শীতে কাঁপছে রাজধানীসহ সারাদেশ। তীব্র শীতে দেশের জনজীবন থমকে গেছে। সবচেয়ে বেশি কষ্টে আছেন খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ। তাদের এই শীতের মধ্যেই কাজের সন্ধানে বের হতে হচ্ছে। এছাড়া পথ মানুষের দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করছে। হাড় কাঁপানো শীতে চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন উত্তরাঞ্চলের মানুষ।
এদিকে দেশের দুই বিভাগ এবং ৬টি জেলার ওপর দিয়ে চলমান শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে, একইসঙ্গে কয়েক দিন বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। রোববার রাতের তাপমাত্রা কমার পাশাপাশি দিনের তাপমাত্রা বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। শনিবার (২৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টায় দেওয়া ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এমন তথ্য জানিয়েছে সংস্থাটি।
শনিবার সন্ধ্যায় আবহাওয়া পূর্বাভাসে এমন তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের পাশাপাশি গোপালগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, মৌলভীবাজার, যশোর, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়া জেলার ওপর দিয়ে চলমান শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে। এছাড়া ৩১ জানুয়ারি থেকে কয়েকদিন হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে।
এদিকে প্রচণ্ড শীতের কারণে দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ রয়েছে। ঘন কুয়াশায় ব্যাহত হচ্ছে নৌযান, বিমান ও ট্রেন চলাচল। এ অবস্থায় বৃষ্টি হলে বিপাকে পড়বেন চাষিরাও। তারা বলছেন, বেশি বৃষ্টি হলে, চাষের জমিতে পানি জমে ফসলের ক্ষতি হতে পারে।
আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক জানান, ৩১ জানুয়ারি দেশের বেশিরভাগ স্থানে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত শুরু হতে পারে, যা ১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলতে পারে। তবে ২ ফেব্রুয়ারি থেকে উত্তর-পূর্বাঞ্চলে আরও কয়েক দিন বৃষ্টি হতে পারে।
এদিন সন্ধ্যা ৬টা থেকে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের নদী অববাহিকার কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে এবং দেশের অন্যত্র কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারী কুয়াশা পড়তে পারে। ঘন কুয়াশার কারণে অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন চলাচল ব্যাহত হতে পারে। গোপালগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, মৌলভীবাজার, যশোর, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়া জেলাসহ রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।
রোববার (২৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৬ টা থেকে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের নদী অববাহিকার কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে এবং দেশের অন্যত্র কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা পড়তে পারে। ঘন কুয়াশার কারণে অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন চলাচল ব্যাহত হতে পারে। সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
সোমবার (২৯ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৬ টা থেকে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের নদী অববাহিকার কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে এবং দেশের অন্যত্র কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা পড়তে পারে। ঘন কুয়াশার কারণে অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন চলাচল ব্যাহত হতে পারে। সারাদেশে রাতের সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। আর বর্ধিত ৫ দিনের আবহাওয়ার অবস্থা পর্যালোচনায় বৃষ্টিপাতের প্রবণতা রয়েছে বলেও জানানো হয়েছে।
আবহাওয়ার সিনপটিক অবস্থায় বলা হয়, উপ-মহাদশেীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে, যার বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত।
আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্র জানায়, শনিবার সকাল ৯টা থেকে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক ছিল। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের নদী অববাহিকার কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়ে। ঘন কুয়াশার কারণে অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহণ চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। কিশোরগঞ্জ, গোপালগঞ্জ, মৌলভীবাজার, যশোর, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা জেলাসহ রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ ছিল- যা অব্যাহত থাকতে পারে।
এদিকে শনিবার ভোর ৬টায় পঞ্চগড়ে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৭ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর ৩ ঘণ্টা পর সকাল ৯টায় তাপমাত্রা আরও কমে ৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে দাঁড়ায়, যা শনিবার সারা দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল।। তথ্য সূত্র আরটিভি নিউজ।