News update
  • Bangladesh Mission in Delhi Suspends Visa Services     |     
  • Another July warrier shot in head, critical in Khulna hospital     |     
  • NCP Khulna Chief Critically Shot Amid Rising Political Violence     |     
  • Indian MP Warns Bangladesh Faces Rising Lawlessness     |     
  • Law and Order Must Be Ensured Ahead of Polls: Prof Yunus     |     

সিনচিয়াংয়ের ‘পুরানো শাংহাই বন্ধু’ আইনিচিয়াং তুরসুনের কথা

ওয়াং হাইমান ঊর্মি কুটনীতি 2023-01-14, 10:30pm

sdggdfdhh-7f098d2c6d9bf1156deac88947b9f1df1673713855.jpg




চীনের শাংহাই শহরে সিনচিয়াংয়ের একজন নাগরিক আছেন, যিনি সাবলীলভাবে শাংহাইয়ের উপভাষায় কথা বলেন এবং সর্বদা অনেকের মনোযোগ আকর্ষণ করেন । এই কারণে তিনি শাংহাইয়ে অনেক বন্ধু তৈরি করেছেন। তিনি হচ্ছেন সিনচিয়াংয়ের ‘পুরানো শাংহাই বন্ধু’ তুরসুন। আজকের অনুষ্ঠানে তাঁর গল্প তুলে ধরবো।

শাংহাই শহরের ‘হুংখৌ’জেলায় একটি খুবই বিখ্যাত সিনচিয়াং রেস্তোরাঁ রয়েছে। এর নাম আইনবাই রেস্তোরাঁ। এই রেস্টুরেন্টের মালিক তুরসুন। শাংহাইয়ে তাঁর আগমনের কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, ‘সিনচিয়াংয়ের  আর্তুশ-এ আমি জন্মগ্রহণ করি। ১৯৮৬ সালের ৭ মার্চের  রাত সাড়ে ১১টায় আমি শাংহাইয়ে পৌঁছাই। তখন আমার বয়স ছিল মাত্র ১৭ বছর। আমি একটি ছোট ব্যবসা শুরু করি এবং ১৯৯১ সালে একটি রেস্তোরাঁ খুলি। ইতোমধ্যেই ৩১ বছর কেটে গেছে। শুরুতে, ব্যবসা খুব ভাল ছিল না, কিন্তু ধীরে ধীরে ব্যবসার উন্নতি হয়েছে। পরে আমি শাংহাইয়ে কিছু স্থানীয় বন্ধুও পেয়েছি। তারা আমাকে বলেন, আমার রেস্তোরাঁটি শাংহাইয়ের স্থানীয় লোকদের স্বাদের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়া উচিত। সিনচিয়াংয়ের মেন্যগুলোকে কিছুটা উন্নত করা দরকার। উদাহরণস্বরূপ, মাটনের স্বাদ খুব শক্তিশালী হওয়া উচিত নয়। এ ছাড়াও, শাংহাইয়ের লোকেরা মশলাদার খাবার খুব একটা খায় না, তাই এটি হালকা হওয়া উচিত। এখন অবশ্য সবার রুচিতে কিছুটা পরিবর্তন এসেছে। বিশেষ করে চীনের সংস্কার ও উন্মুক্তকরণের পরে, চীনের বিভিন্ন জায়গা থেকে শাংহাইয়ের মানুষ আসেন। ভেড়ার কাবাব তাদের প্রিয় খাবার। রেস্তোঁরার প্রাইভেট রুমে বসে তারা ভেড়ার লেগ রোস্ট এবং পুরো ভেড়ার রোস্টের অর্ডার দেন। রেস্তোরাঁটি বেশ জনপ্রিয়, এবং কিছু বড় প্রাইভেট রুম বছরের শেষ পর্যন্ত বুক করা থাকে। আমাদের দোকানে যারা একবার আসেন, তারা বার বার আসেন।’ 

রেস্তোরাঁর অতিথিরা বলেন, তারা সবাই অন্য জায়গা থেকে এখানে খেতে এসেছেন, তারা এই স্বাদ পছন্দ করেন এবং এই স্বাদটি ঠিক সিনচিয়াংয়ের স্থানীয় খাবারের স্বাদ। খুবই সুস্বাদু খাবার। 

তুরসুন বলেন, ‘একটি মহানগর হিসাবে শাংহাইয়ে একটি সমৃদ্ধ খাদ্যসংস্কৃতি রয়েছে। আমি আমার সিনচিয়াং সংস্কৃতিকে যতটা সম্ভব ভালোভাবে উপস্থাপন করতে চাই। আমরা যে খাবারগুলো তৈরি করি তা আরও বেশি পরিশ্রুত, পরিষ্কার, আরও সুস্বাদু এবং আরও সুন্দর হয়ে উঠছে। আরও ভাল পরিষেবা দিচ্ছি, যাতে আমাদের বাজার আরও বড় হতে পারে। এখন শুধু সাংহাই নয়, আমাদের সিনচিয়াংয়ের খাবার সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে।’  তিনি হাসমুখে আরও বলেন, ‘ শাংহাইয়ে আসার সময় আমি যুবক ছিলাম, এখন আমি প্রায় একজন বৃদ্ধ। কিন্তু আমি সিনচিয়াং ও শাংহাইয়ের সাংস্কৃতিক বিনিময়ে কাজ করছি। প্রচারের কাজও করছি। আমি শাংহাইয়ে সিনচিয়াংকে পরিচয় করিয়ে দিয়েছি এবং সিনচিয়াংয়ে শাংহাইয়ের কথা প্রচার করেছি। আমার অনেক শাংহাই বন্ধুও সিনচিয়াংয়ে গেছেন। আমার জন্মস্থান ও বাড়িতে গেছেন। আমার রেস্তোঁরার কারণে সিনচিয়াং থেকে ১৩০০ থেকে ১৪০০ জন লোক শাংহাইয়ে এসেছেন। একদিকে, আমি শাংহাইয়ে আমাদের সিনচিয়াং সংস্কৃতি তুলে ধরছি, অন্যদিকে, সিনচিয়াংয়ের বন্ধুদের শাংহাইয়ে আসতে উত্সাহিত করছি। তারা শাংহাইয়ের সংস্কৃতি উপলদ্ধি করতে পারেন। আসলে চীনাদের জীবনযাত্রার মান অনেক উন্নত হয়েছে।’ 

১৯৮৬ সালের প্রথম দিকে শাংহাইয়ে আসার পর থেকে কাজ করে যাচ্ছেন। ইতোমধ্যেই ৩৬ বছর কেটে গেছে। তিনি শাংহাইয়ে কঠোর পরিশ্রম করেছেন। তিনি বলেন, যখনই তিনি ফ্রি থাকেন, তিনি ‘হুয়াংপু’ নদীর ধারে বেড়াতে যেতে পছন্দ করেন। তিনি ইতোমধ্যেই শাংহাইয়ের সঙ্গে মিশে গেছেন। তিনি আশা করেন, শাংহাই সিনচিয়াংকে আরও ভালভাবে বুঝতে পারবে এবং সিনচিয়াংও শাংহাইকে আরও ভালভাবে বুঝতে পারবে!

(ওয়াং হাইমান ঊর্মি, সাংবাদিক, বাংলা বিভাগ, চায়না মিডিয়া গ্রুপ, বেইজিং চীন।)