যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং ইউরোপীয় কমিশনের সভাপতি উরসুলা ভন ডার লেইন, মুদ্রাস্ফীতি হ্রাস আইন (আইআরএ)-এর আওতায় আমেরিকার কোম্পানিগুলোকে ভর্তুকি দেওয়ার জন্য ওয়াশিংটনের পরিকল্পনা নিয়ে মতপার্থক্য হ্রাসের চেষ্টা করেন।এই প্রচেষ্টা ইউরোপে অনেককে হতাশ করেছে।
আইআরএ-এর আওতায়, যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসন ২০৩০ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরণ অর্ধেকে নামিয়ে আনার লক্ষ্যে, আমেরিকার কোম্পানিগুলোকে ৩৬ হাজার ৯শ কোটি ডলার পরিবেশ সংক্রান্ত ভর্তুকি এবং করের জন্য ঋণ (ট্যাক্স ক্রেডিট) প্রদান করার পরিকল্পনা করেছে। এই পরিকল্পনাকে ইইউ বৈষম্যমূলক বলে মনে করে। এই উদ্বেগ অবসানের লক্ষ্যে এবং ট্রান্স-আটলান্টিক ভর্তুকি প্রতিযোগিতা এড়াতে গত অক্টোবরে একটি বিশেষ টাস্ক ফোর্স গঠন করা হয়েছিলো।
ভন ডার লেইন নিশ্চিত করেছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের যুক্তরাষ্ট্রের মুক্ত বাণিজ্য অংশীদারদের মতো মর্যাদা পাওয়ার জন্য আলোচনা শুরু হবে; যাতে ইইউ আইআরএ-এর একটি ধারা থেকে অব্যাহতি পেতে পারে।ঐ ধারার অধীনে ব্যাটারি উৎপাদনে ব্যবহৃত খনিজগুলোর একটি নির্দিষ্ট অংশ অভ্যন্তরীণভাবে উৎপাদিত হতে হয় বা মুক্ত বাণিজ্য অংশীদারের কাছ থেকে আমদানি করতে হতে হয়।
জার্মান মার্শাল ফান্ডের সিনিয়র ফেলো জ্যাকসন জেনস বলেছেন যে ঐক্যবদ্ধ কর্ম হলো সাফল্যের মন্ত্র। তবে এটা নির্ভর করে কিভাবে এর জন্য বিশদ পরিকল্পনা করা হয়।
ইইউ এবং কানাডা তাদের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে একটি “সবুজ জোট(গ্রিন অ্যালায়েন্স)” গঠনের জন্য কাজ করছে। যে জোট হবে “জলবায়ু-নিরপেক্ষ, চক্রাকার এবং উপাদান-সাশ্রয়ী”। এই মাসের শেষের দিকে বাইডেন কানাডা সফর করবেন। তখন তিনি এই প্রচেষ্টাকে সমন্বয় করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। তথ্য সূত্র ভয়েস অফ আমেরিকা বাংলা।