
বর্তমানে দৈনন্দিন যোগাযোগের অন্যতম প্রধান মাধ্যম হয়ে দাঁড়িয়েছে জিমেইল। তবে অনেক সময় প্রয়োজনীয়-অপ্রয়োজনীয় ই-মেইলের চাপে জিমেইলের নির্ধারিত ১৫ জিবি স্টোরেজ দ্রুত পূর্ণ হয়ে যায়। স্টোরেজ পূর্ণ হয়ে গেলে নতুন ই-মেইল আসা বন্ধ হয়ে যায়, যা গুরুত্বপূর্ণ কাজে বিঘ্ন ঘটায়।
গুগল অতিরিক্ত স্টোরেজের জন্য অর্থের বিনিময়ে সাবস্ক্রিপশন সুবিধা দিলেও, ৫টি সহজ কৌশল অবলম্বন করে বিনা খরচেই জিমেইলের অনেকটা জায়গা খালি করা সম্ভব।
জিমেইলের জায়গা খালি করার প্রথম ধাপ হিসেবে নিয়মিত ‘ট্র্যাশ’ ও ‘স্প্যাম’ ফোল্ডার পরিষ্কার করা জরুরি। অনেক ব্যবহারকারীই ই-মেইল ডিলিট করে মনে করেন জায়গা খালি হয়েছে, কিন্তু প্রকৃতপক্ষে মুছে ফেলা ই-মেইলগুলো ট্র্যাশ ফোল্ডারে ৩০ দিন পর্যন্ত জমা থাকে এবং স্টোরেজ দখল করে রাখে।
তাই দ্রুত ফল পেতে এই দুটি ফোল্ডার ম্যানুয়ালি খালি করে ফেলা উচিত। এছাড়া জিমেইলের স্টোরেজ দ্রুত পূর্ণ হওয়ার অন্যতম কারণ হলো বড় আকারের অ্যাটাচমেন্ট।
সার্চ বক্সে লিখুন has:attachment larger:10M। সার্চ করলে ১০ মেগাবাইটের বেশি বড় ফাইলযুক্ত ই-মেইলগুলো সামনে চলে আসবে। এখান থেকে অপ্রয়োজনীয় মেইলগুলো বাছাই করে মুছে ফেললে মুহূর্তেই অনেকটা জায়গা খালি হয়।
প্রয়োজনে অনেক সময় আমরা নানা ওয়েবসাইটে ই-মেইল দিয়ে থাকি। এর ফলে প্রতিনিয়ত অসংখ্য নিউজলেটার ও প্রমোশনাল ই-মেইল আসতে থাকে যা ইনবক্সের অনেকটা জায়গা দখল করে।
এই সমস্যা এড়াতে অপ্রয়োজনীয় নিউজলেটারগুলো ‘আন-সাবস্ক্রাইব’ করা এবং প্রমোশনস ট্যাবটি নিয়মিত পরিষ্কার রাখা প্রয়োজন। এছাড়া সমন্বিতভাবে স্টোরেজ ব্যবস্থাপনা করার জন্য ‘গুগল ওয়ান স্টোরেজ ম্যানেজার’ টুলটি ব্যবহার করা যেতে পারে। এই টুলের মাধ্যমে জিমেইল, গুগল ড্রাইভ ও গুগল ফটোসের মধ্যে কোন ফাইলগুলো সবচেয়ে বেশি জায়গা দখল করে আছে তা সহজেই চিহ্নিত করে মুছে ফেলা সম্ভব।
সর্বশেষ কৌশল হিসেবে সরাসরি অ্যাটাচমেন্টের বদলে ক্লাউড স্টোরেজের লিংক ব্যবহারের অভ্যাস করতে হবে। বড় কোনো ছবি বা ভিডিও সরাসরি ই-মেইলে পাঠানোর পরিবর্তে গুগল ড্রাইভ বা অন্য কোনো ক্লাউড সার্ভিসে আপলোড করে তার লিংক শেয়ার করলে জিমেইলের স্টোরেজ সুরক্ষিত থাকে।
এই সহজ নিয়মগুলো মেনে চললে বাড়তি খরচ ছাড়াই সাবলীলভাবে ব্যবহার করা যাবে জিমেইল সেবা।