News update
  • Bangladesh Bank Buys $115 Million to Support Forex Market     |     
  • Tarique Rahman, Daughter Zaima Added to Voter List     |     
  • NCP and LDP Join Jamaat-Led Eight-Party Alliance     |     
  • Tarique Rahman’s gratitude to people for welcoming him on his return     |     
  • Attorney General Md Asaduzzaman resigns to contest election     |     

বিদ্যুৎ বিলের বকেয়া কমাতে সব গ্রাহককে প্রিপেইড মিটারের আওতায় আনা হচ্ছে : বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক Nation 2022-11-02, 7:47am




বিদ্যুত জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ জানিয়েছেন, বিদ্যুৎ বিলের বকেয়া কমানোর জন্য পর্যায়ক্রমে সব গ্রাহককে প্রিপেইড/স্মার্ট মিটারের আওতায় নিয়ে আসা হচ্ছে।

তিনি বলেন, ‘বিদ্যুৎ বিলের বকেয়া আদায়ে সরকার নানান উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। বিদ্যুৎ বিলের বকেয়া কমানোর জন্য পর্যায়ক্রমে সব গ্রাহককে প্রিপেইড/স্মার্ট মিটারের আওতায় নিয়ে আসা হচ্ছে। গত সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৫১ লাখ ৭ হাজার ৪৫২টি প্রি-পেইড/স্মার্ট মিটার স্থাপন করা হয়েছে এবং আগামী এক বছরের মধ্যে আরও ২০ লাখ প্রি-পেইড/স্মার্ট মিটার স্থাপন করা হবে।’

প্রতিমন্ত্রী জাতীয় সংসদে সরকারি দলের সদস্য মোজাফফর হোসেনের এক প্রশ্নের জবাবে জানান, চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও দপ্তরের কাছে বিদ্যুত বিভাগের পাওনা ছিল ১ হাজার ৮৯৩ কোটি ৪২ লাখ টাকা। এর মধ্যে স্থানীয় সরকার বিভাগের কাছে পাওনা ৯০৫ কোটি ২১ লাখ টাকা। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের নিকট পাওনা ৩৯৫ কোটি ৬৮ লাখ টাকা।

নসরুল হামিদ বলেন, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/বিভাগ এবং তাদের নিয়ন্ত্রণাধীন সরকারি বিভিন্ন দপ্তর/সংস্থাসমূহ নিয়মিতভাবে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ না করায় বিপুল অংকের বিদ্যুৎ বিল বকেয়া আছে। তবে তদারকি জোরদার করে মাঠ পর্যায়ে বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করায় বিগত কয়েক বছরে বিদ্যুৎ বিলের বকেয়ার পরিমাণ কমানো সম্ভব হয়েছে।

তিনি জানান, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের কাছে ৮৮ কোটি ৪৬ লাখ টাকা, জননিরাপত্তা বিভাগের কাছে ৬৪ কোটি ২২ লাখ টাকা, কৃষি মন্ত্রণালয়ের কাছে ৬৩ কোটি ৬১ লাখ টাকা, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের কাছে ৪৩ কোটি ৫৬ লাখ টাকা এবং স্বাস্থ্য বিভাগের কাছে মন্ত্রণালয়ের পাওনা ৩৯ কোটি ৯৯ লাখ টাকা।

বর্তমান সরকারের তিন মেয়াদে বিদ্যুত খাতে ২৮ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ হয়েছে উল্লেখ করে সরকারি দলের সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারীর এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০০৯-১০ অর্থ বছর থেকে ২০২১-২২ অর্থ বছরে বিদ্যুত খাতে ২৮ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ হয়েছে। এর মধ্যে বেসরকারি খাতে বিদ্যুত উৎপাদনে ৯ দশমিক ৭৩ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ হয়েছে। 

সরকারি দলের অপর সদস্য রুমানা আলীর প্রশ্নের জবাবে নসরুল হামিদ জানান, ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পরে গত তিন মেয়াদে এখন পর্যন্ত ১৯ হাজার ৯৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হয়েছে। ফলে গ্রিড, অফগ্রিড ও ক্যাপটিভসহ মোট বিদ্যুত উৎপাদন ক্ষমতা ২৫ হাজার ৭৩০ মেগাওয়াটে উন্নীত হয়েছে।

সরকারি দলের সদস্য আ ক ম সরওয়ার জাহানের এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশে বর্তমানে বছরে এলপিজি'র চাহিদা প্রায় ১৪ লাখ মেট্রিক টন। দেশে সরকারি পর্যায়ে উৎপাদন মাত্র ২ শতাংশ। বাকি চাহিদা বেসরকারি পর্যায়ে আমদানির মাধ্যমে পূরণ করা হয়।

বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরী কমিশন কর্তৃক প্রতি মাসে আন্তর্জাতিক বাজারে এলপিজি'র মূল্য, মার্কিন ডলারের বিনিময় হারের হ্রাস/বৃদ্ধি এবং মূল্য সংযোজন কর (মূসক) সমন্বয় করে দেশে বেসরকারি এলপিজি'র মূল্য সমন্বয় করা হয় বলে তিনি জানান।

জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী জানান, দেশের বেসরকারি এলপিজি আমদানি নির্ভর হওয়ায় আন্তর্জাতিক বাজারে দাম না কমলে সরকারের ভর্তুকি ছাড়া দেশের বাজারে বেসরকারি এলপিজি’র মূল্য সাশ্রয়ী করার সুযোগ নেই। তথ্য সূত্র বাসস।