News update
  • 184 Palestinian journos killed in Gaza war endured hunger, grief     |     
  • Gaza Sees Record Hunger as West Bank Evictions Rise     |     
  • Gaza Health Crisis Deepens as Hospitals Overflow, WHO Warns     |     
  • Mystery over deaths of 2 men inside car in Mouchak basemeent     |     
  • Govt Ready to Transfer Power to Elected Leaders: Chief Adviser     |     

ঈদের দিনের আবহাওয়া কেমন থাকবে?

তাপপ্রবাহ কমবে কবে?

বিবিসি বাংলা আবহাওয়া 2025-03-29, 7:42pm

t5345353retr-4318db15c901523dfc7e8a6d60dbdbbd1743255732.jpg




মাঝ চৈত্রে বাংলাদেশের রাজধানীসহ ঢাকাসহ দেশের ৩৫টি জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে হালকা থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ। আর যশোর ও সিরাজগঞ্জ জেলার ওপর দিয়ে বইছে তীব্র তাপপ্রবাহ।

এমন এক সময় এই তাপপ্রবাহ বইছে যখন মুসলমানদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর উদযাপনের প্রস্তুতি চলছে সারা দেশে।

অনেকে বাড়ি ফিরছেন, শেষ মুহূ্তের কেনাকাটা করছেন অনেকে, আবার ঈদ জামাতের আয়োজনও চলছে।

ফলে ঈদের দিনের আবহাওয়া কেমন থাকবে তা নিয়েও আগ্রহও রয়েছে সাধারণ মানুষদের মধ্যে।

শনিবার বাংলাদেশ আবহাওয়া অফিস থেকে প্রকাশিত তিন দিনের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, এ সময়ে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকবে।

আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন, ঈদুল ফিতরের দিন দেশে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। তবে এদিন চট্টগ্রাম বিভাগের দুয়েক জায়গায় খুব সামান্য বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।

আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, বর্তমানে সারাদেশের বেশ কিছু জেলার ওপর দিয়ে তাপপ্রবাহ বয়ে গেলেও গরমের কারণে জনজীবনে এর খুব একটা প্রভাব পড়বে না।

কারণ হিসেবে আবহাওয়াবিদ মি. মল্লিক বলেন, "এই সময়ে রোদের কিরণকাল বেশিক্ষণ ধরে থাকার কারণে দিনের বেলায় গরম বেশি অনুভূত হয়। তবে রাতের আকাশ মেঘমুক্ত থাকার কারণে তখন তাপমাত্রা কমতে থাকে, যে কারণে গরমের অনুভূতি কম হয়।"

আবহাওয়াবিদরা জানাচ্ছেন, আরও দুই তিনদিন এমন তাপপ্রবাহ চললেও এবারের ঈদে পরিস্থিতি অসহনীয় হওয়ার আশঙ্কা খুবই কম।

আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস

আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে প্রকাশিত বিবৃতিতে রোববার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।

সোমবার থেকে মঙ্গলবার সকাল ৯টা পর্যন্ত আবহাওয়ার অবস্থা প্রায় একই থাকবে।

এছাড়া বর্ধিত পাঁচ দিনের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে পরবর্তী পাঁচ দিনে দেশের আবহাওয়ার অবস্থা সামান্য পরিবর্তিত হতে পারে।

আবহাওয়াবিদ মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক বিবিসি বাংলাকে বলেন, "বর্তমানে যে আবহাওয়া বিরাজ করছে তাতে পহেলা এপ্রিল থেকে কিছুটা পরিবর্তন আসতে পারে। তবে এতে খুব বড় পরিবর্তন আসবে না।"

তিনি আরও জানান, এখন কালবৈশাখীর মৌসুম হওয়ার স্থানীয়ভাবে আবহাওয়ার পূর্বাভাস সঠিকভাবে নাও মিলতে পারে। কেননা যে কোনো মুহূর্তে এই কালবৈশাখীর শঙ্কাও রয়েছে।

তাপপ্রবাহ কমবে কবে?

