Kalapara AL leaders including former State Minister, former UZ Chairman and former Municipal Mayor among 51 sued for vandalism.
পটুয়াখালী: পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলা বিএনপি’র কার্যালয়ে সন্ত্রাসী হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও ককটেল, বোমা বিস্ফোরনের অভিযোগে সাবেক দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী মো. মহিববুর রহমান, উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল মোতালেব তালুকদার, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম রাকিবুল আহসান, পৌর মেয়র বিপুল চন্দ্র হাওলাদার সহ আওয়ামীলীগের ডাক সাইটের অর্ধশত নেতা কর্মীর নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে। উপজেলা বিএনপি’র যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মো. শফিকুর রহমান বিশ্বাস বাদী হয়ে রোববার রাতে কলাপাড়া থানায় পেনাল কোড ও বিস্ফোরক আইনের ধারায় এ মামলা দায়ের করেন। মামলায় জ্ঞাত আসামীর বাইরে আরও শতাধিক অজ্ঞাত আসামীর কথা বলা হয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ৩০ আগষ্ট ২০২৩ সোমবার রাত ৮টার দিকে পৌরশহরের নতুনবাজার এলাকায় উপজেলা বিএনপি কার্যালয়ে আগ্নেয়াস্ত্র সহ ধারালো অস্ত্র নিয়ে প্রবেশ করে নেতা-কর্মীদের এলোপাথারি ভাবে মারধর করে আসামীরা। এসময় বিএনপি নেতৃবৃন্দের ডাক চিৎকারে পার্শ্ববর্তী দোকান পাটের ব্যবসায়ীরা জড়ো হইলে আসামীরা অফিসের ভেতরে ও সামনে ককটেল, বোমা নিক্ষেপ করে বিস্ফোরন ঘটায়। বোমার বিকট শব্দে অফিসের নেতৃবৃন্দ ও আশপাশের লোকজন আতংকিত হয়ে দিকবিদিক হইয়া দৌড়াইয়া প্রানে রক্ষা পায়। বাজারের ব্যবসায়ীরা জানমাল রক্ষার জন্য দ্রুত দোকান পাট বন্ধ করে চলে যায়। অত:পর আসামীরা বিএনপি অফিসে থাকা আসবাব পত্র ভাঙচুর করে ৪ লক্ষ টাকার ক্ষতিসাধন করে। এবং অফিসের ২০টি সিলিং ফ্যান, ১টি রঙিন টিভি, ৭টি ষ্ট্যান্ড ফ্যান, মূল্য অনুমান ১ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা, লুট করে নেয়। কতেক আসামী অফিসের আলমিরা ভেঙ্গে মূল্যবান কাগজ পত্র নিয়া যায়। সকল আসামীরা প্রায় ৩০ মিনিট ত্রাস ও তান্ডব চালাইয়া জনমনে ভীতি সঞ্চার করে বীরদর্পে চলে যায়। তৎকালীন সময় সন্ত্রাসী আসামীরা প্রভাবশালী ও ক্ষমতাধর থাকায় আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে না পারায় থানায় এজাহার দায়েরে বিলম্বের কথা মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।
কলাপাড়া থানার ওসি আলী আহম্মেদ মামলা দায়েরের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ’বিএনপি থেকে রোববার রাতে থানায় এজাহার দায়ের করা হয়েছে। আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশী অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’ - গোফরান পলাশ