বেয়াড়া হয়ে ওঠা নিত্যপণ্যের বাজারকে বাগে আনতে উঠেপড়ে লেগেছে অন্তর্বর্তী সরকার। বাজার তদারকিতে নেমেছেন খোদ বাণিজ্য উপদেষ্টা। এরই মধ্যে কমানো হয়েছে বেশ কিছু পণ্যের আমদানি শুল্কও। তবে বাজারে এখনও শেখ হাসিনা সরকারের পুরোনো সিন্ডিকেট সক্রিয়। এদের নির্মূল করা ছাড়া স্বস্তি ফেরানো কঠিন।
গত ৫ আগস্ট স্বৈরাচার হাসিনা সরকারে পতনের সঙ্গে সঙ্গে অনেকটাই স্বস্তি ফেরে নিত্যপণ্যের বাজারে। বছরের সবচেয়ে কম দামে বিক্রি হয় সবজি। ডিম, ব্রয়লার মুরগির দামও কমে আসে বেশ খানিকটা। কিন্তু দুই সপ্তাহ পার না হতেই ফের উত্তাপ বাড়তে থাকে পণ্যের দামে।
বাজার পর্যবেক্ষণকারী সংগঠন কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) মতে, পণ্যের এমন অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধির পেছনে বিগত সরকারের অবৈধ সিন্ডিকেটের সক্রিয়তাই দায়ী।
এদিকে, পণ্যের দাম বৃদ্ধির কারণ অনুসন্ধানের পাশাপাশি বাজার তদারকিতে নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। বাজার পরিদর্শন করেছেন বাণিজ্য উপদেষ্টাও।
এরইমধ্যে চিনির আমদানি ১৫ শতাংশ শুল্ক কমানো হয়েছে। ডিম আমদানিতে ২০ শতাংশ শুল্ক প্রত্যাহারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কমতে যাচ্ছে ভোজ্যতেল আমদানি খরচও। বেঁধে দেওয়া হয়েছে বেশ কিছু পণ্যের দাম। শুধু তাই নয়, নিম্নবিত্তের জন্য সাশ্রয়ী মূল্যে পণ্য বিতরণ করছে টিসিবি। চালু আছে ওএমএস (ওপেন মার্কেট সেল) কর্মসূচিও।
অর্থনীতিবিদ সায়েম আমির ফয়সল বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার যেসব উদ্যোগ নিয়েছে। বিশেষ করে সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি ও কঠোর প্রয়োগ, ব্যাংকিং খাতে ব্যাপক সংস্কার এবং দেশের অর্থনীতি থেকে কালো হাত ভেঙে দেওয়ার যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে সেটি অবশ্যই প্রশংসনীয়। এই উদ্যোগ জারি থাকলে ভবিষ্যতে শুধু মূল্যস্ফীতি নয়, দেশের অর্থনীতিতেও এর ইতিবাচক প্রতিফলন ঘটবে। তবে বাজার সিন্ডিকেট ভাঙার পাশাপাশি ব্যবসায়ীদের অস্বাভাবিক মুনাফা রোধে সরকারকে সার্বক্ষণিক সক্রিয় থাকার পরামর্শ বিশ্লেষকদের। আরটিভি