News update
  • 2 dead, six hurt in Sherpur micro-autorickshaw-motorbike crash     |     
  • One killed over loud music row at wedding party in Natore     |     
  • Fire breaks out at jacket factory in Chattogram     |     
  • Dhaka, Delhi agree to bring down border killings to zero     |     
  • Natore’s Baraigram OC closed over negligence in bus robbery case     |     

চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় নিলাম বুধবার

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক অর্থনীতি 2024-09-15, 1:43pm

df3636cd95787366d7853bcc970e21f997a33a61e2512b1c-dbac0052935f879be545d03c8ea6d1431726386211.png




চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজে ইতিহাসে সবচেয়ে বড় নিলাম হবে বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর)। মার্সিডিজ বেঞ্জ, ল্যান্ড ক্রুজার গাড়িসহ অন্তত ৪৬ ধরনের পণ্য নিলাম হবে। তবে বিভিন্ন শেডে নিলামযোগ্য পণ্যের বিপরীতে এটি একেবারেই নগণ্য।

চট্টগ্রাম বন্দরের সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, ২ হাজার ৭৬৮টি ২০ ফুট সাইজের, ৩ হাজার ১৭০টি ৪০ ফুট সাইজের পণ্য ভর্তি কন্টেইনার রয়েছে-যেগুলো আমদানিকারকরা ছাড় না করায় দীর্ঘদিন ধরে বন্দরের ইয়ার্ডে পড়ে রয়েছে। এছাড়া চার হাজার মেট্রিক টন ওজনের ৭০ হাজার প্যাকেজ কার্গো এবং ৫ হাজার ৪৫০ মেট্রিক টন ওজনের ৬ হাজার ৮৪৬ প্যাকেজ বাল্ক পণ্য রয়েছে যেগুলো নিলামের জন্য ইতোমধ্যে কাস্টমসের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।প

গ্রাফিক্স চিত্রে চট্টগ্রাম বন্দরের শেডে পড়ে থাকা নিলামযোগ্য পণ্যের পরিমাণ

বছরের পর বছর এসব পণ্য নিলাম না হওয়ায় ইয়ার্ডের গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে আসছে বলে অভিযোগ বন্দর কর্তৃপক্ষের। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মোহাম্মদ ওমর ফারুক বলেন,

বন্দরে ৬ হাজারের ওপর কন্টেইনার আছে। এছাড়া প্যাকেজ কার্গো, ব্ল্যাক বাল্ক কার্গো তো রয়েছেই। নিলাম না হওয়ায় এসব ইয়ার্ডের গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে আছে।

এ অবস্থায় সাম্প্রতিক সময়ের সবচেয়ে বড় নিলামের আয়োজন করতে যাচ্ছে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজ। ১৮ সেপ্টেম্বরের এই নিলামে তোলা হচ্ছে ১৬ কোটি টাকা মূল্যের মার্সিডিজ বেঞ্চ, ৫ কোটি টাকা মূল্যের ল্যান্ড ক্রুজার, কোটি টাকা মূল্যের ডেনিম ফেব্রিক্স, ফ্লোর টাইলস।

এর বাইরে রয়েছে নানা ধরনের কটন, সিনথেটিক ফেব্রিক্স, সোডিয়াম সালফেটের মতো কেমিকেল এবং আম-আপেল ও আনারসের জুস। চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজের উপ-কমিশনার মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম বলেন,

বিভিন্ন সময় এসব পণ্য ব্যবসায়ীরা আমদানি করলেও বন্দর থেকে খালাস করেনি। এসব পণ্য বন্দরের জায়গা দখল করে আছে। তাই এগুলো বাজেয়াপ্ত করে নিলামের মাধ্যমে বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

এদিকে কাস্টম হাউজের এই নিলাম নিয়ে বিডারদের অভিযোগের শেষ নেই। চট্টগ্রাম কাস্টম বিডার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইয়াকুব চৌধুরী বলেন,

অনলাইনে টেন্ডার জমা দেয়ার বিধান করা হলেও, পে-অর্ডার জমা দিতে হবে স্বশরীরে। এমনকি টেন্ডার পাওয়ার পর ডেলিভারি নিয়েও থেকে যায় নানামুখী জটিলতা। এসব প্রতিবন্ধকতা থেকে মুক্তি দিতে হবে বিডারদের।

উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে আমদানি করা যে কোনো পণ্য চার দিন পর্যন্ত বন্দরের শেডে বিনা শুল্কে রাখার সুযোগ পায় আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান। এরপর থেকে প্রতি ৪ দিন অন্তর ২০ ফুট সাইজের কন্টেইনারের জন্য ৬ মার্কিন ডলার এবং ৪০ ফুটের জন্য ১২ মার্কিন ডলার মাশুল আদায় করে চট্টগ্রাম বন্দর। তথ্য সূত্র আরটিভি নিউজ।