News update
  • 160 pilot whales beach on Australian west coast, 26 die     |     
  • 282 million people faced acute hunger in 2023, worst in Gaza      |     
  • Weapons to be laid down if a 2-state solution is done: Hamas     |     
  • 3 new BD Supreme Court Appellate Division judges take oath     |     
  • White House seeks 'answers' from Israel on Gaza mass graves     |     

বাংলাদেশ থেকে আরো শান্তি রক্ষী নিতে চায় জাতিসংঘ

গ্রীণওয়াচ ডেস্কঃ Military 2022-03-03, 6:14pm

un-0674272bac0715f803e382b5aa437e081646309668.jpg




শান্তি রক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশের আরো বেশি সহায়তা চাইলেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।

তিনি জাতিসংঘে শান্তি রক্ষা কার্যক্রমে ভবিষ্যৎ চাহিদা পূরণে বাংলাদেশ আরো অধিকহারে শান্তি রক্ষী সরবরাহ অব্যাহত রাখবে বলে প্রত্যাশার কথা জানান।

জাতিসংঘ সদর দফতরে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেনের সঙ্গে গত মঙ্গলবার সাক্ষাৎ কালে এ প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি।

জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের আজ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয় সাক্ষাতের সময় মহাসচিব শান্তি রক্ষা মিশনে নিয়োজিত বাংলাদেশি শান্তি রক্ষীদের অবদানের ভূয়সী প্রশংসা করেন।

তাঁরা রোহিঙ্গা সংকট ও এর সম্ভাব্য উত্তরণের উপায় নিয়ে আলোচনা করেন। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের এ সকল নাগরিকদের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে মহাসচিবকে অবহিত করেন এবং সকল রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে নিরাপদে প্রত্যাবাসনে জাতিসংঘের সহায়তা কামনা করেন।

জাতিসংঘ মহাসচিব গুতেরেজ ১১ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশের জনগণ ও সরকার যে উদারতার পরিচয় দিয়েছে তার ভূয়সী প্রশংসা করেন। জোরর্পূবক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের নিজ ভূমি মিয়ানমারে ফেরত পাঠাতে জাতিসংঘের পূর্ণ সমর্থনের কথা আবারো উল্লেখ করেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরর্দশী নেতৃত্বে বাংলাদেশের অসামান্য আর্থ সামাজিক উন্নয়নের প্রশংসা করেন গুতেরেজ। তিনি আশা প্রকাশ করেন, সামনের বছর গুলোতে বিশেষ করে এসডিজি অর্জনের ক্ষেত্রে আরও সাফল্য অর্জন করবে বাংলাদেশ।

জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা কার্যক্রমের উচ্চ পর্যায়ের পদে এবং বিশ্বব্যাপী জাতিসংঘের বিভিন্ন রাজনৈতিক মিশনে মহাসচিবের বিশেষ প্রতিনিধি পদে আরো বেশি বাংলাদেশি নাগরিক নিয়োগের জন্য মহাসচিব গুতেরেজকে অনুরোধ করেন পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. মোমেন।

ইউক্রেন সংকটজনিত কারণে ব্যস্ত সময় সূচি থাকা সত্ত্বেও এ বৈঠকের সুযোগ দেয়ার জন্য মহাসচিবকে ধন্যবাদ জানান পররাষ্ট্র মন্ত্রী।

এর আগে পররাষ্ট্র মন্ত্রী বর্তমানে নিউইর্য়কে সফররত মিয়ানমার বিষয়ক জাতিসংঘ মহাসচিবের

নব-নিযুক্ত বিশেষ দূত ড. নোলিন হাইজারের সঙ্গে বৈঠক করেন।

বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী রোহিঙ্গা সংকটের টেকসই সমাধানের লক্ষে আঞ্চলিক দেশগুলোসহ সকল

অংশীজনদের সাথে নিবিড় যোগাযোগ রক্ষা করার জন্য বিশেষ দূতকে অনুরোধ জানান। বিশেষ করে পর রাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রাখাইন রাজ্যে এমন একটি অনুকূল পরিবেশ তৈরি করতে হবে যাতে রোহিঙ্গারা নিরাপদে, নিরাপত্তার সাথে এবং মর্যাদাপূর্ণভাবে তাদের নিজভূমিতে ফিরে যেতে পারে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কভিড-এর বিস্তার রোধ এবং রোহিঙ্গা শিশুদের মিয়ানমারের কারিকুলাম-ভিত্তিক শিক্ষা প্রদান বিষয়ে বাংলাদেশ সরকার গৃহীত পদক্ষেপসমূহের কথা বিশেষ দূতকে অবহিত করেন পররাষ্ট্র মন্ত্রী।

ভাষান চরে এক লক্ষ রোহিঙ্গার জন্য নতুন আবাসন তৈরির কথা উল্লেখ করে পররাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন,

সেখানে স্থানান্তরিত রোহিঙ্গারা জীবিকা নির্বাহের কাজে নিয়োজিত হওয়ার সুযোগ পাবে। পররাষ্ট্র মন্ত্রী আরো বলেন, স্বদেশে ফেরার তেমন কোনো আশা নেই দেখে রোহিঙ্গারা ক্রমশ: অবৈধ ও অপরাধমূলক কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়ছে। তিনি হেইজারকে যতটা দ্রুত সম্ভব কক্সবাজার ক্যাম্প ও ভাষান চর পরির্দশনের আমন্ত্রণ জানান।

বিশেষ দূত মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তচ্যুত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ

হাসিনার প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং তাঁর সহানুভূতি ও নেতৃত্বের প্রশংসা করেন। বিশেষ দূত বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুটি তাঁর সর্বোচ্চ এজেন্ডা এবং যত দ্রুত সম্ভব এই সংকটের একটি স্থায়ী সমাধান খুঁজে বের করার জন্য তিনি আঞ্চলিক দেশসমূহ, আন্তর্জাতিক সংস্থা, রোহিঙ্গা নেতা এবং মিয়ানমারের কর্তৃপক্ষসহ সকল অংশীজনদের সাথে নিবিড়ভাবে জড়িত থাকবেন।

উভয় বৈঠকে অন্যান্যদের সাথে উপস্থিত ছিলেন জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের চার্জ দ্য অ্যাফের্য়াস ড. মো. মনোয়ার হোসেন।