News update
  • World leaders meet in Brazil to tackle global warming     |     
  • Brazil Launches Fund to Protect Forests and Fight Climate Change     |     
  • UN Warns Conflicts Are Devastating Ecosystems Worldwide     |     
  • Flood-hit Kurigram char residents see little hope in politics, elections     |     
  • Air quality of Dhaka continues to be ‘unhealthy’ Friday morning     |     

হাজারো পাখির কিচিরমিচির শব্দে ঘুম ভাঙে যে গ্রামের মানুষের

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক জীববৈচিত্র 2024-02-11, 6:21am

stetwete-11f070b777408d42316cd8d68a2c0ffa1707610899.jpg




নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার জয়াগ ইউনিয়নের সাতরা গ্রামে শত বছর বিচরণ করছে হাজারো পাখি। নানা প্রজাতির পাখির কিচিরমিচির শব্দে মুখর আশপাশের এলাকা। পাখির কিচিরমিচির শব্দে মুগ্ধ স্থানীয় এলাকাবাসী ও দর্শনার্থীরা। এখানে প্রাকৃতিক ভাবে পাখির অভয়ারণ্য তৈরি হয়েছে। স্থানীয় লোকমুখে এ নিয়ে রয়েছে নানা কাহিনী।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শরফুদ্দিন পাটোয়ারী বাড়ি। এ বাড়িতে বসবাস করছে ৩৬টি পরিবার। এ বাড়ির সামনে দুটি পুকুর পাড়ে রয়েছে বেশ কিছু গাছ। শত বছর ধরে পুকুর পাড়ের গাছ গুলোতে বসবাস করছে হাজারো পাখি। পাখিগুলো প্রতিদিন সন্ধ্যায় এখানে আসে। আবার ফজরের নামাজের পরপরই চলে যায়। দিন শেষে সন্ধ্যায় তারা এখানে ফিরে আসে। এভাবে চলছে শত বছর। স্থানীয়দের অভিমত কেউ এ পাখির কোনো ক্ষতি করলে তারাও বিপদের সম্মুখীন হয়।

এখানে বিচরণ করা উল্লেখযোগ্য পাখিরা হলো-সাদা বক, কালো শালিক, শালিক, ঘুঘুসহ অন্তত ১৫ থেকে ২০ প্রজাতির পাখি।

স্থানীয় বাসিন্দা জহিরুল ইসলাম তুহিন বলেন, এসব পাখিকে স্থানীয়রা খুব মেনে চলে। তাদের পূর্বপুরুষ থেকে পাখি গুলো এখানে বিচরণ করছে। দুটি পুকুরের মাছের জন্য দিতে হয় না আলাদা কোনো খাদ্য। পাখির বিষ্ঠা মাছের খাদ্য। এতে সহজে পুকুরের মাছ গুলো অল্প দিনে ৩ থেকে ৪ কেজি হয়ে যায়। মাছও অনেক সুস্বাদু। পুকুরের পানি দেখতে খারাপ লাগলেও তারা ওই পানিই ব্যবহার করছে। এতে তাদের কোনো ক্ষতি হয় না।

নোয়াখালী উপকূলীয় বন কর্মকর্তা আবু ইউছুফ জানান, পাখি এখানে বসবাস করার খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি। দীর্ঘ সময় পাখিগুলো এখানে বসবাস করার কারণ খুঁজে বের করার পাশাপাশি স্থানীয়দের এ বিষয়ে সচেতন করে তোলা হবে।