News update
  • Bumper harvest of Jujube in Ramu Upazila     |     
  • Govt urged to offer scholarships to Palestinian students     |     
  • Caretaker Govt Review Hearing on Supreme Court Cause List     |     
  • Bangladesh Single Window to Launch by March: Lutfey Siddiqi     |     
  • UNRWA chief: Ceasefire is the start, not the solution     |     

লোকে লোকারণ্য সাগরতীর, খালি নেই হোটেল-মোটেল

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক অর্থনীতি 2024-12-16, 6:06pm

272009ee50c1866aeec40946981240475d524fe884472762-1-b90a1106ddc9c064fdfdfd24559303281734350818.jpg




মহান বিজয় দিবসের ছুটিতে বিশ্বের অন্যতম বড় সমুদ্রসৈকত কক্সবাজারে ভিড় করেছেন লাখো ভ্রমনপিপাসু। তীল ধারণের ঠাঁই নেই ৩ কিলোমিটার সাগরতীরজুড়ে, মেতেছেন আনন্দ-উল্লাসে। পাঁচ শতাধিক হোটেল-মোটেলের কোথাও কোনো রুম খালি নেই।

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত ছাড়া মেরিন ড্রাইভ, দরিয়ানগর, হিমছড়ির ঝরনা, পাথুরে সৈকত ইনানী-পাটুয়ারটেক, টেকনাফ সমুদ্রসৈকত, নেচার পার্ক, ডুলাহাজারা সাফারি পার্ক, রামুর বৌদ্ধ পল্লিসহ বিনোদন কেন্দ্রগুলোও এখন জমজমাট। তবে ভ্রমণে এসে অনেক পর্যটক পড়ছেন ভোগান্তিতে। হোটেলে রুম না পেয়ে অনেক পর্যটক ব্যাগ নিয়ে অবস্থান করছেন সৈকতের কিটকটে।

সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) সকালে সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টে গিয়ে দেখা যায়, সাগরতীরজুড়ে মানুষ আর মানুষ। বালিয়াড়ি কি নোনাজল, সবখানেই আনন্দ-উল্লাস। সাগরতীর পরিণত হয়েছে সব বয়সের মানুষের মিলনমেলায়। মহান বিজয় দিবসের ছুটি; তাই সাগরতীরে কেউ এসেছেন বিজয়ের বেশে, আবার কেউ এসেছেন জাতীয় পতাকা হাতে। পরিবার-পরিজন নিয়ে আনন্দে মেতে ওঠার পাশাপাশি তুলছেন ছবি, শিশুদের নিয়ে খেলছেন বালুচরে। অনেকেই চড়ছেন ঘোড়ার পিঠে কিংবা ওয়াটার বাইকে।

সুগন্ধা পয়েন্টে কথা হয় ঢাকার বাসিন্দা মো. আসাদুজ্জামানের সঙ্গে। স্ত্রী রুনা ও ৫ বছরের মেয়ে আরিশাকে নিয়ে গত শুক্রবার কক্সবাজার আসেন। তিনি বলেন, ‘সৈকতে মানুষের ঢল দেখে অবাক হয়ে গেলাম। অগ্রিম হোটেল কক্ষ বুকিং না দিয়ে এলে বিপদে পড়তাম। এখন পরিবার নিয়ে ঘুরছি আর আনন্দ করছি। আগামী ১৮ ডিসেম্বর কক্সবাজার থেকে নিজ গন্তব্য ঢাকায় ফিরে যাব।’

আরেক পর্যটক রাইয়্যান আহমেদ বলেন, ‘ছুটি মানেই কক্সবাজার। শীত মৌসুমে কক্সবাজার সৈকত অনেক সুন্দর লাগে। তাই পরিবাবকে সময় দেয়ার জন্য কক্সবাজার ছুটে এসেছি। গোসল করলাম, বিচ বাইক ও ঘোড়ার পিঠে চড়লাম। খুব মজা হচ্ছে।’

এদিকে হোটেল রুম না পেয়ে অনেকেই ব্যাগ নিয়ে অবস্থান করছেন সৈকতের কিটকটে। অনেকের দাবি, আদায় করা হচ্ছে অতিরিক্ত রুম ভাড়া। আর মানুষের ভিড়ে বসার সিটও পাওয়া যাচ্ছে না কিটকটে।

মতিঝিলের বাসিন্দা শরীফ আহমেদ বলেন, পর্যটকের উপচে পড়া ভিড়ের কারণে হোটেল কক্ষের ভাড়া বেশি আদায় করা হচ্ছে। রেস্তোরাঁয় খাবারের দামও অত্যধিক। অতিরিক্ত যানবাহনের চাপে হাঁটাচলাও করা যাচ্ছে না ঠিকমতো।

নারায়ণগঞ্জ থেকে আসা পর্যটক রহিম বলেন, ‘হোটেলে রুম নেই। তাই সকাল ৬টা থেকে এসে সুগন্ধা পয়েন্টের কিটকটে বসে আছি ব্যাগ নিয়ে। সকাল ১০টায় আবারও হোটেলের রুম পাওয়া যাবে কিনা চেষ্টা করেছি। কিন্তু পাওয়া যায়নি। বিকেল পর্যন্ত অপেক্ষা করব, যদি হোটেলের রুম না পাই তাহলে নারায়ণগঞ্জে ফিরে যাব।’ 

এদিকে সমুদ্রস্নানে মেতেছেন অধিকাংশ পর্যটক। তাদের নিরাপত্তা দিতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে সীমিত সংখ্যক লাইফগার্ড কর্মীদের।

সুগন্ধা পয়েন্টে দায়িত্বরত সিনিয়র লাইফগার্ড কর্মী মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, সৈকতের ৩টি পয়েন্টে লাইফগার্ডরা দায়িত্ব পালন করছেন। তবে লাখো পর্যটকের সমুদ্রস্নানে নিরাপত্তা দিতে কিছুটা বেগ পেতে হচ্ছে। পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তায় তৎপর দেখা গেছে টুরিস্ট পুলিশের সদস্যদের। গোসলে নেমে ঢেউয়ের ধাক্কায় কিংবা স্রোতের টানে কেউ ভেসে গেলে উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছেন লাইফগার্ড কর্মীরা। আর বিচকর্মীরা দায়িত্ব পালন করছেন তথ্য ও অভিযোগ কেন্দ্রে। সময়।