News update
  • UN Calls for Calm in Bangladesh After Protest Leader’s Killing     |     
  • DMP issues 7 traffic directives for Osman Hadi’s Janaza     |     
  • Vested quarter fuelling chaos to impose new fascism: Fakhrul     |     
  • Hadi’s namaz-e-janaza at 2:30pm Saturday     |     
  • Jashore’s Gadkhali blooms with hope; flowers may fetch Tk4 bn      |     

কাজী আনারকলি সর্বোচ্চ শাস্তি হতে পারে

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক ইন্টারভিউ 2022-08-10, 11:21pm

কাজী আনারকলি। ফাইল ছবি



কাজী আনারকলি লিভটুগেদারে জড়িয়ে গেছেন বলে অনেকেই মনে করেন। তবে বিদেশি বন্ধু এবং মাদকসহ আটক হন তিনি। ঘটনার দিন তাকে একই বাসায় নাইজেরিয়ান এক ব্যক্তির সঙ্গে পাওয়া যায়। এসময় তাদের কাছ থেকে মারিজুয়ানা মাদক জব্দ করে পুলিশ। এ ঘটনার পর নড়েচড়ে বসে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। আনারকলিকে ইন্দোনেশিয়া পুলিশ ছেড়ে দিলেও ওএসডি (বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) করে সরকার। সঙ্গে সঙ্গে ইন্দোনেশিয়া থেকে ফিরিয়ে আনা হয় বাংলাদেশি এ কূটনীতিককে। বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে বলে জানায় মন্ত্রণালয়। সংসদীয় কমিটিকে তার চাকরীচ্যুতের বিষয়ে ইঙ্গিত দিয়েছে মন্ত্রণালয়।

বুধবার (১০ আগস্ট) সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। ফারুক খানের সভাপতিত্বে বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, নূরুল ইসলাম নাহিদ, গোলাম ফারুক খন্দকার প্রিন্স, মো. হাবিবে মিল্লাত, নাহিম রাজ্জাক ও নিজাম উদ্দিন জলিল (জন) অংশগ্রহণ করেন।

বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি মুহম্মদ ফারুক খান বলেন, আনারকলির বিষয়টি আমাদের দেশের ভাবমূর্তির সঙ্গে সম্পৃক্ত। তার বিষয়ে মন্ত্রণালয়ও কঠোর অবস্থানে। একটি কমিটি কাজ করছে। ওই কর্মকর্তার অপরাধ প্রমাণিত হলে সর্বোচ্চ প্রশাসনিক শাস্তি হতে পারে বলে জানান তিনি।

তিনি আরও বলেন, এর বাইরেও কূটনীতিকদের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড নিয়ে আলোচনা হয়েছে। গত ১০ বছরে বিভিন্ন মিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কী ধরনের অপরাধের সঙ্গে জড়িত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে এবং তাদের বিরুদ্ধে কী ধরনের শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তার তথ্য চাওয়া হবে। ওই তথ্য গুল সব মিশন থেকে পাঠাতে সুপারিশ করা হবে।

ইন্দোনেশিয়ায় আটক হওয়া বাংলাদেশি কূটনীতিক কাজী আনারকলি প্রায় ২৪ ঘণ্টা বন্দি ছিলেন মাদক নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের ডিটেনশন সেন্টারে। পরে কূটনৈতিক প্রচেষ্টায় বিশেষত ইন্দোনেশিয়া সরকারের বদান্যতায় তিনি মুক্তি পান বলে মনে করে মন্ত্রণালয়। কূটনৈতিক দায়িত্ব থেকে আনারকলিকে ফেরত আনার ঘটনা এবারই প্রথম নয়। এর আগে বাসার গৃহকর্মী নিখোঁজের ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলস থেকে ২০১৭ সালে তাকে ফেরত আনা হয়েছিল।

আনারকলি পররাষ্ট্র ক্যাডারের ২০ ব্যাচের কর্মকর্তা। ওই সময় যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলসে বাংলাদেশের ডেপুটি কনসাল জেনারেল ছিলেন। মার্কিন সরকারের বেঁধে দেয়া সময়ের মধ্যে তাকে জাকার্তায় জরুরি পদায়ন করা হয়েছিল। পরে ইন্দোনেশিয়ার ভিসা পাওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্র ছাড়তে বাধ্য হয়েছিল তাকে। তথ্য সূত্র আরটিভি নিউজ।