News update
  • Consensus not to use emergency for political ends: Ali Riaz     |     
  • Sunamganj’s age-old boat market dull as normal floods rare     |     
  • Italian PM Giorgia Meloni to Visit Bangladesh on Aug 30-31     |     
  • BNP to Get 38.76% Votes, Jamaat 21.45%, NCP 15.84%     |     
  • Bangladesh’s Democratic Promise Hangs in the Balance     |     

বছরে ৯১ হাজার কোটি টাকার সোনা পাচার

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক অর্থনীতি 2024-06-03, 12:57pm

getetwe-ccd1a7448f01c6e15344390cdff34cc11717397855.jpg




সারাদেশের জল, স্থল ও আকাশপথ ব্যবহার করে প্রতিদিন কমপক্ষে ২৫০ কোটি টাকার অবৈধ সোনার অলংকার ও বার চোরাচালানের মাধ্যমে বাংলাদেশে আসছে। যা বছর শেষে দাঁড়ায় প্রায় ৯১ হাজার ২৫০ কোটি টাকা বা তার চেয়ে বেশি।

তবে এসব সোনার প্রায় পুরোটাই আবার প্রতিবেশী দেশে পাচার হয়ে যায়। অর্থাৎ, চোরাকারবারিরা বাংলাদেশকে সোনা চোরাচালানের নিরাপদ রুট হিসেবে ব্যবহার করছে।

সোমবার (৩ জুন) বাজুস কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় তারা।

এসময় উপস্থিত ছিলেন বাজুসের উপদেষ্টা রুহুল আমিন রাসেল, বাজুস কার্যনির্বাহী কামিটির সহ-সভাপতি ও বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন অ্যান-স্মাগলিং অ্যান্ড ল এনফোর্সমেন্টের চেয়ারম্যান মো. রিপনুল হাসান, সহসভাপতি মাসুদুর রহমান, কার্যানির্বাহী কমিটির সদস্য ও বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন প্রমুখ।

সংবাদ সম্মেলনে মো. রিপনুল হাসান বলেন, প্রতিদিন দেশের জল, স্থল ও আকাশপথে কমপক্ষে প্রায় ২৫০ কোটি টাকার অবৈধ সোনার অলংকার, সোনার বার, ব্যবহৃত পুরোনো জুয়েলারি (যা ভাঙারি হিসাবে বিবেচিত হয়) ও হীরার অলংকার (ডায়মন্ড জুয়েলারি) চোরাচালানের মাধ্যমে বাংলাদেশে আসছে। যা ৩৬৫ দিন বা একবছর শেষে যার পরিমাণ প্রায় ৯১ হাজার ২৫০ কোটি টাকার বেশি।

এ সময় জানানো হয়, প্রতিবেশী দেশ ভারতর সঙ্গে বাংলাদেশের ৩০টি জেলার সীমান্ত অবস্থিত। এর মধ্যে খুলনা বিভাগের ৬ জেলা মেহেরপুর, কুষ্টিয়া, চুয়াড়াঙ্গা, ঝিনাইদহ, যশোর ও সাতক্ষীরা জেলা সোনা চোরাচালানের নিরাপদ রুট হয়ে উঠেছে। ভারতে পাচার হওয়া সোনার বড় একটি অংশ এসব জেলার সীমান্ত দিয়ে হয়ে থাকে।

এর মধ্যে প্রতিদিন গড়ে ২২০ কোটি টাকার সোনা ও সোনার অলংকার এবং ৩০ কোটি টাকার হিরা ও হিরার অলংকার আসে। সে হিসাবে এক বছরে ৮০ হাজার ৩০০ কোটি টাকার সোনা ও ১০ হাজার ৯৫০ কোটি টাকার হীরা অবৈধভাবে আসছে। পুরো এই টাকা হুন্ডির মাধ্যমে সোনা ও হীরা চোরাকারবারিরা বিদেশে পাচার করে থাকে। যার ফলে সরকার রেমিট্যান্স হারাচ্ছে এবং সোনা ও হীরা চোরাকারবারিরা বিদেশে পাচার করেন। চলমান ডলার সংকটে এই বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচার ও চোরাচালান বন্ধে সরকারকে উদ্যোগ নেওয়ার দাবি জানায় বাজুস।

এসময় বাজুসের ক্ষেত্রে কয়েকটও সুপারিশ করা হয়। এসব সুপারিশের মধ্যে রয়েছে, হীরা চোরাচালানে জডিতদের ধরতে আইন-প্রয়োগকারী সংস্থাগুলাোর জোরালো অভিযান পরিচালনা করা, সোনা ও হীরা চোরাচালান প্রতিরোধে বাজুসকে সম্পৃক্ত করে পৃথকভাবে সরকারি মনিটারিং সেল গঠন, ব্যাগেজ রুল সংশোধনের মাধ্যমে সোনার বার আনা বন্ধ করা, ব্যাগেজ রুল সংশোধনের মাধ্যমে সোনার বার আনা বন্ধ করা, ট্যাক্স ফ্রি সোনার অলংকারের ক্ষেত্র ১০০ গ্রামের পরিবর্তে সর্বাচ্চ ৫০ গ্রাম করা, একই ধরনের অলংকার দুটির বেশি আনা যাবে না।