Three accused in Alamgir Talukdar murder case in Patuakhali police custody.
পটুয়াখালী: পটুয়াখালী সদর উপজেলার বড় আউলিয়াপুর গ্রামের আলমগীর তালুকদার (৫৫) কে নৃশংসভাবে হত্যার অভিযোগে ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে মোঃ শাহিন সিকদার (৪৩, মোঃ জাফর জোমাদ্দার (৬১), মোঃ রুহুল আমীন খান (৪৮) ও মোঃ রিপন মিয়া ওরফে রিপন শরিফ (৪২)। এদের সকলের বাড়ি আউলিয়াপুর গ্রামে।
এদের মধ্যে ঘটনার মূল হোতা শাহিন সিকদারকে ২৭ জুলাই ঢাকার মতিঝিল এলাকা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। শাহীন হত্যাকান্ডের দায় স্বীকার করে ২৮ জুলাই পটুয়াখালী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। পরে তার দেয়া তথ্য অনুসারে গত সোমবার রাতে ও মঙ্গলবার সকালে নিজ নিজ বাড়ি থেকে অপর আসামীদের গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ হত্যার কাজে ব্যবহৃত রশি, গামছা ও বালিশ উদ্ধার করে। পটুয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মোঃ সাজেদুুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান, ১২ এপ্রিল ভিকটিম আলমগীর তালুকদারের হাত পা রশি দিয়ে ও চোখ মুখ গামছা দিয়ে বাঁধা অবস্থায় অর্ধগলিত পঁচা মরদেহ তালাবদ্ধ নিজ বাসা থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। পরবর্তীতে ভিকটিমের স্ত্রী মোসা. আমেনা বেগম বাদী হয়ে পটুয়াখালী সদর থানায় ১২ এপ্রিল একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় জড়িত মো. শাহিন সিকদারকে ঢাকার মতিঝিল এলাকা হতে গ্রেফতার করা হয়।
ভিকটিমের স্ত্রী আমেনা বেগম জানান, তার স্বামী আলমগীর তালুকদারের সাথে ৭ এপ্রিল রাত আনুমান সাড়ে ৮ টার দিকে সর্বশেষ মোবাইলে কথা হয়। এরপর থেকে তাঁর মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। পরবর্তীতে গত ১২ এপ্রিল সকাল সাড়ে ৭ টার দিকে আমেনা বেগম ও তাঁর ছেলে রিয়াজ তালুকদার ভিকটিমের বসতবাড়ি বড় আউলিয়াপুরে গিয়ে হাত-পা রশি দিয়ে বাঁধা এবং মুখ গামছা দ্বারা মোড়ানো ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়।
জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা জানায়, এ হত্যার ঘটনায় জড়িত আসামীরা ম্যাগনেটিক পিলার/পাওয়ার কয়েন এর প্রতারনামূলক অবৈধ ব্যবসার সাথে জড়িত রয়েছে। অবৈধ ব্যবসার টাকা ভাগবাটোয়ারা নিয়ে তাদের নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। পরবর্তীতে আসামীরা টাকার জন্য ভিকটিমকে চাপ প্রয়োগ করলে ভিকটিম টাকা দিতে অপরাগতা প্রকাশ করায় গ্রেফতারকৃত আসামীরাসহ আরো ৩/৪ জন ভিকটিমকে হত্যার পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা অনুযায়ী ০৭ এপ্রিল রাত্র ১১ টার দিকে ভিকটিমের বসতবাড়িতে আসলে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে আসামীরা সকলে মিলে তার হাত-পা রশি দিয়ে বেঁেধ, চোখ গামছা দ্বারা বেঁধে, বালিশ চাঁপা দিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করে ঘরের আড়ার সাথে মরদেহ ঝুলিয়ে রেখে পালিয়ে যায়। - গোফরান পলাশ