বাংলা ক্যালেন্ডারের পাতায় চৈত্র মাস শুরু হয়েছে মার্চের ১৫ তারিখ থেকে। এরপরই একটু একটু করে গরম বাড়তে শুরু করেছে।

গত ২৩শে মার্চ থেকে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে গরমের তীব্রতা বাড়তে শুরু করে। গত বৃহস্পতিবার থেকে দেশের ১৩টি জেলায় তাপপ্রবাহ শুরু হয়। শুক্রবার পর্যন্ত সেটি ছড়ায় ১৫টি জেলায়।

শনিবার আবহাওয়া অফিস জানায়, যশোর ও সিরাজগঞ্জ জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তীব্র তাপপ্রবাহ। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল যশোরে ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আবহাওয়া অফিস আরও জানিয়েছে, মৌলভীবাজার, রাঙ্গামাটি, বরিশাল ও পটুয়াখালী জেলা এবং ঢাকা, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারী ধরনের তাপ প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।

অর্থাৎ মোট ৩৫টি জেলায় এখন মৃদু থেকে মাঝারী ধরনের তাপ প্রবাহ বইছে।

এই তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকলেও কিছু কিছু জায়গায় তা প্রশমিত হতে পারে বলেও আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে।

আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক জানান, বাতাসের গতিবেগ কম এবং ক্রমান্বয়ে দিনের ও রাতের রাতের তাপমাত্রার পার্থক্য কমতে শুরু করেছে।

এই তাপমাত্রার পাথর্ক্য কমবেশির সাথে কীভাবে তাপপ্রবাহ বা গরমের সম্পর্ক রয়েছে সেটিও তিনি তুলে ধরেন নানা তথ্য-উপাত্ত দিয়ে।

মি. মল্লিক বলেন, "দিন ও রাতের তাপপাত্রার পার্থক্য ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামলে মানুষের গরমের অনুভূতি বৃদ্ধি পায়। আর যদি এটি পাঁচ ডিগ্রির নিচে নামে তাহলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়। তখন গরমে মানুষের মধ্যে নাভিশ্বাস ওঠে।"

আবহাওয়াবিদরা জানাচ্ছেন, আগামী রোববার থেকে তাপমাত্রা কিছুটা কমতে পারে। তবে তাপপ্রবাহ একেবারে শেষ হয়ে যাবে না।

মি. মল্লিক বিবিসি বাংলাকে বলেন, "দশমিক পাঁচ থেকে সর্বোচ্চ এক থেকে দুই ডিগ্রি পর্যন্ত তাপমাত্রা কমতে পারে। এরচেয়ে বড় কোনো পার্থক্য হওয়ার সম্ভাবনা নেই।"

ঈদের দিন বৃষ্টি হবে?

বাংলা ক্যালেন্ডারে চৈত্র মাস, আর আরবি ক্যালেন্ডারে বর্তমানে চলছে রমজান মাস।

গত দোসরা মার্চ থেকে শুরু হয়েছে রমজান মাস। সে হিসাবে রোববার আরবি শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা গেলে এবার রোজা হবে ২৯টি, সেক্ষেত্রে সোমবার বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হবে ঈদুল ফিতর।

আর সোমবার শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা গেলে ৩০টি রোজা শেষে মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হবে এবারের রোজার ঈদ।

আবহাওয়াবিদরা আগে থেকেই এবারের ঈদে মৃদু তাপপ্রবাহের পূর্বাভাস জানিয়ে আসছিলেন। সে অনুযায়ী বাংলাদেশের ১৫টি জেলায় তাপপ্রবাহ বইতেও শুরু করেছে।

শনিবার বিবিসির সাথে আলাপকালে আবহাওয়াবিদ মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক জানান, "সোম কিংবা মঙ্গলবার যেদিনই ঈদ হোক না কেন এবার ঈদের দিন সারাদেশে বৃষ্টিপাতের তেমন কোনো সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।"

তবে তিনি এটিও জানিয়েছেন, ঈদের দিন সিলেট কিংবা চট্টগ্রাম বিভাগের দুয়েক জায়গায় খুব সামান্য বৃষ্টিপাত হতে পারে, যা উল্লেখ করার মতো নয়।

তিনি জানান, এই সময়ে কালবৈশাখী ঝড় প্রবণতার কারণে স্থানীয়ভাবে বজ্রমেঘ তৈরি হয়। তবে এ নিয়ে আগে থেকে কিছু কিছু বলা যায় না। যে কারণে বজ্রমেঘ তৈরি হয়ে স্থানীয়ভাবে বৃষ্টিপাত তৈরি হতে পারে।