News update
  • UNGA urges renewed int’l efforts for a resolution of Rohingya crisis      |     
  • First National AI Readiness Assessment Report Published     |     
  • China calls for implementation roadmap for new finance goal     |     
  • New gas reserve found in old well at Sylhet Kailashtila field     |     
  • Revenue earnings shortfall widens in October     |     

ভিটামিন ই ক্যাপসুল বেশি খেলে হতে পারে যেসব সমস্যা

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক ওষুধ 2025-01-23, 2:53pm

ewrwre-a4aac3a9c032e240170cb7d4fec2ddb71737622435.jpg




অনেকেই ত্বক ও চুলের যত্নে ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেয়ে থাকেন। ভিটামিন ই এক ধরনের শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এটি সামগ্রিক সুস্থতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ, তবে এর সঠিক পরিমাণ জানা অত্যন্ত জরুরি। অনেকেই ত্বক ও চুলের সৌন্দর্য বাড়ানোর আশায় নিজে থেকেই ভিটামিন ই ক্যাপসুল সেবন শুরু করেন, কিন্তু রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে শরীরে ভিটামিন ই-এর মাত্রা পরীক্ষা না করেই এমনটা করা বিপজ্জনক হতে পারে।

চিকিৎসকদের মতে, ভিটামিন ই শরীরে ফ্রি র‍্যাডিক্যাল নিয়ন্ত্রণে রেখে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমায় এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এটি ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখা ছাড়াও ফুসফুস, মস্তিষ্কের স্নায়ু এবং ঋতুচক্র সম্পর্কিত সমস্যায় দারুণ কার্যকর। তবে শরীরে ভিটামিন ই-এর ঘাটতি বা প্রয়োজনীয়তা বোঝার জন্য রক্ত পরীক্ষা করা জরুরি। সে অনুযায়ী সঠিক মাত্রায় সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করাই নিরাপদ।

অতিরিক্ত ভিটামিন ই-এর ঝুঁকি

‘জার্নাল অফ দ্য আমেরিকান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন’-এ প্রকাশিত এক গবেষণায় বলা হয়েছে, অতিরিক্ত ভিটামিন ই সেবন করলে মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়তে পারে। যদিও এই ঘটনা বিরল, তবে অতিরিক্ত কিছুই ভালো নয়। চিকিৎসকদের মতে, “যেকোনো অ্যালোপ্যাথিক ওষুধের যেমন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকে, ভিটামিন ই-এর অতিরিক্ত গ্রহণেও সমস্যা হতে পারে।”

লিভার টক্সিসিটি ও অন্যান্য বিপদ

ভিটামিন ই ফ্যাটে দ্রবণীয় হওয়ায় এটি দীর্ঘ সময় ধরে লিভারে জমা থাকে। বাইরে থেকে অতিরিক্ত সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করলে লিভারের উপর বাড়তি চাপ পড়ে, যা বিষক্রিয়ার ঝুঁকি বাড়ায়। যদিও ভিটামিন ডি নিয়ে সচেতনতা বেশি, ভিটামিন ই নিয়েও সমান গুরুত্ব দেওয়া উচিত।

প্রতিদিন কতটুকু ভিটামিন ই মানবদেহের প্রয়োজন?

প্রতিদিন শরীরের সঠিক কার্যক্ষমতা বজায় রাখতে প্রায় ১৫ মিলিগ্রাম ভিটামিন ই প্রয়োজন। সাধারণত রোজকার খাবার থেকেই এই পরিমাণ ভিটামিন ই পাওয়া যায়, তাই আলাদা করে সাপ্লিমেন্ট গ্রহণের দরকার হয় না। পুষ্টিবিদদের মতে, কাঠবাদাম, চিনাবাদাম, কুমড়ার বীজ, সূর্যমুখীর বীজ, জলপাই, ব্রকলি, বেল পেপার, ডিমের কুসুম এবং সামুদ্রিক মাছ—এই খাবারগুলো নিয়মিত খাদ্যতালিকায় রাখলেই ভিটামিন ই-র ঘাটতি সহজেই পূরণ করা সম্ভব। তবুও যদি খাদ্য থেকে যথেষ্ট পরিমাণে ভিটামিন ই না পাওয়া যায়, তখন চিকিৎসকের পরামর্শে সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করা যেতে পারে।

অনেক চিকিৎসক কার্ডিওভাসকুলার রোগ প্রতিরোধে ভিটামিন ই সাপ্লিমেন্টের উপর ভরসা করেন। তবে আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশন সাম্প্রতিক সময়ে এই অভ্যাস থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিয়েছে।

ত্বক ও চুলের যত্নে ভিটামিন ই-এর ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ হলেও এটি গ্রহণের আগে রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে শরীরের প্রয়োজনীয়তা জেনে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। অতিরিক্ত সাপ্লিমেন্ট শরীরের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।আরটিভি