News update
  • Yunus Invites Malaysian Investors to Explore Bangladesh     |     
  • Guterres Seeks Probe Into Gaza Journalist Killings, Hunger Deaths     |     
  • India Restricts Key Jute Imports via Land Borders     |     
  • Rahul, Priyanka Detained in March to ECI Over ‘Vote Fraud’     |     
  • Five Taxpayer Groups Freed from Online Filing Obligation     |     

আসছে নতুন মুদ্রানীতি, গুরুত্ব পেতে পারে যেসব বিষয়

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক অর্থনীতি 2025-02-06, 9:58am

etewrqwrwq-c837ae9ea05a7f6e3eaf707ddd840e991738814287.jpg




চলতি অর্থবছরের শেষ ছয় মাসের জন্য আগামী সপ্তাহে ঘোষিত হতে পারে নতুন মুদ্রানীতি। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, রিজার্ভ ধরে রাখা ও বিনিময় হারের স্থিতিশীলতা গুরুত্ব পাবে এবারের নীতিতে। তবে সংকোচনমুখী নীতি বাস্তবায়ন করতে গিয়ে সুদের হার না বাড়ানোর অনুরোধ করছেন ব্যবসায়ী ও অর্থনীতিবিদরা। জীবনযাত্রার ব্যয় কমিয়ে আনতে বাজার ব্যবস্থাপনার ওপর জোর তাদের।

জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে সরকার পরিবর্তন হলেও নতুন গভর্নর পুরোনো মুদ্রানীতি পর্যালোচনা করেননি। তবে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে বাজারে টাকার প্রবাহ কমাতে বাড়িয়েছেন নীতি সুদহার। যদিও বাজারে তার প্রভাব খুব একটা পড়েনি। গত ডিসেম্বর পর্যন্ত চড়েই ছিল সাধারণ মূল্যস্ফীতি। জানুয়ারিতে সামান্য কমলেও এখনো চড়া খাদ্য মূল্যস্ফীতি।

এমন বাস্তবতায় গভর্নর হিসেবে প্রথমবারের মতো মুদ্রানীতি ঘোষণা করতে যাচ্ছেন ড. আহসান এইচ মনসুর। জানুয়ারি-জুন সময়ের জন্য দেয়া এই নীতির ভঙ্গি এবার অত্যন্ত সতর্কতামূলক হলেও সুদহার বাড়বে কিনা তা স্পষ্ট করেনি বাংলাদেশ ব্যাংক।

বাংলাদেশ ব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত মুখপাত্র মোহাম্মদ শাহরিয়ার সিদ্দিকী বলেন, এবারের মুদ্রানীতি অত্যন্ত সতর্কতামূলক হবে। কারণ দেশের অর্থনীতি স্বাভাবিক সময়ে নেই। সেগুলো মাথায় রেখেই করা হচ্ছে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সমুন্নত করা, বিনিময় হারকে স্থিতিশীল করা ও মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখার পাশাপাশি বিদ্যমান সমস্যাগুলো অ্যাড্রেস করাই মূল লক্ষ্য।

সুদের হার বাড়িয়ে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে বাস্তবসম্মত নয় বলে অভিমত ব্যবসায়ীদের। তারা জানান, দেশের শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলো ব্যাংক ঋণের উপর নির্ভরশীল। তাই সুদ বাড়লে পণ্য উৎপদান খরচ বেড়ে মূল্যস্ফীতি উসকে যায়। এজন্য ভারসাম্যপূর্ণ মুদ্রানীতি প্রয়োজন।

বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) নির্বাহী সভাপতি ফজলে শামীম এহসান বলেন, বিশ্বের অন্য দেশের তুলনায় আমাদের প্রেক্ষাপট ভিন্ন, কারণ সেখানে ভোক্তা লোন বেশি। যখন সুদ বাড়ে ভোক্তা তখন কেনাবেচা কমিয়ে দেয়। বেশি সংকোচন নয় আবার খুলে দিলেও হবে না, মাঝামাঝি একটা মুদ্রানীতি করতে হবে।

মুদ্রানীতির আরেক উদ্দেশ্য বিনিময় হার স্থিতিশীল রাখা। এজন্য রিজার্ভের পতন ঠেকানোর কৌশলও থাকবে। এই কৌশল বাস্তবায়ন করতে গিয়ে খুব বেশি সংকোচনমুখী মুদ্রানীতি না করার পরামর্শ অর্থনীতি বিশ্লেষকদের।

অর্থনীতিবিদ ও বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের (বিআইএসএস) গবেষণা পরিচালক ড. মাহফুজ কবীর বলেন, অনন্তকাল ধরে উচ্চ মূল্যস্ফীতি থাকতে দেয়া যাবে না। মূল্যস্ফীতি কমিয়ে আনতে হবে। একইসঙ্গে কমিয়ে আনতে হবে সুদের হার। নমনীয় করতে হবে মুদ্রানীতিও। যা দেশ ও ব্যবসার জন্য ভালো হবে।

আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংকের বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। সেখানে অনুমোদন পেতে পারে নতুন মুদ্রানীতি। ঘোষিত হতে পারে পরদিন ১০ ফেব্রুয়ারি।