News update
  • The growing terrorism threat in Africa     |     
  • Climate emergency: 2025 declared int’l year of glaciers     |     
  • UN regrets US exit from world coop on health, climate deal     |     
  • Dhaka’s air quality ranks world's 2nd worst on Wednesday     |     
  • Put global focus back on Rohingya crisis: Dr Yunus     |     

জামিনে মুক্তি পেয়ে বেপরোয়া শীর্ষ সন্ত্রাসীরা!

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক অপরাধ 2025-01-22, 10:32am

detertw-d7ae60952b6135b6a90f2fd437cc39cc1737520347.jpg




ঢাকায় জামিনে মুক্তি পেয়ে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে শীর্ষ সন্ত্রাসীরা। রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতার কারণে সন্ত্রাসীরা ভয়ংকর হয়ে উঠেছেন এমন কথা বলছেন সমাজ ও অপরাধ বিশ্লেষক ড. তৌহিদুল হক।

রাজধানীতে বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা, মার্কেটের নিয়ন্ত্রণ কিংবা নির্মাণাধীন ভবনে চাঁদাবাজি করছেন শীর্ষ সন্ত্রাসীরা। চাঁদা না দিলে গুলি ও বোমা মেরে আতঙ্ক তৈরি করছেন, দিচ্ছেন প্রাণনাশের হুমকিও। গত ৩ মাসে ১০টি ঘটনায় নাম এসেছে ইমন, সুব্রত, হেলাল, সুইডেন আসলামসহ কয়েকজনের। সম্প্রতি সময় সংবাদের বিশ্লেষণে উঠে এসেছে এমন সব তথ্য।

ঘটনা বিশ্লেষণে উঠে এসেছে ধানমন্ডি ৭ নম্বরের এ-তে সাত থেকে আটটি ভবন তৈরির কাজ চলছে। গতবছরের ৩০ ডিসেম্বর ৫ থেকে ৬ জন যুবক এসে যোগাযোগ করতে একটি মোবাইল ফোন নম্বর দিয়ে যান। সেই নম্বরে যোগাযোগ করলে পুলিশের খাতায় শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমনের পরিচয়ে ৩০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা হয়। 

চাঁদা না দিয়ে পুলিশি পাহারা বসালে হামলা চালান সন্ত্রাসীরা। ভবনের সামনে এসে দরজা খুলে ফাঁকা গুলি করার পর পেট্রোল দিয়ে আগুন ধরিয়ে দিয়ে পালিয়ে যান তারা। এ ঘটনায় নির্মাণ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আতঙ্কে আছেন এলাকাবাসীও।

গত ১০ জানুয়ারি এলিফ্যান্ট রোডের মাল্টিপ্ল্যান মার্কেটের সামনে দুই ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে জখম করা হয়। এখানেও নাম আসে ইমনের। তবে আহতরা আরেক শীর্ষ সন্ত্রাসী পিচ্চি হেলালের ভাই হওয়ায় দুজনের দ্বন্দ্বের বিষয় সামনে এলেও ভুক্তভোগীদের দাবি, জড়িত কেবল ইমন।

রাজধানীর মগবাজারের বিশাল সেন্টারের দুটি দোকান দখলের চেষ্টা করে আরেক শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন। মাঝে মাঝে মহড়া দিচ্ছেন তার লোকজন। 

ঢাকায়  জামিনে মুক্তি পেয়ে বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন শীর্ষ সন্ত্রাসীরা।

রাজধানীর রূপনগরের রিও ফ্যাশনের ঝুট ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নেয়ার চেষ্টা করেন শীর্ষ সন্ত্রাসী শাহাদাত। কারখানাটির সামনে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।

ভুক্তভোগীরা জানান, সন্ত্রাসীদের উৎপাতের কথাও।

সম্প্রতি এক চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করতে গেলে ছুরিকাঘাত করা হয় এক পুলিশ সদস্যকেও।

গত তিন মাসে ১০টি ঘটনা পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ধানমন্ডি, মগবাজার, মোহাম্মদপুর, মিরপুর, মতিঝিলের অপরাধ জগত নিয়ন্ত্রণ করছে ইমন, সুব্রত বাইন, পিচ্চি হেলাল, কিলার আব্বাসসহ আট থেকে দশ জন শীর্ষ সন্ত্রাসী। কয়েকজন সহযোগী গ্রেফতার হলেও এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরে তারা।

এ নিয়ে ডিএমপির গণমাধ্যম বিভাগের উপ-কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বলেন, কিছু গোয়েন্দা তথ্য রয়েছে, আমরা আরও তথ্য সংগ্রহ করছি এবং তথ্য হালনাগাদ করা হচ্ছে। যে যতই চেষ্টা করুক না কেন, আমরা তাদের আইনের আওতায় আনায় বদ্ধপরিকর।  

সমাজ ও অপরাধ বিশ্লেষক ড. তৌহিদুল হক বলেন, শীর্ষ সন্ত্রাসীদের ঠেকাতে তাদের রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকদের আইনের আওতায় আনা জরুরি।

তিনি আরও বলেন,রাজনৈতিক দলগুলো যেন শীর্ষ পর্যায়ের সন্ত্রাসীদের আশ্রয় প্রশ্রয় বা রাজনৈতিকভাবে যে সহযোগিতা, সেগুলো  না দেয়।  

পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সন্ত্রাসীদের ধরতে আরও কার্যকর ভূমিকা রাখার পরামর্শ এ বিশ্লেষকের। সময়