News update
  • Dhaka concerned at dwindling funds for Rohingyas     |     
  • Rohingya crisis in uncertainty; WASH sector faces challenges     |     
  • HRW delegation meets Commission of Inquiry on Disappearances     |     
  • US Chargé d'Affaires Ann Jacobson to Meet Political Parties in BD      |     
  • With trees in flowering farmers hopeful of bumper mango crop     |     

পাচার হওয়া অর্থ ফেরাতে জোর চেষ্টা করছে অন্তর্বর্তী সরকার

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক অর্থনীতি 2024-10-25, 7:47am

img_20241025_074905-3716b9af38c1a5f72578e8da79649a311729820972.jpg




বিশ্বে টাকা পাচারের উৎকৃষ্ট স্বর্গরাজ্য ছিল বাংলাদেশ। যেখানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নাকের ডগায় শেখ হাসিনা সরকারের এমপি, মন্ত্রী, ব্যবসায়ী, আমলা থেকে শুরু করে রাজনীতিক ও সরকারের কর্তাব্যক্তিরা দেদারছে টাকা পাচার করে গেছেন। যার পরিমাণ প্রায় ১৮ লাখ কোটি টাকা। সেই অর্থ ফেরত আনতে জোর চেষ্টা করছে অন্তর্বর্তী সরকার।

বিভিন্ন উৎস থেকে জানা গেছে, বিতর্কিত ব্যবসায়ী গোষ্ঠী এস আলম গ্রুপ ব্যাংক লুট করে সিঙ্গাপুরসহ বিভিন্ন দেশে পাচার করেছেন ১ লাখ কোটি টাকার বেশি। পাচারের টাকায় সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী কেবল যুক্তরাজ্যেই কিনেছেন ৩৬০টি বাড়ি। আওয়ামী লীগ নেতা আবদুস সোবহান গোলাপ যুক্তরাষ্ট্রে ১৯টি বাড়ি কিনেছেন। সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বেলজিয়ামে গড়েছেন বিপুল সম্পদ।

পাচার হওয়া টাকা ফেরত আনার বিষয়ে জাতিসংঘ সফরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে বৈঠক করে সহযোগিতার চেয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। গঠন করা হয়েছে বিশেষ টাস্কফোর্স।

সম্প্রতি অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিনও জানান, পাচার হওয়া সম্পদ ফেরাতে যুক্তরাষ্ট্রের কারিগরি সহযোগিতা নেওয়া হবে। এ ছাড়া পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনতে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বেসরকারি খাতের লিগ্যাল ফার্ম নিয়োগ দেওয়া হবে।

শুধু তাই নয়, পাচারের অর্থ ফেরত আনা ও ব্যবস্থাপনায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুরকে প্রধান করে ৯ সদস্যের টাস্কফোর্স গঠন করেছে সরকার।

সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সিনিয়র রিসার্চ ফেলো তৌফিকুল ইসলাম খান বলেন, বাংলাদেশের টাকা ফেরত আনার এবং ফেরত দেওয়ারও অভিজ্ঞতা রয়েছে। তাই দেশের মধ্যে টাকা পাচারের বিচার, স্বচ্ছতা এবং কতটা শক্তিশালীভাবে করতে পারে সেটিই দেখার বিষয়ে। এই বিচারের মধ্যে যেন কোনো শূণ্যতা না থাকে।

তিনি আরও বলেন, পাচারের অর্থ ফেরত আনার বিষয়ে টাস্কফোর্সের ইচ্ছে থাকতে হবে এবং এরমধ্যে সমন্বয় থাকতে হবে। এসব সংস্থায় আগে যারা সুবিধাভোগী ছিলন তাদেরকে সরিয়ে দিয়ে নতুন লোক আনতে হবে।

বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের (বিআইআইএসএস) গবেষণা পরিচালক ড. মাহফুজ কবির বলেন, শুধু মুখে নয়, আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সঙ্গে আইনগত সহযোগিতা চুক্তিটা করা গেলে অর্থ ফেরত আনার প্রাথমিক কাজটা শেষ হবে। এ ছাড়া আমাদের কড়া বার্তা দিতে হবে দেশের অর্থ বাহিরে যেতে পারবে না। এই শক্তিশালী অবস্থান থাকলে কেউ টাকা পাচার করতে সাহস পাবে না।

বিশ্লেষকদের মতে, আগামীতে অর্থপাচার ঠেকাতে বাংলাদেশ ব্যাংককে আরও শক্ত ভূমিকা নিতে হবে। আরটিভি