দেশে প্রথমবারের মতো শুরু হচ্ছে টাইফয়েড টিকাদান কর্মসূচি। মাসব্যাপী ক্যাম্পেইনে টিকা দেয়া হবে ৯ মাস থেকে ১৫ বছর বয়সী প্রায় ৫ কোটি শিশুকে। চিকিৎসকরা বলছেন, শতভাগ নিরাপদ এ টিকায় ন্যূনতম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়া নেই কোনো শঙ্কা। আর কার্যকারিতা বিবেচনা করে সামনের বছরগুলোতেও টাইফয়েড টিকাদান কার্যক্রম চালু রাখার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।
শিশুদের টাইফয়েড জ্বর থেকে সুরক্ষা দিতে এবার প্রথমবারের মতো সারা দেশে টাইফয়েড টিকাদান কার্যক্রম শুরু করেছে সরকার।
আজ রোববার (১২ অক্টোবর) থেকে শুরু হচ্ছে টিকাদান কার্যক্রম। মাসব্যাপী এই ক্যাম্পেইনে ৯ মাস থেকে ১৫ বছর পর্যন্ত প্রায় ৫ কোটি শিশু-কিশোরকে বিনামূল্যে দেয়া হবে টিকা।
শিশুদের টিকার জন্য সরকারের নির্ধারিত ভ্যাকসিন নিবন্ধন পোর্টালে আবেদন করতে বলা হয়েছিল৷ তবে যারা আবেদন করেনি কিংবা জন্ম নিবন্ধন নেই, নিয়মিত টিকা কেন্দ্রে গিয়ে তারাও টাইফয়েড টিকা দিতে পারবে বলে নিশ্চিত করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ।
চিকিৎসকরা বলছেন, শতভাগ নিরাপদ এ টিকা অনুমোদিত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকেই। টিকা দেয়ার পর ন্যূনতম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়া নেই কোনো শঙ্কা।
টাইফয়েড। ব্যাকটেরিয়া সৃষ্ট একটি সংক্রামক রোগ, যা প্রতিরোধযোগ্য। যদিও এতে আক্রান্ত হলে আর্থিক ক্ষতি, দীর্ঘমেয়াদি শারীরিক জটিলতা এমনকি হতে পারে মৃত্যুও।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ২০১৯ সালের তথ্য অনুযায়ী, প্রতিবছর বিশ্বে প্রায় ৯০ লাখ মানুষ টাইফয়েড জ্বরে আক্রান্ত হয়। এর মধ্যে মারা যায় ১ লাখের বেশি মানুষ। দেশেও এ সংখ্যা বাড়ায় বাড়ছে উদ্বেগ। দ্যা গ্লোবাল বারডেন অব ডিজিজ এর সমীক্ষা অনুযায়ী ২০২১ সালে বাংলাদেশে প্রায় ৪ লাখ ৭৮ হাজার মানুষ টাইফয়েড জ্বরে আক্রান্ত হন এবং মারা যান ৮ হাজার। যার মধ্যে ৬৮ শতাংশই শিশু।