News update
  • Bangladesh Bank Buys $115 Million to Support Forex Market     |     
  • Tarique Rahman, Daughter Zaima Added to Voter List     |     
  • NCP and LDP Join Jamaat-Led Eight-Party Alliance     |     
  • Tarique Rahman’s gratitude to people for welcoming him on his return     |     
  • Attorney General Md Asaduzzaman resigns to contest election     |     

বাংলাদেশে ৪ কোটি শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত

error 2021-06-13, 9:46am

School-cllege students tooke to Dhaka streets for the third day on Wednesday.



দফায় দফায় লকডাউন ও বিধি-নিষেধের কারণে বাংলাদেশে প্রায় চার কোটি শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে গেছে। দীর্ঘদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে নানা সমস্যা দেখে দিয়েছে। বাড়ছে মানসিক চাপ। সংবাদমাধ্যমের খবর, হতাশায় ডুবে যাওয়া ১৫১ জন শিক্ষার্থী ইতিমধ্যেই আত্মহত্যা করেছে। এদের বেশিরভাগেরই বয়স ১২ থেকে ২০ বছরের মধ্যে। করোনা সংক্রমণের উর্ধগতির কারণেই গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। বার কয়েক উদ্যোগ নিয়েও শেষ পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা সম্ভব হয়নি। শনিবার আরেক দফা ছুটি বাড়িয়ে ৩০শে জুন পর্যন্ত করা হয়েছে। এতে বলা হয়, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে শিক্ষার্থীদের সুরক্ষার জন্য এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার সময়ে অনলাইন বা টেলিভিশনে কিছু কিছু ক্লাস হচ্ছে। কিন্তু যেসব শিক্ষার্থী গ্রামে থাকে, তাদের পক্ষে এসব ক্লাসে যোগদান করা সম্ভব হচ্ছে না।
করোনা নিয়ন্ত্রণে গঠিত জাতীয় পরামর্শক কমিটি বলেছে, সংক্রমণ পাঁচ এর নিচে না আসা পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা ঠিক হবে না। গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ১২ শতাংশ। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ নিয়ে শিক্ষার্থী ও অবিভাবকদের মধ্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া রয়েছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী ফাতেমা তুজ জিনিয়ার প্রশ্ন-সবকিছু খোলা থাকলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে কেন?
সীমান্তবর্তী জেলা শুধু নয়, এর বাইরের জেলাগুলোতেও করোনা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। গত এক সপ্তাহে সংক্রমণ বেড়েছে ২০ শতাংশেরও বেশি। উর্ধগতি রয়েছে ২২টি জেলায়। এরমধ্যে ৮টি জেলা সীমান্তবর্তী নয়। জনস্বাস্থ্য বিজ্ঞানীরা বলছেন, যেভাবে সংক্রমণ হচ্ছে তাতে করে সারা দেশেই এর প্রভাব পড়তে পারে। সবচাইতে বেশি আক্রান্ত হয়েছে নড়াইল জেলা। ৬০ দশমিক ৯৬ শতাংশ মানুষ এই জেলায় আক্রান্ত হয়েছেন। এর পর রয়েছে সাতক্ষীরা। ৫৩ দশমিক ১৮ শতাংশ মানুষের শরীরে করোনার হদিস মিলেছে। লালমনিরহাট, রাজশাহী, চাঁপাই নবাবগঞ্জ, নাটোর, খুলনাসহ সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে সংক্রমণ বেড়েই চলেছে। রাজশাহীতে মৃত্যু কমেছে। তবে শনাক্ত বেড়েছে। ৩৬৩ জনের শরীরে নমুনা পরীক্ষা করার পর শনাক্ত হয়েছেন ১৪৩ জন।
ওদিকে গত একদিনে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় আক্রান্ত হয়েছেন এক হাজার ৬৩৭ জন। - ভয়েস অব আমেরিকা বাংলা