News update
  • 30 NCP leaders urge Nahid Islam not to form alliance with Jamaat     |     
  • Tarique offers fateha at graves of Pilkhana martyrs, father-in-law     |     
  • Navy detains 11 over smuggling diesel, cement to Myanmar     |     
  • Investors stay away as stocks turnover drops 7% despite index gains     |     
  • No immediate funds for merged bank depositors, B.B.     |     

নদী-পানির অধিকারের দাবি জোরদারের লক্ষ্যে আরেকটি লংমার্চ করুনঃ ড; মঈন খান

ফারাক্কা কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান সালুর স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত

Water 2024-12-05, 6:00pm

img-20241205-wa0080-01-db495a694eeafa3ec975edea3e2e1a591733417864.jpeg

BNP standing committee member Dr. Abdul Moyeen Khan addressing the memorial meeting held for Atiqur Rahman Salu former chairman of International Farakka Committee at the National Press Club on Thursday.



ঢাকা, ৫ ডিসেম্বর - বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ডঃ আব্দুল মঈন খান নদী-পানির অভাবে সৃষ্ট পরিবেশ বিপর্যয়ের হাত থেকে দেশের মানুষকে রক্ষা করার লক্ষ্যে জনমত সৃষ্টির জন্য আরেকটি লংমার্চ আয়োজনের প্রস্তাব করেছেন।

বৃহস্পতিবার ৫ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক ফারাক্কা কমিটির (আইএফসি) সাবেক চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান সালুর ১ম মৃত্যু বার্ষিকীতে আয়োজিত স্মরণ সভায় তিনি বলেন, ৫৪টা অভিন্ন নদী আছে যার অধিকার আমরা পাচ্ছিনা। এর প্রতিকার করতে না পারলে বিপর্যয় হবে, এক তৃতীয়াংশ মানুষের জীবিকা ব্যাহত হবে। এর সমাধান শুধু আমরা নয় প্রতবেশি দেশের ১৫০ কোটি মানুষকেও করতে হবে। দুদেশের মানুষ অকৃতৃম বন্ধু। স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় তা প্রমানিত হয়েছে।

আইএফসি চেয়ারম্যান সৈয়দ টিপু সুলতানের সভাপতিত্বে এবং সমন্বয়ক মোস্তফা কামাল মজুমদারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এই সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, জাতীয় পার্টি (জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, আইএফসি বাংলাদেশের সভাপতি অধ্যাপক জসীম উদ্দিন আহমেদ, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, বিএনপি নেতা ও সাবেক সংসদ সদস্য জহিরুদ্দিন স্বপন, আইএফসি বাংলাদেশের সহ-সভাপতি ডঃ নাজমা আহমেদ, বিষিষ্ট ব্যবসায়ী এফ কে মোঃ এমদাদ খান, বিএফইউজে মহা সচিব কাদের গনি চৌধুরী প্রমুখ।

অনুষ্ঠানের শুরুতে আতিকুর রহমান সালুর কর্ম ও জীবনের উপর প্রতিবেদন উপস্থাপন ও তার রুহের মাগফেরাতের জন্য মোনাজাত করা হয়।

ডঃ মঈন খান বলেন আতিকুর রহমান সালু ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন কিন্তু আমরাকি তাকে আমরা জীবিত অবস্থায় সম্মান করেছি? তিনি স্বাধীন গনতান্ত্রিক বাংলাদেশের ঘোষণাকে সালুর প্রথম ও চিলমারিতে 'দ্বিতীয় ফারাক্কা লংমার্চ' আয়োজনকে তার দ্বিতীয় অর্জন হিসেবে উল্লেখ করেন।

মঈন খান বলেন সালু ছিলেন একজন দেশপ্রেমিক যে কারনে তিনি জনগনতান্ত্রিক বাংলাদেশ কায়েমের আহবান জানিয়েছিলেন। তিনি কাগমারি সম্মেলনেও অংশ নিয়েছিলেন। পরিবেশগত আগ্রাসন প্রতিহত করার উদ্যোগ নিয়েছিলেন।

বাংলাদেশের মানুষের যে আকাংখা ৫ বছর পরে একটা ভোট দেব। আমাদের নতুন প্রজন্ম কোন ভোট দিতে পারেনি। মানুষকে অর্থবিত্ত বৈভব না স্বাধীনতা এই অপসন দেয়া হলে মানুষ স্বাধীনতা আগে চাইবে।

