News update
  • Belem countdown: Climate talks race to the finish     |     
  • 100 rooms of a colony burned to ashes in Gazipur     |     
  • BNP demands Returning Officers, Assistant ROs from EC’s staff     |     
  • Stocks extend gains as market sentiment turns brighter     |     
  • Massive fire at Gazipur factory; 500 workers evacuated     |     

লস অ্যাঞ্জেলেসে ভয়াবহ দাবানলে নিহত বেড়ে ১৬

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক আন্তর্জাতিক 2025-01-12, 2:14pm

ewrewrt-3822ecd148231a75fa3218d70eefe2fd1736669652.jpg




যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের লস অ্যাঞ্জেলেসে ভয়াবহ দাবানলে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৬ জনে দাঁড়িয়েছে। আগুন ছড়িয়ে পড়ায় একের পর এক পুড়ছে নতুন নতুন এলাকা। 

রোববার (১২ জানুয়ারি) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, লস অ্যাঞ্জেলেসের চারপাশে বর্তমানে চারটি দাবানল জ্বলছে। এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে ইটনের আগুনে ১১ জন এবং প্যালিসেডসের আগুনে পাঁচজন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া আরও ১৩ জন নিখোঁজ রয়েছেন।

মালিবুর পূর্ব প্রান্তের এক-তৃতীয়াংশ এলাকা পুড়ে গেছে। শহরটির মেয়র বলেছেন, বাতাস আবার বৃদ্ধি পাওয়ায় আগুন নেভানোর প্রচেষ্টাকে জটিল করে তুলতে পারে।

সবচেয়ে বড় দাবানলটি প্যালিসেডসের পূর্ব দিকে ছড়িয়ে পড়ছে এবং ব্রেন্টউডের উচ্চবিত্তদের এলাকাকে হুমকির মুখে ফেলেছে। সেখান থেকে লোকজনকে সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আগামী দিনগুলোতে ঝড়ো বাতাসের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে, যা আগুনকে আরও তীব্র করে তুলতে পারে। দমকল কর্মীরা প্যালিসেডসে জ্বলন্ত পাহাড়ে আকাশ থেকে পানি ও আগুন-নিরোধক রাসায়নিক প্রয়োগ করছেন। দ্রুত ছড়িয়ে পড়া আগুন নিয়ন্ত্রণে দমকল কর্মীরা পানির লাইনে পানি না পাওয়ায় ব্যাপক ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে কর্মকর্তারা এ বিষয়টি নিয়ে চাপের মধ্যে রয়েছেন।

প্যালিসেডসের আগুন প্রায় ২৩ হাজার একর এলাকা ধ্বংস করেছে এবং মাত্র ১১ শতাংশ নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। দমকল কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে সামান্য অগ্রগতি অর্জন করেন।

দ্বিতীয় বৃহত্তম দাবানল ইটনের আগুন ১৪ হাজার একরের বেশি এলাকা ধ্বংস করেছে এবং ১৫ শতাংশ নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। অন্য দুটি ছোট দাবানল, কেনেথ ও হার্স্টের আগুন প্রায় পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় আবহাওয়া দপ্তর সতর্ক করে বলেছে, সান্তা আনাতে ঝড়ো বাতাস বয়ে যাবে এবং শনিবার ও রোববার আরও শক্তিশালী হবে। সান্তা আনার বাতাসই এই দাবানলের সূচনা করেছিল।

ক্যালিফোর্নিয়ায় সাহায্যের জন্য সাতটি প্রতিবেশী রাজ্য, ফেডারেল সরকার এবং কানাডা ও মেক্সিকো থেকে সাহায্য পাঠানো হয়েছে।

দাবানলের কারণ এখনও জানা যায়নি। দুটি বৃহত্তম দাবানল একসঙ্গে ম্যানহাটনের দ্বিগুণেরও বেশি এলাকা ধ্বংস করেছে।