News update
  • Tarique Rahman returns home amid rapturous reception     |     
  • Home After 17 Years: Tarique Returns to Gulshan Residence     |     
  • Tarique Calls for United Effort to Build a Safe Bangladesh     |     
  • Tarique leaves for 300 feet area from airport     |     
  • BNP top leaders welcome Tarique Rahman on homecoming     |     

এমপি আনার খুন: কসাই জিহাদ ১২ দিনের রিমান্ডে

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক অপরাধ 2024-05-24, 3:18pm

img_20240524_072227-1506d21d113ee1330cb1aa913a8392621716542306.jpg




ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার হত্যাকাণ্ডে অংশ নেয়া জিহাদ হাওলাদার ওরফে কসাই জিহাদকে ১২ দিনের রিমান্ড দিয়েছেন ভারতের বারাসাতের আদালত।

বৃহস্পতিবার (২৩ মে) রাতে জিহাদকে গ্রেফতার করে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (সিআইডি)। পরে স্থানীয় সময় শুক্রবার (২৪ মে) বেলা ১১টার দিকে তাকে উত্তর ২৪ পরগনার বারাসাত আদালতে তোলা হয়। ১৪ দিনের পুলিশি রিমান্ড চাইলে আদালত ১২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এরআগে গ্রেফতারের পর বৃহস্পতিবার (২৩ মে) রাতে এক বিবৃতিতে ভারতের সিআইডি জানায়, ২৪ বছর বয়সী ওই ব্যক্তির (জিহাদ) বাড়ি বাংলাদেশের খুলনা জেলার দিঘলিয়া থানার বারাকপুর গ্রামে। তার বাবার নাম জয়নাল হাওলাদার। অবৈধভাবে মুম্বাইয়ে বাস করতেন জিহাদ। তিনি পেশায় কসাই এবং মুম্বাইয়ের ‘শীর্ষ কসাই’ বলে জানা গেছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, এমপি আনার হত্যার পরিকল্পনাকারীরা মুম্বাই থেকে জিহাদকে নিয়ে আসেন। দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে অবৈধ অনুপ্রবেশকারী হিসেবে মুম্বাইতে বসবাস করছিলেন জিহাদ। দুই মাস আগে তাকে কলকাতায় নিয়ে আসেন বাংলাদেশ বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক আখতারুজ্জামান শাহীন, যিনি এই হত্যাকাণ্ডের ‘মূলহোতা’ বলে ধারণা করা হচ্ছে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জিহাদ স্বীকার করেছেন, আখতারুজ্জামানের নির্দেশে তিনিসহ চার জন এমপি আনারকে নিউটাউনের একটি ফ্ল্যাটে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছেন।

তারপর ওই ফ্ল্যাটের মধ্যেই পুরো শরীর থেকে সব মাংস আলাদা করে জিহাদ এবং ‘মাংসের কিমা করে’ তারপর তা কিছু পলিথিনে রেখে দেয়। হাড়গুলোকেও ছোট ছোট টুকরো করে প্যাকেট করা হয়। পরে সেই প্যাকেটগুলো ফ্ল্যাট থেকে বের করে বিভিন্ন ধরনের পরিবহন ব্যবহার করে কলকাতা ও আশপাশের এলাকায় ফেলে দেয়া হয়।

এমন তথ্য পেয়ে বৃহস্পতিবার রাতেই কলকাতার কাশিপুর থানার অন্তর্গত ভাঙ্গরের কৃষ্ণমাটি নামক এলাকায় অভিযানে যায় পশ্চিমবঙ্গ গোয়েন্দা পুলিশ। পুরো এলাকা ঘিরে ফেলে তারা। সরিয়ে দেয়া হয় আশপাশের লোকজনকে।

যদিও এখন পর্যন্ত মরদেহের কোনো অংশ উদ্ধার করা যায়নি। তবে তা খুঁজতে এবার মাঠে নেমেছে স্থানীয় ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট গ্রুপ। সময় সংবাদ।