টানা তাপপ্রবাহ বাড়িয়ে দিচ্ছে ডাব, তরমুজ, পেঁপে, আখসহ রসালো ফলের চাহিদা ও দাম। চড়া মূল্যের অভিযোগ করলেও তৃপ্তির আশায় কিনছেন ভোক্তারা।
তীব্র গরমের ক্লান্তি থেকে একটু প্রশান্তির আশায় নাগরিকের ভরসার অনেকটা জুড়ে আছে ডাব। তপ্ত রোদে ডাবেই তাই প্রশান্তি খুঁজে নেন রাজধানীর বাসিন্দা সালাউদ্দিন। যদিও এর বিনিময়ে তাকে গুনতে হয় চড়া দাম।
তিনি বলেন, গরমের মধ্যে ডাব খেলে একটু শান্তি পাওয়া যায়। তবে যে হারে দাম বাড়ছে তাতে ডাব কিনে খাওয়া কষ্টসাধ্য।
টানা তাপপ্রবাহের সঙ্গে বেড়েছে ডাবের দাম। রাজধানীর বিভিন্ন পাইকারি ও খুচরা বাজার ঘুরে দেখা যায়, আকারভেদে পাইকারিতে প্রতিটি ডাব বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ১২০ টাকায়। খুচরা বাজারে তা ঠেকছে ৭০ থেকে ১৬০ টাকা।
খুচরা বিক্রেতা ও আড়তদাররা বলেন, তীব্র গরমের কারণে চাহিদা বেড়েছে ডাবের। এতে দাম কিছুটা বেড়েছে।
শুধু ডাবের ঠান্ডা পানিই নয়, গরমের আঁচ লেগেছে আখ ও আখের শরবতেও। বেড়েছে পেঁপে, আনারস, তরমুজসহ দেশি রসালো ফলে দামও।
বিক্রেতাদের দাবি, চাহিদা বাড়ায় দামও বেশি। চাহিদা কমে এলে দামও কমতে শুরু করবে।
মূল্যবৃদ্ধির তালিকায় আমদানি করা ফল আপেল ও মাল্টাও। প্রতিকেজি আপেলে ২০ থেকে ৩০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ২৫০-২৮০ টাকায়। আর মাল্টার দাম ঠেকেছে আড়াইশতে।
ক্রেতারা বলছেন, গরম বাড়ায় দাম বেড়েছে ফলের। এতে কষ্টের সঙ্গে সঙ্গে ফাঁকা হচ্ছে পকেট।
ভোক্তারা মূল্যবৃদ্ধির অভিযোগ করলেও তা দেখার জন্য বাজারে দেখা মেলেনি সরকারি কোনো তদারকি সংস্থার কার্যক্রম। সময় সংবাদ