তিনি মানুষকে সেবা দেবার জন্য মানসকতা গড়ে তোলার আহবান জানিয়ে বলেন, আমাদের ঐক্য দরকার। কিন্তু তা বাকশালী ঐক্য নয় বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্য। তিনি বলেন সৈরাচার হটিয়ে আমরা গনতন্ত্রের একটি মাত্র ধাপ অতক্রম করেছি। দ্বিতীয় ধাপ অবাধ নির্বাচন এবং তার মাধ্যমে গনতান্ত্রিক সরকারের দায়িত্ব গ্রহন।

গনতন্ত্রে উত্তরণের এই দায়িত্ব অন্তবর্তি সরকারের। তারা যেন কিছুতেই ব্যর্থ না হয়। আমাদের হাতে তিনটি অস্ত্র আছে যা দিয়ে আমরা গনতন্ত্র কায়েম করতে পারি। রাজনীতি, কুটনীতি ও তথ্য প্রযূক্তি। তার যথার্থ ব্যবহার করতে পারলে আমরা গনতন্ত্র কায়েম করতে পারব।

মোস্তফা জামাল হায়দার বলেন, আতিকুর রহমান সালুর কন্ঠে প্রথম স্বাধীন   জনগনতান্ত্রিক বাংলাদেশের কথা উচ্চারিত হয়। তিনি ১৯৭০ সালের ২২ ফেব্রুয়ারী পল্টন ময়দানে অনুষ্ঠিত সভার উল্লেখ করে বলেন, সে সমাবেশে বক্তব্য দানের দায়ে আতিকুর রহমান সালু সহ অন্যান্য নেতা - কাজী জাফর, ডঃ মাহবুবুল্লাহ, মোস্তফা জামাল হায়দার মার্শাল ল আইনে দন্ডিত হন।

আতিকুর রহমান সালুর নদী-পানির অধিকার আন্দোলনের কথা উল্লেখ করে মোস্তফা জামাল হায়দার আইএফসির বর্তমান নেতৃত্বকে এবিষয়ে আরেকটি দূর্বার আন্দোলন গড়ে তোলার আহবান জানান।

অধ্যাপক জসীম উদ্দিন আহমেদ বলেন সালু ভাই মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের জন্য কাজ করে গেছেন। তিনি গংগার পানি প্রত্যাহারের কারনে সুন্দরবনের উপর যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া হচ্ছে তার বিবরণ দেন।

তিনি বলেন বাংলাদেশের বক্তব্যে জোড়ালো ভাবে তুলে ধরার জন্য জাতীয় ঐক্যের প্রয়োজন।

বিপ্লবি ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন গত ১৫, ১৬ বছরে বাংলাদেশের নদী পানির দাবি উপেক্ষিত হয়েছে। ভারতের সব দাবী মেনে নেয়া হয়েছে। ট্রানজিট দিয়ে দেয়া হয়েছে। অন্যদিকে সীমান্ত হত্যা বন্ধ হয়নি। ভারতকে তোয়াজ করতে গিয়ে বাংলাদেশের সব কিছু বিসর্জন দেয়া হয়েছে। আমাদের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব বিসর্জিত হয়েছে।

তিনি বলেন বাংলাদেশে শেখ হাসিনার পতনকে দিল্লী মেনে নিতে পারেনি ৪ মাস পরেও। একটা ভয়ানক ততৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে এদেশের বিরুদ্ধে।

ভারতের মনস্তত্ব পরিবর্তন হওয়া উচিত। এদেশের মানুষ আধিপত্যের কাছে মাথা নত করবেনা। তিনি বলেন, তারা বাংলাদেশকে জংগিবাদি তকমা দিতে চায়। আমাদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করলে ভারতের নিরাপত্তাও নিরাপদ থাকবেনা। রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ হওয়া উচিত। অনেক চুক্তি বাতিল করতে হবে। আলীগের চোখ দিয়ে আর বাংলাদেশকে দেখা যাবেনা। আমরা সমতা, ন্যয্যতার ভিত্তিতে সম্পর্ক চাই। ভারতের একতরফা মিডিয়াকে থামানো দরকার বলে তিনি উল্লেখ করেন।

বিপ্লবি ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন আমাদেরটা শুধু গন আভ্যুথ্যানই নয়, ভারতের বাংলাদেশ নীতিরও পরাজয়। ২০০৫ এর চিলমারি লক্ষ লক্ষ মানুষের সমাবেশের কথা উল্লেখ করে বলেন তার বার্তা ছিল আধিপত্যবাদ বিরোধী। 

জহিরুদ্দিন স্বপন তার সাথে আতিকুর রহমান সালুর রাজনৈতিক জীবনের সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে বলেন তার নদী পানির সংগ্রাম সফল হবে।