News update
  • BNP senses ‘dangerous conspiracy’ against democratic transition     |     
  • CEC Vows Credible Election to End Stigma     |     
  • High-level meeting reviews country’s economic progress     |     
  • Dhaka suspends visa, consular services at its Delhi, Agartala Missions     |     
  • Govt to cut savings certificate profit rates from January     |     

লাল তালিকায় ১০০০ প্রজাতির উদ্ভিদ

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক জীববৈচিত্র 2024-11-11, 5:16pm

img_20241111_170925-a0489a0567b99ef8cfe49779ce33bd301731323782.jpg




বাংলাদেশে উদ্ভিদ প্রজাতির সংরক্ষণ ও সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে ১ হাজার প্রজাতির উদ্ভিদকে লাল তালিকা ভুক্ত করা হয়েছে। এর মাধ্যমে উদ্ভিদের বিপদগ্রস্ত প্রজাতির সঠিক মূল্যায়ন করতে আমরা সক্ষম হবো। এর মধ্যে ৩৯৫ প্রজাতি বিপদাপন্ন, যার মধ্যে ৫টি মহাবিপন্ন, ১২৭টি বিপন্ন এবং ২৬৩টি সংকটাপন্ন। এছাড়া ৭০টি প্রজাতিকে প্রায় বিপদগ্রস্ত এবং ৭টি আঞ্চলিকভাবে বিলুপ্ত হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এর বাইরে ২৭১ প্রজাতি ন্যূনতম বিপদগ্রস্ত, ২৫৬ প্রজাতি তথ্য-অপ্রতুল বলে মনে করে সরকার।

এ নিয়ে সোমবার (১১ নভেম্বর) মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ‘বাংলাদেশে উদ্ভিদের লাল তালিকা’ প্রকাশনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, বাংলাদেশে উদ্ভিদ প্রজাতির সংরক্ষণ ও সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে ১০০০ উদ্ভিদ প্রজাতির একটি লাল তালিকা তৈরি করেছে সরকার। এই তালিকা তৈরির মাধ্যমে আমরা উদ্ভিদের বিপদগ্রস্ত প্রজাতির সঠিক মূল্যায়ন করতে সক্ষম হয়েছি।

এই উদ্যোগ উদ্ভিদ সংরক্ষণকে অগ্রাধিকার দিতে সহায়ক হবে এবং সরকারের জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের কার্যক্রম লক্ষ্য অর্জনে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে মনে করেন সৈয়দা রিজওয়ানা। তিনি বলেন, এ ছাড়া পিডিএ’র তথ্য অনুযায়ী ৩৮১৩ উদ্ভিদ প্রজাতি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। যেগুলোর ভবিষ্যতে মূল্যায়ন জরুরি। এই তালিকা নীতিনির্ধারক ও গবেষকদের জন্য একটি মূল্যবান সম্পদ হিসেবে কাজ করবে। এটি পরিবেশগত স্থিতিশীলতা অর্জনে এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে জীববৈচিত্র্য রক্ষায় অবদান রাখবে বলে মত দেন তিনি।

আগ্রাসী উদ্ভিদ প্রজাতির প্রভাব হ্রাসের জন্য পাঁচটি নির্বাচিত সংরক্ষিত বনাঞ্চলে বিশেষ ব্যবস্থাপনা কৌশল প্রণয়ন সরকার করেছে দাবি করে পরিবেশ উপদেষ্টা আরও বলেন, গবেষণায় বাংলাদেশে ১৭টি আক্রমণাত্মক উদ্ভিদ প্রজাতি চিহ্নিত করা হয়েছে, যেমন কচুরিপানা ও আসাম লতা। এগুলো পরিবেশে বিপর্যয় ডেকে আনছে এবং প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। এগুলো ওপর আমদানি নিষেধাজ্ঞা, বাণিজ্যিকীকরণ রোধ এবং কার্যকর ব্যবস্থাপনা পদ্ধতির প্রয়োগ হচ্ছে। এই উদ্যোগগুলো বন ও বনসম্পদ সংরক্ষণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক মানে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে বলে আশা করেন তিনি।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এএসএম হুমায়ুন কবির, অতিরিক্ত সচিব ফাহমিদা খানম, অতিরিক্ত সচিব তপন কুমার বিশ্বাস, প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরী, বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র এনভায়রনমেন্টাল স্পেশালিস্ট ইশতিয়াক সোবহান, আইই সিএনএর প্রতিনিধি সরওয়ার আলমসহ অনেকে। আরটিভি