প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার পদে নিয়োগের জন্য প্রস্তাবিত নামের তালিকা প্রকাশ করেছে সার্চ কমিটি।
সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় ৩২১ জনের নামের একটি তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে মন্ত্রিপরিষদের ওয়েবসাইটে।
নাম প্রকাশকে সাধুবাদ জানালেও এর ফলে স্বচ্ছতার মূল উদ্দেশ্য সফল হবে না বলে মত বিশিষ্টজনদের। তাদের মতে, এতো বেশি সংখ্যক নামের ভিড়ে বিভ্রান্ত হবেন সাধারণ মানুষ।
এদিকে, আরেক দফা বিশিষ্টজনদের সাথে বৈঠক করবে অনুসন্ধান কমিটি। মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেল চারটায় আমন্ত্রণ জানিয়ে ৮ জনকে চিঠি দিয়েছে সার্চ কমিটি।
সম্প্রতি নির্বাচন কমিশন গঠনে প্রথমবারের মতো আইন করে সরকার। এরই ধারাবাহিকতায় ৫ ফেব্রুয়ারি সুপ্রিমকোর্টের বিচারপতি ওবায়দুল হাসানকে প্রধান করে সার্চ কমিটি গঠন করা নির্দেশ দেন রাষ্ট্রপতি। সূত্রঃ যমুনা টিভি।
সার্চ কমিটির কাছে আসা ৩২২ জনের নামের পুরো তালিকার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিগন হলেন- সাংবাদিক অজয় দাস গুপ্ত, অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল, ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটির উপাচার্য (ভিসি) আব্দুল মান্নান চৌধুরী, সাবেক প্রধান তথ্য কমিশনার অধ্যাপক ড. গোলাম রহমান, অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ জাফর ইকবাল, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক ড. হারুন অর রশিদ, সাবেক উপদেষ্টা ডা. মুফিয়া রহমান, শিক্ষাবিদ অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম প্রমুখ।
সার্চ কমিটি সিইসি পদের জন্য ২টি ও ইসি পদে ৮ জনের নাম প্রস্তাব করবে। এর মধ্য থেকে একজন সিইসি ও সর্বোচ্চ চারজন ইসি সদস্য বেছে নেবেন রাষ্ট্রপতি। সার্চ কমিটিকে সাচিবিক সহায়তা দিচ্ছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
এর আগে, সার্চ কমিটির পক্ষ থেকে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সাধারণভাবে নাম প্রস্তাবের আহ্বান জানানো হয়। নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোকে চিঠি দিয়ে নাম প্রস্তাবের আমন্ত্রণ জানায় সার্চ কমিটি। অন্যদিকে তিন ধাপে দেশের বিশিষ্টজনদের সঙ্গে মতবিনিময় করার সিদ্ধান্ত হয়।
সার্চ কমিটির সঙ্গে তিন দফার বৈঠকে অংশ নেন- শিক্ষাবিদ, সাবেক সরকারি কর্মকর্তা, সামরিক বাহিনীর সাবেক কর্মকর্তা, গণমাধ্যমের শীর্ষ পর্যায়ের ব্যক্তি, পেশাজীবী সংগঠনের নেতারাসহ বিভিন্ন পর্যায়ের বিশিষ্ট নাগরিকরা।
আইন অনুযায়ী সার্চ কমিটিকে ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে রাষ্ট্রপতির কাছে সুপারিশ পেশ করতে হবে। এ হিসাবে সার্চ কমিটির হাতে সময় আছে ২৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।