News update
  • Tarique Rahman Pays Tribute at Shaheed Osman Hadi’s Grave     |     
  • Tarique visits National Martyrs’ Memorial, pays homage to martyrs     |     
  • Muslim League leads new electoral alliance, Jatiya Muslim Jote     |     
  • Tk 500cr Drive to Turn Haor Fallow Land Into Farmland     |     
  • Tarique Rahman returns home amid rapturous reception     |     

প্রধানমন্ত্রীর সাবেক পিয়নের ব্যাংক হিসাব জব্দের নির্দেশ

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক অপরাধ 2024-07-15, 1:50pm

iewiuwo95-887f9418a59d65715ae0d91ad6f303291721029838.jpg




প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাসার সাবেক পিয়ন মো. জাহাঙ্গীর আলমের ব্যাংক হিসাব জব্দের নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

রোববার (১৪ জুলাই) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) সব ব্যাংকে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা পাঠিয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, জাহাঙ্গীর আলম এবং তার স্ত্রী কামরুন নাহার ও তাদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের নামে কোনো অ্যাকাউন্ট থাকলে আগামী ৩০ দিনের জন্য স্থগিতের (ফ্রিজ) নির্দেশনা দেওয়া হলো।

এ ছাড়া এসব ব্যক্তি ও তাদের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের নামে খোলা অ্যাকাউন্টের কেওয়াইসি, হিসাব খোলার ফরম, শুরু থেকে হালনাগাদ লেনদেন বিবরণী আগামী পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে পাঠানোর নির্দেশনাও দেওয়া হয়।

এর আগে, চীন সফর নিয়ে রোববার (১৪ জুলাই) সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমার বাসায় কাজ করে গেছে পিয়ন, হেলিকপ্টার ছাড়া চলে না। সে এখন ৪০০ কোটি টাকার মালিক। জানতে পারার পর আমি তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছি। তবে সে সময় প্রধানমন্ত্রী ওই পিয়নের নাম বলেননি।

এরপর এক অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে সেই পিয়নের নাম জাহাঙ্গীর আলম। তাকে নিয়ে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে বিশেষ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছিল। তার বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থেকে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সহায়তা নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল।

জাহাঙ্গীর আলম প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত কর্মচারী হিসেবে একসময় কর্মরত ছিলেন। ২০০৯ সাল থেকে ২০১৮ সালের দুই মেয়াদের পুরোটা সময় এবং প্রধানমন্ত্রীর টানা তৃতীয় মেয়াদেরও কিছু সময় ছিলেন।

জাহাঙ্গীর প্রধানমন্ত্রীর ব্যাগ বহন করতেন, প্রধানমন্ত্রীর খাবার সামনে এগিয়ে দিতেন এবং অন্যান্য ফাই-ফরমাশ খাটতেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি যখন বিরোধী দলে তখন থেকেই জাহাঙ্গীর প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী ঢাকার বাইরে যখন বিভিন্ন রাজনৈতিক সভায় যেতেন সেখানেও জাহাঙ্গীরকে দেখা যেত। আস্তে আস্তে জাহাঙ্গীরের একটি রাজনৈতিক বলয় তৈরি হয়ে যায়।

জাহাঙ্গীরের বাড়ি নোয়াখালীর চাটখিলে। সেই সময় তার আমন্ত্রণে সরকারের অনেক প্রভাবশালী মন্ত্রী হেলিকপ্টারে করে নোয়াখালীর চাটখিলে বিভিন্ন কর্মসূচিতে গিয়েছিলেন। যার কিছু ছিল জাহাঙ্গীরের ব্যক্তিগত আয়োজনের অনুষ্ঠানে।

শুধু তাই নয়, জাহাঙ্গীর গণভবনে থাকার সময় আওয়ামী লীগ নেতাদের চেয়েও ক্ষমতাবান হয়ে উঠেছিলেন। তিনি গণভবনে থেকে বিভিন্ন ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তাকে প্রধানমন্ত্রীর নাম ভাঙিয়ে তদবির করতেন। একই সঙ্গে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের কাছে নানান তদবির করে অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন। এভাবে আস্তে আস্তে বিত্তশালী হয়ে ওঠেন এই কাজের লোক। পরবর্তীতে অবশ্য গণভবন থেকে রেবিয়ে যাওয়ার পর এখন তাকে রাজনীতিতে দেখা যায় না।

দুদকের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেছেন, জাহাঙ্গীরের ব্যাপারে ইতোমধ্যে তদন্ত শুরু হয়েছে। খুব শিগগিরই তার সম্পদ জব্দের প্রক্রিয়া শুরু হবে। তবে জাহাঙ্গীর এখন দেশের বাইরে অবস্থান করছেন বলে জানা গেছে। আরটিভি