সম্প্রতি বাংলাদেশের দুই নারী টেবিল টেনিস খেলোয়াড়কে নিষিদ্ধের ঘটনা দেশ থেকে শুরু করে দেশের বাইরের গণমাধ্যমগুলোতেও আলোড়ন তুলেছে। কমনওয়েলথ গেমস খেলতে বার্মিংহামে যাওয়ার পর না খেলে ঘুরতে যাওয়ায় নিষিদ্ধ করা হয় সোনম সুলতানা সোমা এবং সাদিয়া রহমান মৌকে।
এই দুই ক্রীড়াবিদকে নিষিদ্ধ করার ১৫ দিন কেটে যাওয়ার পর শোকজ চিঠি পাঠানো হয়েছে। নিষিদ্ধ করার আগে কারণ দর্শানোর নোটিশ না দিয়ে কেন পরে দেওয়া হচ্ছে জানতে চাইলে টেনিস ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম জানালেন, দেশে না থাকায় আগে শোকজ চিঠি দিতে পারেননি তারা।
জাহাঙ্গীর আলমের ভাষ্যে, সভার পরপরই আমাদের লাওস সফর ছিল। লাওস থেকে সম্প্রতি ফিরেছি। ফিরেই তাদের চিঠি দেওয়া হয়েছে।
কারণ দর্শানোর চিঠিতে দুই ক্রীড়াবিদকেই তিন কার্যদিবসের মধ্যে নিজেদের অবস্থান ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। যথার্থ কারণ দেখাতে না পারলে এই দুই খেলোয়াড়ের নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।
এদিকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ৩ বছর এবং ঘরোয়া খেলায় ২ বছরের নিষিদ্ধ পাওয়া এই দুই ক্রীড়াবিদের মধ্যে সোমা গণমাধ্যমে জানিয়েছেন, তাদের নামে মিথ্যা অভিযোগ আনা হচ্ছে। তাদের কাছে পূর্ণ প্রমাণ আছে গেমস ভিলেজে থাকার। তিনদিনের মধ্যে সব জানিয়ে দেবেন বলেও জানিয়েছেন এই ক্রীড়াবিদ।
সোমা বলেন, আমরা গেমস ভিলেজেই ছিলাম অন্য কোথাও ঘুরতে যাইনি। ভিলেজে থাকার সব প্রমাণ আমাদের কাছে আছে। শোকজ চিঠি পেয়েছি। চিঠিতে তিন কার্যদিবসের মধ্যে উত্তর দিতে বলা হয়েছে। সময়সীমার মধ্যেই উত্তর দেব।
এর আগে ৫ আগস্ট কমনওয়েলথ গেমস খেলতে গিয়ে না খেলে আত্মীয়ের বাসায় যাওয়ার অভিযোগ উঠেছিল সোমা এবং মৌ দুইজনের বিরুদ্ধে। পরবর্তীতে গত ২৯ আগস্ট এই দুই ক্রীড়াবিদকে নিষিদ্ধ করা হয় ফেডারেশনের পক্ষ থেকে। তথ্য সূত্র আরটিভি নিউজ।