লুটছে স্থানীয় প্রাইভেট হাসপাতাল, ক্লিনিক ডায়াগনেষ্টিক সেন্টার গুলো। সরকারী হাসপাতালে চিকিৎসক যাতে পদায়ন করা না হয় সেজন্য তারা লবিং তদ্বিরও করছেন। এমনও গুঞ্জন রয়েছে শিশু, মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. বিকাশ রায় কলাপাড়ায় যোগদানের পরপরই হাসপাতালে রোগীদের ভিড় বাড়ায় তদ্বির করে তাকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে অন্যত্র।
কলাপাড়া হাসপাতাল ঘুরে দেখা যায়, হাসপাতালে অল্প সংখ্যক দরিদ্র রোগী ভর্তি থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। যাদের প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়ার সক্ষমতা নেই। কথা হয় ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে বালিয়াতলি ইউনিয়নের চর নজিব গ্রামের মো. নুরুল ইসলাম (৬৮) এর সাথে। তিনি বলেন, সারাদিনে একবার ডাক্তার এসে দেখলেও পারে, না দেখলেও কিছু করার নেই। হাসপাতালের খাবার খেতে পারছেন না, কষ্ট হলেও বাইরে থেকে খাবার এনে খাচ্ছেন। একই কথা বললেন টিয়াখালী ইউনিয়নের পূর্ব বাদুরতলি গ্রামের টাইফয়েড আক্রান্ত সাগর (২৫)
উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. জেএইচ খান লেলিন বলেন, ’চিকিৎসক সংকটের বিষয়টি যথাযথ কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার অবগত করা হয়েছে। বিপুল সংখ্যক রোগীদের সেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে আমাদের। প্রশাসনিক কাজ ফেলে আমি নিজে এখন সকাল ৭টায় হাসপাতালের বহির্বিভাগের রুমে বসি। এমার্জেন্সেীতে রোষ্টার করে দুই জনকে বসাতে হচ্ছে। দ্রুত সমস্যার সমাধানে আশাবাদী তিনি।’ - গোফরান পলাশ