News update
  • UNGA urges renewed int’l efforts for a resolution of Rohingya crisis      |     
  • First National AI Readiness Assessment Report Published     |     
  • China calls for implementation roadmap for new finance goal     |     
  • New gas reserve found in old well at Sylhet Kailashtila field     |     
  • Revenue earnings shortfall widens in October     |     

শেষ মুহূর্তে বাণিজ্য মেলায় উপচেপড়া ভিড়

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক অর্থনীতি 2025-01-31, 6:33pm

erwerewr-5b3fb5cf2853f1571b708742b2a52dfe1738326812.jpg




ভেতরে অসংখ্য মানুষ। প্রবেশের সবগুলো পথেই মানুষের দীর্ঘ সারি। মেলামুখী দুই প্রান্তের সড়কে মানুষের ঢল।

শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) বিকেলে দর্শনার্থীদের এমন ভিড় ছিল পূর্বাচলে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলার ২৯তম আসর। ১ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া মাসব্যাপী এই মেলার পর্দা নামছে আজ।

মূল্য ছাড়ের ঘোষণা ও অপ্রত্যাশিত মূল্য ছাড়ে মেলার শেষের দিকে এসে বাড়তে শুরু করেছে ক্রেতা ও দর্শনার্থীর সংখ্যাও। নিয়ম অনুযায়ী ৩১ জানুয়ারি শেষ হচ্ছে এ মেলা। সেই হিসাবে ছুটির দিন ছিল মেলার শেষ শুক্রবার। তাই দর্শনার্থীদের ভিড়ও ছিল বেশি। প্রবেশপথ পেরিয়ে মেলা প্রাঙ্গণে ঢুকতেই নানা বয়সই হাজারো মানুষের ভিড় দেখা যায়। ভিড়ের কারণে অনেকটা ঠেলাঠেলি করে এগোতে হচ্ছিল মানুষকে। মাইকে ভেসে আসছে মেলা-সম্পর্কিত নানা তথ্য।

বিশেষ করে গৃহস্থালির নানা পণ্য, খাবার, ইলেকট্রনিকস, ক্রোকারিজসহ সব পণ্যে নানা অফার থাকায় সবাই কিছু না কিছু কিনে বাড়ি ফিরছেন।

দেশি-বিদেশি হরেক পণ্যের মেলায় মানুষ এসেছেন রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে। অনেকে এসেছেন সপরিবারে। ক্রেতা-দর্শনার্থীরা হুমড়ি খেয়ে পড়েছিলেন পছন্দের পণ্যের স্টলে। স্টলে স্টলে দেখা গেল বিক্রেতা ও ক্রেতার মধ্যে দর-কষাকষি।

সরেজমিনে দেখা যায়, সকাল থেকেই রাজধানী ও আশেপাশের এলাকা থেকে সব শ্রেণি-পেশার ক্রেতা- দর্শনার্থীরা মেলায় আসতে শুরু করেছেন। বিভিন্ন স্টলের মূল্য ছাড়ের সুযোগও নিচ্ছেন তারা।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্যমতে, বাণিজ্যমেলার এবারের আসরে ৩৪৩টি দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে। যার মধ্যে বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত, পাকিস্তান, তুরস্ক, সিঙ্গাপুর, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া ও হংকংয়ের ১১টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে।

স্টল মালিকরা জানান, মেলার শেষ দিকে বেচাকেনা বাড়লেও খুব একটা লাভের মুখ দেখছেন না তারা। এদিকে সময় বাড়ানোর দাবি জানালেও কর্তৃপক্ষ তাতে সায় দেয়নি।

বিক্রয়কর্মীরা জানান, শৈত্যপ্রবাহের কারণে মেলার শুরুতে তেমন দর্শনার্থী আসেনি। শুক্র ও শনিবার ছাড়া সপ্তাহের অন্য দিনগুলোতেও তেমন সাড়া মেলেনি। তবে দিন যত গড়াতে থাকে তত মানুষের আগমন বাড়তে থাকে।

মেলার মূল ভবনে দেখা যায় তিল ধারনের ঠাঁই নেই। হল ‘এ’ এবং ‘বি’ ক্রেতা-বিক্রেতার হাঁকডাকে মুখরিত হয়ে আছে। ক্রেতা আকর্ষণের চেষ্টা করতে দেখা গেছে ব্যবসায়ীদের।

ভিশন প্যাভিলিয়নের ব্যবস্থাপক বলেন, আজ শেষ দিন হওয়ায় আমরা ক্রেতা-দর্শনার্থীদের থেকে ভাল সাড়া পাচ্ছি। আমাদের সব পণ্যে ২০ শতাংশ ছাড় চলছে। বেচা-কেনা ভালো, তবে আরও ভালো হতে পারতো।

মেলায় টাঙ্গাইল তাঁতের শাড়ি, থ্রি-পিস স্টলের বিক্রয়কর্মী আক্তার বলেন, আজ শেষ দিন হওয়ায় আমাদের বিক্রি ভালো। আমাদের এখানে সুলভ মূল্যে আসল তাঁতের শাড়ি, থ্রি-পিস পাওয়া যাচ্ছে। আমাদের বিক্রি বেশি, লাভ কম। আশা করছি পরেরবার আরও বেশি বিক্রি করতে পারব।

মেলায় আগত একজন ক্রেতা বলেন, আজ মেলায় স্বাভাবিকভাবেই অনেক ভিড়। তবে আগারগাঁও যখন মেলা হতো তখন ব্যাপারটাই অন্যরকম ছিল। তবে এখানেও খারাপ না। বিদেশি স্টলের সংখ্যা বাড়ানো হলে আরও বেশি মানুষ আসবে বলে আমি মনে করি।

মেলা থেকে বের হওয়ার পথেও দীর্ঘ সারি। মেলা থেকে বের হওয়ার পর যাদের নিজস্ব বাহন নেই, তারা পড়েন কিছুটা বিড়ম্বনায়। কাছাকাছি বেশ কিছু সিএনজিচালিত অটোরিকশা থাকলেও চালকেরা ভাড়া হাঁকেন প্রায় দেড়-দুইগুণ। অনেকে বাধ্য হয়ে তাতেই আরোহী হন। আবার অনেকে হেঁটে যান সামনের দিকে। মূল সড়কে গিয়ে অটোরিকশা, বাস বা অন্য বাহন পাওয়ার আশায়।

বিকেল ৪টায় আনুষ্ঠানিকভাবে মেলার সমাপ্তি ঘোষণার কথা থাকলেও মেলা চলবে রাত ১০টা পর্যন্ত।

গত ১ জানুয়ারি পূর্বাচলের বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বাণিজ্যমেলার উদ্বোধন করেন।আরটিভি