News update
  • UN Assembly Urges Decisive Action to Resolve Israel-Palestine Conflict     |     
  • Sediment-borne fertility transforms northern Bangladesh     |     
  • 3 Armed Forces Chiefs, Jamaat Ameer visit Khaleda Zia at Hospital     |     
  • Army, Navy, Air Chiefs Visit Khaleda Zia at Dhaka Hospital     |     
  • EU, BDRCS, IFRC Partner to Strengthen Recovery of July Uprising Survivors     |     

অতিরিক্ত ভাড়ার কারণে বিমানে উঠছে না কৃষিপণ্য!

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক অর্থনীতি 2024-10-27, 3:10pm

b32d7a0abec7de4bb0199277fe0e36d97711f172e9d3a88c-9a3d6cb57c2fc99c131b64d7575160201730020258.jpg




বাংলাদেশ থেকে অধিক ব্যবহৃত ও অপ্রচলিত প্রায় ৬০ ধরনের শাক-সবজি ও ফল রফতানি হয় বিশ্বের প্রায় ৪৭টি দেশে। কিন্তু বিভিন্ন মৌসুমে নানা সংকটে তা কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে উন্নীত করতে পারছেন না ব্যবসায়ীরা। কারণ হিসেবে বেশি ভোগাচ্ছে অতিরিক্ত বিমান ভাড়া। এতে কমছে রাজস্ব আয়ও।

ব্যবসায়ীরা জানান, কয়েকগুণ বাড়তি খরচের কারণে বাংলাদেশ থেকে কৃষিপণ্য নিচ্ছে না বিদেশি ক্রেতারা। এতে গত বছরের চেয়ে এ বছর রফতানি নেমে এসেছে ২৫ শতাংশেরও নিচে।

তথ্য বলছে, বাংলাদেশ থেকে কৃষিপণ্য রফতানির একমাত্র সুযোগ আকাশ পথ। কিন্তু কার্গো সুবিধা প্রয়োজনের তুলনায় কম। এর মধ্যে আবার বিভিন্ন বৈশ্বিক সংঘাতে গার্মেন্টস পণ্য পাঠাতে আকাশ পথ ব্যবহারের চাপ বেড়েছে এয়ার কার্গোতে। এতে কয়েক মাস ধরে ব্যবসায়ীদের ২৬০ টাকার ভাড়া বেড়ে প্রতি কেজিতে গুনতে হচ্ছে ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা।

কেন্দ্রীয় প্যাকেজিং হাউজের মাধ্যমে গত বছর জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর মাসে ৩০৬৭ টন সবজি ও ফল রফতানি হয়েছে। এতে রাজস্ব আয় হয়েছিল ৭১ লাখ ৬০ হাজার ৭৫৩ টাকা। আর চলতি বছরের একই সময়ে মাত্র ৭৫৯ টন সবজি ও ফল রফতানি হয়। এতে রাজস্ব আয় হয় মাত্র ৫৩ হাজার ৭৬৪ টাকা।

অভিযোগ রয়েছে, বাংলাদেশের গার্মেন্টস পণ্যকে কেন্দ্র করে অস্থির হয়ে ওঠেছে এ খাত।

রফতানিকারক কোম্পানি লি এন্টারপ্রাইসের স্বত্বাধিকারী মোহাম্মদ আবুল হোসাইন বলেন, হুথি বিদ্রোহীদের কারণে সাগরপথে রফতানি করা যাচ্ছে না। ফলে চাপটা পড়ছে ঢাকার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে।

আর আর এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী রাজীব দে বলেন,  ‘তাজা শাক-সবজি এবং ফলমূল রফতানিতে বিমানের ফ্লাইট ছাড়া আর কোনো পথ নেই। এ অবস্থায় বিমান ভাড়া যদি বেশি হয়, তাহলে ক্রেতারা আমাদের কাছ থেকে পণ্য নেবে না।’    

রফতানির বাজার ঠিক রাখতে সিভিল এভিয়েশনসহ সরকার ও স্টেকহোল্ডারদের সিদ্ধান্তের অপেক্ষা করার কোনো পথ নেই বলেও মনে করেন খাতসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।

সাপ্লাইচেইন বিশেষজ্ঞ মো. মুজিবুল হক বলেন, ‘আমাদের নিয়মিত কার্গো বিমান নেই। বিমানবন্দরে ওজন মাপার স্ক্যানারও থাকে খারাপ হয়ে। বিদেশ থেকে যদি একটি ডলারও আসে সেটাও আমাদের জন্য প্রয়োজনীয়। এর জন্য গার্মেন্টসের পরই আমাদের অন্যতম খাত হচ্ছে কৃষিপণ্য।’

সিন্ডিকেটের কিছুটা দায় স্বীকার করে অতিরিক্ত কার্গো বিমান আনার পরামর্শ দিয়েছেন বাংলাদেশ এয়ারপ্রিমিয়া জিএসএর প্রধান ও নির্বাহী পরিচালক সাদিকুল আমিন।  সময় সংবাদ।