News update
  • UN Estimates $70 Billion Needed to Rebuild Gaza After War     |     
  • Mirpur garment factory, chemical godown fire kills 9     |     
  • Garbage pile turns Companiganj Bazar into an unhygienic town     |     
  • Put 'old feuds' aside for a new era of harmony in ME: Trump     |     
  • Rivers are Bangladesh's lifeblood, Rizwana at UN Water Convention      |     

কলাপাড়ায় ২৬ মার্চ উদযাপনে ইউএনও’র চাঁদাবাজি

উৎসব 2023-03-25, 7:07pm

invitation-letter-kalapara-58661caf809fecc1034cdd0ee20749671679749653.jpg

Invitation letter, Kalapara



পটুয়াখালী: ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপনে সরকারী বরাদ্দ থাকার পরও পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় ২৬ মার্চ উদযাপনের নামে ব্যাপক চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে  ইউএনও  মো. জাহাঙ্গীর হোসেন এর বিরুদ্ধে।
সিপিপি কর্মকর্তাকে ১৫ সদস্যের অর্থ-বিষয়ক উপ-কমিটির আহবায়ক করে তিঁনি নিজেই ফোনে এবং তাঁর অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের আমন্ত্রন পত্র দিয়ে টাকা তুলেছেন। চাঁদা বাজির টাকা ২৬ মার্চের অনুষ্ঠান ব্যয় মেটানোর দাবীতে সকলের কাছ থেকে জমা নিয়েছেন ইউএনও
কার্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. আবুল বাশার। বৈশ্বিক মন্দার কারনে ইউএনও দাবীকৃত চাঁদার টাকা যারা দিতে পারেননি তাদের উপর নাখোশ হয়েছেন ইউএনও। নিয়ে ভুক্তভোগীরা প্রকাশ্যে মুখ না খুললেও অনেকেই গনমাধ্যম কর্মীদের বিষয়টি অবগত করেছেন।
সূত্র জানায়, স্বাধীনতা দিবস উদযাপনে রাষ্ট্রীয় বরাদ্দ থাকার পরও ইউএনও চাঁদার তালিকা থেকে বাদ যায়নি ব্যাংক, এনজিও, জনপ্রতিনিধি, ইটভাটা, করাতকল, সার ব্যবসায়ী, ঔষধ ব্যবসায়ী, স্বর্ন ব্যবসায়ী, মৎস্য আড়ৎ ব্যবসায়ী সমিতি, চাল ব্যবসায়ী সমিতি, বন্দর ব্যবসায়ী সমিতি, হোটেল মোটেল মালিক সমিতি, প্রাইভেট ক্লিনিক এন্ড ডায়গনষ্টিক সেন্টার সমিতি সহ একাধিক সেক্টর।
একাধিক ইটভাটা মালিক সূত্র জানায়, ’ইউএনও নির্দেশে ইটভাটা প্রতি - হাজার টাকা করে আমরা অনুষ্ঠানের জন্য দিয়েছি।একাধিক জনপ্রতিনিধি বলেন,আমাদের চেয়ারম্যানদের কাছ থেকে হাজার টাকা করে নেয়া হয়েছে। ইউএনও নির্দেশে আমরা টাকা দিয়েছি।একাধিক ব্যাংক কর্মকর্তা বলেন,’আমাদের কোন বরাদ্দ না থাকার পরও হাজার টাকা করে দিয়েছি।এক এনজিও কর্মকর্তা
বলেন,’ উপজেলায় ৩৩টি এনজিও কাজ করছে। আমরা - হাজার টাকা করে দিয়েছি। এভাবে স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের নামে লাখ লাখ টাকা আদায় করা হয়েছে।
স্বাধীনতা দিবস উদযাপনে গঠিত অর্থ-বিষয়ক উপ-কমিটির আহবায়ক মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ’আমি বিষয়ে কিছুই জানি না। কাউকে ফোন করেছি বা কাউকে ১০ টাকা দিতে বলেছি কেউ বলতে পারবে না।অর্থ-বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য বেশ জন সরকারী কর্মকর্তা বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে দাবী করলেও দুএকজন বলেছেন সরকারী বরাদ্দ রয়েছে ৫০ হাজার আর শুধু কুচকাওয়াজ মাঠের
সাজ সজ্জা ইউএনও কার্যালয়ের আলোক সজ্জা ব্যয় আছে লাখ টাকা। এরপর শিশুদের চিত্রাংকন, আবৃত্তি প্রতিযোগীতার পুরস্কার, পুস্প স্তবক, রালী, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা, তাঁদের ফুলেল শুভেচ্ছা সহ উপহার প্রদান, দোয়া-প্রার্থনা, মহিলাদের ক্রীড়ানুষ্ঠান উপজেলা পরিষদ একাদশ বনাম পৌরসভা একাদশের প্রীতি ফুটবল খেলার পুরস্কার খরচ তো আলাদা।
২৬ মার্চ উদযাপন কমিটির আহবায়ক কলাপাড়া ইউএনও মো: জাহাঙ্গীর হোসেন চাঁদা আদায়ের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ’সারা বাংলাদেশেই এভাবে অনুষ্ঠান করা হয়। কারন সরকারী বরাদ্দ মাত্র ৫০ হাজার, ভ্যাট-ট্যাক্স কেটে ৪২ হাজার টাকা পাই। যা দিয়ে ডেকোরেশন খরচও হয় না। তাই স্বচ্ছল ব্যক্তিরা কিছু টাকা দিয়ে অনুষ্ঠানে সহায়তা দিচ্ছেন। কাউকে জোর করা হচ্ছে না। - গোফরান পলাশ