News update
  • UNRWA chief: Ceasefire is the start, not the solution     |     
  • UNRWA chief: Ceasefire is the start, not the solution     |     
  • Sudan war becomes more deadly: Ethnically motivated attacks up     |     
  • Dhaka's RMG exports reach $38.48 bn in 2024: New markets up     |     
  • Bangladesh’s GDP Growth to Decline to 4.1% in FY25: WB     |     

অস্থিরতা ঢাকায়, গার্মেন্টস মালিকরা ছুটছেন চট্টগ্রামে

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক অর্থনীতি 2024-11-23, 1:39pm

ertertercxvxc-14e41e560f5ad02743a56365d69475a01732347540.jpg




অবশেষে সুদিন ফিরছে চট্টগ্রামের পোশাক শিল্পে। ঢাকার শিল্পাঞ্চলে অস্থিরতার শঙ্কায় এখন বন্দরনগরীতে ভিড়ছেন বিনিয়োগকারীরা। কাঁচামাল আমদানি তো বটেই, রফতানির ক্ষেত্রে বন্দরের সুযোগ কাজে লাগাতে গড়ে তোলা হচ্ছে শিল্প কারখানা। পুরাতন কারখানা ভাড়া নেয়া ছাড়াও নতুন করে জমি কিনছেন অনেকে।

সরেজমিনে দেখা যায়, চট্টগ্রামে কাকডাকা ভোর থেকেই কর্মস্থলের পথে ছুটে চলেন লাখো শ্রমিক। নগরীর ইপিজেডে কাজের উদ্দেশ্যে তাদের এ ছুটে চলা। দেশের অর্থনীতির চাকা সচলে ঘাম ঝড়াচ্ছেন দিন-রাত।

বাণিজ্যিক রাজধানীর প্রতিটি শিল্পাঞ্চলে গত কয়েক বছর ধরে এটিই চিরচেনা চেহারা। আন্দোলন-সংগ্রাম এড়িয়ে নিরবচ্ছিন্ন উৎপাদন চলছে প্রতিটি কারখানায়।

একটা সময় চট্টগ্রামে ৭০০ থেকে ৮০০ পোশাক কারখানা থাকলেও নানা জটিলতায় তা কমে দাঁড়ায় ২৫০-তে। তবে সংকটের বৃত্ত ভেঙে ফের বাড়ছে কারখানার সংখ্যা; যা দেখাচ্ছে আশার আলো। বর্তমানে চট্টগ্রাম ইপিজেড, কর্ণফুলী ইপিজেড এবং কোরিয়ান ইপিজেডসহ নগরীর বিভিন্ন স্থানে প্রায় সাড়ে ৪০০ কারখানা সচল রয়েছে। যেখানে সরাসরি কাজ করছেন ৭ থেকে ৮ লাখ শ্রমিক।

এমন বাস্তবতায় চট্টগ্রামে নতুন করে নজর দিচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা। বলছেন, ঢাকা ও আশপাশের শিল্পাঞ্চলে শ্রমিক অসন্তোষে লোকসানের শঙ্কায় তারা ছুটছেন চট্টগ্রামে।

ঢাকার শ্রমিক সংঘাতের আঁচ চট্টগ্রামে লাগতে না দিয়ে শিল্প পুলিশ যেমন চমক দেখিয়েছে, তেমনি বিনিয়োগে আগ্রহীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতেও সাজানো হচ্ছে কর্মপরিকল্পনা।

চট্টগ্রাম শিল্প পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক মোহাম্মদ সুলাইমান বলেন, শিল্প মালিক যারা আসছেন, তারা যেন বিনিয়োগের পর ভালোভাবে ব্যবসা করতে পারেন সেই পরিবেশ আমরা তৈরি করেছি। বিশেষ করে টহল পার্টি পরিচালনা করছি। এছাড়া ডাকাতি, ছিনতাই, চুরি থেকে রক্ষায়ও আমাদের টিম কাজ করছে।

এদিকে চট্টগ্রামের মতো আশার আলো দেখছেন পর্যটন নগরী কক্সবাজারের ব্যবসায়ীরাও। মহেশখালীর মাতারবাড়ি বন্দরে পুরোদমে কার্যক্রম শুরু হলে খুলবে সম্ভাবনার নতুন দুয়ার।

চলতি অর্থবছরে প্রথম চার মাসে ৪৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হিসাবে বিজিএমইএ'র অন্তর্ভূক্ত ২৫০ এর বেশি পোশাক কারখানা ৫৪৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের পণ্য রফতানি করেছে। আর তিনটি ইপিজেড এবং বিকেএমইএ'র প্রতিষ্ঠানগুলোর রফতানি আরও কয়েকগুণ বেশি।