দেশের মানুষের গড় আয়ু বৃদ্ধি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে সেশনজট থাকা ও করোনার কারণে ২ বছর নষ্ট হওয়াসহ নানা কারণে চাকরির আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ বয়সসীমা করাটা এখন সময়ের দাবি। অবিলম্বে যৌক্তিক এই দাবি বাস্তবায়ন করার দাবি জানিয়েছেন বিশিষ্টজনেরা।
শনিবার (২৭ মে) বেলা ১১টায় ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটির সাগর রুনি মিলনায়তন কক্ষে আয়োজিত এক সেমিনারে এ দাবি জানানো হয়। সেমিনারের আয়োজন করে চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ প্রত্যাশী শিক্ষার্থী সমন্বয় পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটি।
সেমিনারে সাবেক স্বাস্থ্য সচিব ও বিশিষ্ট লেখক ড. হোসেন আবদুল মান্নান বলেন, চাকরিতে আবেদনের সুযোগ পাচ্ছে না অনেক শিক্ষার্থী। তারা আজ পরিবার ও সমাজের কাছে হেয় হয়ে আছে। এটা কতটা কষ্টের তা কেবল ভুক্তভোগীরাই বুঝতে পারেন। কাজেই আমি মনে করি, চাকরির বয়সসীমা ৩৫ করা যৌক্তিক দাবি। আর এটা বাস্তবায়নে আর একদিনও বিলম্ব করা উচিত নয়। আমার বিশ্বাস প্রধানমন্ত্রীর কাছে যদি সঠিক মেসেজ দেওয়া যায়, তাহলে এটা অবশ্যই বাস্তবায়ন হবে।
জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত বলেন, তরুণরা কোনো কিছু নিয়ে আগ্রহ প্রকাশ করলে তাদের সাথে আমি থাকার চেষ্টা করি। আর তরুণদের বয়সসীমার এই দাবির বিষয়ে কোনো ভিন্নমত নাই। করোনার জন্যও একটা সময় পাওয়া উচিত। প্রধানমন্ত্রীর সাথে আমার কথা হলে বিষয়টি তুলে ধরার চেষ্টা করব।
চাকরির আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ প্রত্যাশী শিক্ষার্থী পরিষদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আহ্বায়ক সানোয়ারুল হক সনি বলেন, বাজারে বেকারদের বেকারত্ব নিয়ে একটি সিন্ডিকেট গড়ে ওঠেছে। এই সিন্ডিকেট ভাঙতে হবে। চাকরিতে যোগদান ও অবসরের বয়স বৃদ্ধি করা এখন সময়ের দাবি। এই দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা মাঠে থাকবে। তথ্য সূত্র আরটিভি নিউজ।