আজ শনিবার বিকেলে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে গণফোরামের সভাপতি জননেতা মোস্তফা মোহসীন মন্টুর সভাপতিত্বে জরুরী সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মোস্তফা মোহসীন মন্টু বলেন- আমরা পূর্বেই বলেছি এই সম্মেলন সম্পূর্ণ অবৈধ ও গণতন্ত্র বিরোধী। ঐ তথাকথিত সম্মেলনে ওদের নিজের আন্তঃকোন্দল এবং ভাড়াটিয়া লোকজন দিয়ে সম্মেলন করার ব্যর্থতা ঘোচাতে অত্যন্ত সুকৌশলে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে গণফোরাম ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ, ঢাকা জেলা, যুব ফোরাম, মহিলা ফোরাম ও ছাত্র ফোরাম এর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত মানববন্ধনে উপস্থিত নেতাকর্মীদের জড়ানেরা চেষ্টায় লিপ্ত ছিল। আমাদের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ তাদের পাতানো ফাঁদ থেকে তরুণ নেতৃবৃন্দকে বের করে আনতে সক্ষম হয়। আজ তথাকথিত সম্মেলনে কমিটি দিতে না পারাই প্রমাণ করে তারা নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে আমাদের উপর দোষ চাপাচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্যে গণফোরাম সাধারণ সম্পাদক সুব্রত চৌধুরী বলেন ২০১৯ সনের ২৬ এপ্রিল গণফোরাম এর জাতীয় কাউন্সিলে ড. কামাল হোসেন’কে সভাপতি ও ড. রেজা কিবরিয়া’কে সাধারণ সম্পাদক করে সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন করা হয়েছিল কিš‘ সংগঠনের শীর্ষ পর্যায়ের নেতৃবৃন্দের ধারাবাহিক অগণতান্ত্রিক ও গঠনতন্ত্রের পরিপন্থী কর্মকান্ডের ফলে সংগঠনের সকল পর্যায়ে স্থবিরতা ও বহুধা বিভক্তির রূপ নেয়, বার বার শীর্ষ পর্যায়ে বৈঠকে ঐক্যবদ্ধ গণফোরামকে সুসংগঠিত করার প্রত্যয় ও প্রত্যাশা ব্যক্ত করা হলেও শীর্ষ ব্যক্তির অসংলগ্ন কথাবার্তা সংকটকে আরোও ঘনীভূত করে।
তিনি বলেন এমনি এক পরিস্থিতিতে ২০২০-২০২১ প্রায় এক বছরের প্রস্তুতিতে ২০২১ সনের ৩ ডিসেম্বর ঢাকার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনষ্টিটিউশন মিলনায়তনে গঠনতন্ত্রের ১০ ও ১১ ধারার বিধান মতে ড. কামাল হোসেন এর সম্মতিতে ও লিখিত শুভেচ্ছা বক্তব্যের মাধ্যমে গণফোরাম এর ৬ষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিল অত্যন্ত সফল ভাবে সম্পন্ন করা হয়েছে। উক্ত জাতীয় কাউন্সিলে বীর মুক্তিযোদ্ধা মোস্তফা মোহসীন মন্টু কে সভাপতি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা সুব্রত চৌধুরীকে সাধারণ সম্পাদক করে ১৫৭ সদস্য বিশিষ্ট কেন্দ্রীয় কমিটি গঠিত হয়। নব নির্বাচিত কমিটির নেতৃত্বে দেশব্যাপী সাংগঠনিক ও রাজনৈতিক কর্মসূচী পালন করে আসছে।
তিনি বলেন অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় গণফোরাম ও ড. কামাল হোসেন এর নাম ব্যবহার করে কিছু স্বার্থান্বেষী ও বিভেদকামী ব্যক্তি গঠনতন্ত্রিকভাবে ৬ষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠানের ৩ মাসের মাথায় ১২ মার্চ জাতীয় প্রেসক্লাবে এক অবৈধ ও গঠনতন্ত্র পরিপন্থী কাউন্সিল আহ্বান করে।
তিনি বলেন আজ সকালে গণফোরাম ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ, ঢাকা জেলা, মহিলা ফোরাম, যুব ফোরাম ও ছাত্র ফোরাম যৌথভাবে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির লাগামহীন মূল্য বৃদ্ধি ও ভোজ্যতেল, গ্যাস ও পানির অযৌক্তিক মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে রাস্তায় মানববন্ধন চলাকালীন সময়ে তথাকথিত কাউন্সিলের উদ্যোক্তারা মানববন্ধনে সমবেত ব্যাপক নেতা কর্মীর উপর বিতর্ক সৃষ্টি করে হামলা ও অশালীন আচরণ করে। কথিত ঘটনায় গণফোরাম এর কোন নেতা কর্মী জড়িত নয় তথাকথিত কাউন্সিলে সমবেত কর্মীরাই তাদের নিজেদের অনৈক্যের বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছে।
আমরা গণফোরাম এর পক্ষ থেকে প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সংঘটিত অনাকাক্সিক্ষত ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করছি এবং সংশ্লিষ্ট সকলকে গণফোরামকে বিভক্তির হাত থেকে রক্ষা করতে দেশব্যাপী সকল নেতাকর্মীকে গণফোরাম এর মূলধারার সাথে সম্পৃক্ত থেকে বৃহত্তর জাতীয় ঐক্য গঠন প্রক্রিয়ায় এবং জনগণের দুঃখ-দুর্দশায় পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানাই।
এ সময় গণফোরাম নির্বাহী সভাপতি অধ্যাপক ড. আবু সাইয়িদ, এ কে এম জগলুল হায়দার আফ্রিক, মহসীন রশিদ, মহিউদ্দিন আব্দুল কাদের, সভাপতি পরিষদ সদস্য এডভোকেট আনসার খান, বীর মুক্তিযোদ্ধা খান সিদ্দিকুর রহমান, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব খান ফারুক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ হেলাল উদ্দিন, লতিফুল বারী হামিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ রওশন ইয়াজদানী (ঢাকা জেলা), তথ্য ও গণমাধ্যম সম্পাদক মুহাম্মদ উল্লাহ মধু, ত্রান ও সমাজ কল্যান সম্পাদক মোঃ নাছির হোসেন, সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্পাদক আব্দুল হামিদ মিয়া, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক তাজুল ইসলাম, মহিলা সম্পাদক নিলুফার ইয়াসমিন শাপলা, ছাত্র সম্পাদক সানজিদ রহমান শুভ, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য, হাবিবুর রহমান বুলু, রবিউল ইসলাম রবি, কামাল উদ্দিন সুমন, শেখ শহিদুল ইসলাম, নূরনবী, রিয়াদ হোসেন, আনোয়ার ইব্রাহীম, অখিল কর্মকার, নকিব আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।